পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় যামিনী নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় RG2 9 অধিকার দিয়াছিলেন । তঁহার ফলে যামিনীনাথ আমেরিকার সর্বত্র ঘুরিয়া আরও অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ ও সৌভাগ্য লt করিয়াছিলেন । স্বদেশে প্ৰত্যাগমন করিয়া যামিনী নাথ তাহার লব্ধ জ্ঞানের দ্বারা তাহার মুক বধির বিদ্যালয়কে আরও বাড়াইতে লাগিলুে#। थंव् वन्द्र মুক বধির বিদ্যালয়ের ন্যায় বৃহৎ প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছে। তিনি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করিয়া সামান্য মাত্র বেতন লাইতেন । তাহার জীবনের যা” কিছু সাধনা, শক্তি ও অধ্যবসায় সমস্তই এই স্কুলের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য ঢালিয়া দিয়াছিলেন । বস্তুতঃ পরের দুঃখ দূর করাই ছিল তাহার জীবনের মূল উদ্দেশ্য। ১৯০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে স্যার রবার্ট কালাইল বিদ্যালয়টিকে গবৰ্ণমেণ্টের তত্ত্বাবধানে লইবার প্রস্তাব করিলে যামিনীনাথ তাহার তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়া বলেন যে, বাঙ্গালী ষে অকৰ্ম্মণ্য নয় এবং বাঙ্গালীর যে একটা প্ৰতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিবার ক্ষমতা আছে, তাহা প্ৰতিপন্ন করিতে হইবে-গাবৰ্ণমেণ্টের হস্তে কিছুতেই বিদ্যালয়টিকে ছাড়িয়া দেওয়া হইবে না । যামিনীনাথ উচ্চ শিক্ষার্থ বিলাত গিয়া ফিরিয়া আসিবার পর সমাজ কর্তৃক পরিত্যক্ত হন। তঁহার পিতা তাহাকে মনে মনে বিশেষ স্নেহ। করিলেও নিজের নিষ্ঠা ও আচার নষ্ট হুইবে এই আশঙ্কায় তাহাকে ভিতরে প্রবেশ করিতে দিতেন না । একদিন কাশীনাথ গৃহ মধ্যে দুইটী মিষ্টান্ন খাইবার জন্য বসিয়াছেন এবং একটি মুখে দিয়াছেন, এমন সময় যামিনীনাথ অতর্কিতে গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে কাশীনাথ তৎক্ষণাৎ মুখের মিষ্টান্নটি বাহিরে "আসিয়া ফেলিয়া দিলেন । অপর মিষ্টান্নটি যামিনীনাথের পুত্রকে দিলেন। সমাজ ভঁাহাকে বারংবার প্রায়শ্চিত্তের জন্য অনুরোপ করিত, কিন্তু তিনি বলিতেন, যামিনীনাথ কখনও বাটীর মধ্যে প্ৰবেশ করে না ।