পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় যামিনী নাথ বন্দোপুfাধ্যায় পরদুঃখকাতর, মহাপ্ৰাণ যামিনীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ঢাকা জিলার অন্তৰ্গত মুন্সীগঞ্জ মহকুমার এলাকাধীন কেওঁটখালী নামক গ্রামে ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩রা জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম ৬৮। কাশীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম আটলমণি দেবী । কাশীনাথ বিক্রমপুরের হাশাড়া মধ্যইংরাজী বিদ্যালয়ে প্ৰধান শিক্ষকের কাৰ্য্য করিতেন । তিনি পরম দয়ালু ছিলেন এবং জাতি বর্ণনিবিশেষে আৰ্ত্ত মাত্রেরই সেবা করিতেন । তিনি এদিকে পরম আচারনিষ্ট ব্ৰাহ্মণ ছিলেন, বটে, কিন্তু হিন্দু হউক, মুসলমান হউক। কাহারও অসুখ বিসুখ দেখিলে নিজে তাহার সেবা সুশ্ৰষা করিতেন । যামিনী নাথের পিতার অবস্থা পূর্বে কতকটা ভাল থাকিলেও শেষে অতি খারাপ হইয়া পড়ে। এই কারণে যামিনীনাথের বিএ পড়ার খরচ পৰ্যন্ত তাহারা যোগাইতে সক্ষম হন না । কিন্তু একািপ দরিদ্র্যপীড়িত হইলেও যামিনী নাথের পিতা মাতা অনশনে অদ্ধাশনে থাকিয়াও অতিথি অভ্যাগতের যথোচিত সেবা করিতেন । যামিনীনাথ পিতা মাতার দুঃখ কষ্ট অ্যার সহ্যু করিতে না পারিয়া কলেজ ছাড়িয়া কলিকাতায় ভাগ্যানুসন্ধানে আইসেন এবং অতিকষ্টে পটলডাঙ্গী নিবাসী গিরীন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয়ের দুইটি মুক বধির পত্ৰকে লিখিতে ও পড়িতে শিখাইবার জন্য গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হইলেন । কিন্তু কি করিয়া মুক বধিরকে শিখাইতে চয়, যামিনীনাথ তখন তাহা জানিতেন না । কিন্তু অনেক চিন্তার পর তিনি এক নুতন প্ৰণালী উদ্ভাবন করিলেন। অতঃপর জন সেবার সৎপ্রবৃত্তি লইয়া যামিনীনাথ তঁহার অন্য দুইজন বন্ধুর সহিত পরামর্শ করিয়া সিটি কলেজের একটি প্রকোষ্ঠে দুইটি মাত্র ছাত্ৰ লইয়া বিদ্যালয়ের কাৰ্য্য আরম্ভ করিলেন ।