পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাটাল-জলসরার বিশ্বাস বংশ R ( তিনি দেবদর্শনে হৃদয়ের ব্যথা শান্ত করিতে সহধৰ্ম্মিণী সমভিব্যাহারে তীর্থ পর্যাটনে বাহির হন এবং উত্তর ভারতের যাবতীয় তীর্থ ও ঐতিহাসিক স্তান দর্শন করিয়া কতক সুস্থ দেহে ও শান্ত মনে দেশে ফিরিয়া আসেন। কিন্তু পুত্ৰগণের আকস্মিক মৃত্যু এবং জ্যেষ্ঠা কন্যার অকাল বৈধব্য তঁাহার কোমল প্ৰাণা সহধৰ্ম্মিণীর হৃদয় একেবারে ভাঙ্গিয়া দিয়াছিল ; এক্ষণে এই সুদীর্ঘ দেশ ভ্ৰমণের ক্লেশ তাহার। আর সহ্য হইল না। তিনি অল্পদিনের মধ্যেই ( ১৩১৫ সালের অগ্রহায়ণ ) মৃত্যুর কোলে আশ্রয় লইয়া চিরশান্তি লাভ করিলেন। তিনি ৫ পুত্র ও ৫ কন্যার জননী হইয়া মৃত্যুকালে মাত্র দুই পুত্র ও ৪টি কন্যা সন্তান রাখিয়া যান। ইহাদের মধ্যে কনিষ্ঠ পুত্র ২ বৎসরের ও কনিষ্ঠা কন্য। মাত্র ७ गंगाद्ध भिं७ । O পত্নীর মৃত্যুতে গোষ্ঠবিহারী অত্যন্ত আকুল হইয়া উঠিলেন। একে তাহার বয়স এমন কিছু বেশী হয় নাই, তাহার উপর শিশু সন্তানগুলির লালন পালনের ভার কে লাইবে-এই দুই কারণে অনেকেই মনে করিয়াছিল, তঁাহাকে পুনরায় দার পরিগ্ৰহ করিতে হইবে। কেহ কেহ এ বিষয়ে তঁহাকে অনুরোধও করিয়াছিল। কিন্তু ঈশ্বর বিশ্বাসী পুরুষ গোষ্ঠবিহারী সকলকে বুঝাইয়া দিলেন-ঈশ্বর মঙ্গলময়। তিনি য করেন তা জীবের মঙ্গলের জন্য। আমার জ্যেষ্ঠা কন্যাকে তিনি যে বহুপূর্বে বৈধব্য দিয়াছেন—ইহা তাহার সেই মঙ্গল ইচ্ছার নিদর্শন। সেই কন্যাই আমার সংসারের সকল ভার গ্ৰহণ করিবে । জগদীশ্বর তাহাকে সে শক্তি দিবেন নিশ্চয় । বাস্তবিক তাহার এই কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্ৰমাণিত হইয়াছে। এক্ষণে সেই বিধবা কন্যাই ঠহাদের সংসারের গুরুভার বাসুকীর ন্যায় মস্তকে ধারণ করিয়া ইহার ভার-কেন্দ্ৰ স্থির রাখিয়াছেন ।