পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খান বাহাদুর কাজেমদীন আহমদ সিদ্দিকী R 8 ( . ) মিছে আমোদ খেলায় ভুলায়েছ দেবতায় প্ৰণয়ের ইতিহাসে ক’রেছ বেহুস । ugar o uges at কেন কর তুিরস্কার মন্থনে উঠেছে বিষ পিয়ে আশুতোষ আমি যে হ’য়েছি। বাবু আমারি কি দোষ ? খান বাহাদুর চিরকালই দরিদ্র ছাত্রদের বন্ধু । তিনি এমন অনেক দরিদ্র মুসলমান ছাত্রকে অর্থ দ্বার সাহায্য করিয়াছিলেন, যাহারা আজ সমাজে বিদ্যাবত্তার জন্য উচ্চাসন লাভ করিয়াছেন । খান বাহাদুর সিদ্দিকী একজন খাটি মুসলমান । তিনি দৈনিক নামাজ না পড়িয়া! জলবিন্দু গ্ৰহণ করেন না। ইসলাম ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বক্তৃতার জন্য তিনি অনেক টাকা ব্যয় করিয়াছেন। মুসলমান ছাত্রেরা যাহাতে নামাজ পড়ে, সে বিষয়ে খান বাহাদুর সদা সৰ্ব্বদা চেষ্টা করেন । ১৯১৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লা মোসলেম হলে ৪ হাজার দুই শত ঢাকা দান করেন । এই টাকার দ্বারা ছাত্ৰাদিগকে বৃত্তি দেওয়া হয় । যাহারা এই বৃত্তি ভোগ করিবে তাহাদিগকে প্ৰতিদিন নিয়মিত প্রার্থনা করিতে হইবে । খান বাহাদুর তাহার বালিয়াদির প্রতিবেশীদের মধ্যে নমাজ পড়া বাধ্যতামূলক করিয়াছেন । যাহারা নমাজ পড়ে, তিনি তাহাদের রেজিষ্ট্রার রাখেন । তিনি গবৰ্ণমেণ্টের একজন সমর্থক হইলেও সর্দা আইন পাশ হইলে সকলকে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন যে, উহা সরিয়তের বিরুদ্ধে । খান বাহাদুরের স্বাস্থ্য যদি ভাল থাকিত, তাহা হইলে তিনি দেশের জনহিতকর আরও অনেক কাৰ্য্যে যোগদান করিতেন এবং তা হাতে দেশবাসী উপকৃত হইত । আমরা খান বাহাদুরেয় দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করি ।