পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

369 द९*-*†ब्रिा5ग्न খান বাহাদুর মৌলবী চৌধুরী কাজেমদীন আহমদ সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু পুস্তক দান করেন। তিনি নবাব কুতুবুদ্দীনের বংশধর। নবাব কুতুবুদিন যেমন একজন বড় সৈন্যাধ্যক্ষ ও যোদ্ধা ছিলেন, তেমনি সাহিত্যািরস পিপাসুও ছিলেন। কাজেই তাহার বংশধরগণ র্তাহার সাহিত্যানুশীলনের প্রবৃত্তি উত্তরাধিকার সুত্ৰে পাইয়াছিলেন। পাশী সাহিত্যেরই তাহারা অধিক পরিমাণে অনুশীলন করিতেন। এই কারণে সিদ্দিকী বংশের পুস্তকাগারে বহু পাৰ্শী পুস্তক সংগৃহীত হইয়াছিল। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যক্রমে ১৮৯৮ খ্ৰীষ্টাব্দে অগ্নিতে সেই সমস্ত পুস্তকের শতকরা ৯০ খানি ধ্বংস করিয়া ফেলিয়াছিল। কিন্তু খান বাহাদুর ও র্তাহার পিতা আবার বহুসংখ্যক পুস্তক দ্বারা লাইব্রেরী বাড়াইয়াছিলেন। খান বাহাদুর প্রায় ২ শত বৰ্গ মাইল পরিমিত স্থানের মালিক, কাজেই তাহার যথেষ্ট অর্থসম্পদ আছে এবং এই কারণেই তিনি বহু সংখ্যক দুপ্রাপ্য পুস্তক ও পাণ্ডুলিপি লাইব্রেরীতে সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছিলেন । খান বাহাদুর বাঙ্গালার মুসলমানদের শিক্ষার জন্য সর্বদা যত্নশীল । ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লা বাহাদুরের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধিদল বড়লাট লর্ড হাডিঞ্জের নিকট গিয়াছিলেন, খান বাহাদুর সেই প্ৰতিনিধিদলের একজন সদস্য ছিলেন । লর্ড হার্ডিঞ্জ তখন ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্ৰতিশ্রুতি দিয়াছিলেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইলে তিনি বহু অভাবগ্ৰস্ত ছাত্ৰাদিগকে অর্থ দিয়া সাহায্য করিতেন । বৰ্ত্তমানে ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য খান বাহাদুর যাবতীয় সাধারণ অনুষ্ঠান হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্ৰাদিগকে ইসলামীয় শাস্ত্রে গবেষণা করিতে সুযোগ দিবার জন্য খান বাহাদুর বহু প্ৰাচ্য পুস্তক বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করিয়াছেন। তিনি একটি সুন্দর আলমারিতে আরবী, পার্শী ও