পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କ୯୬ বংশ-পরিচয় রজনী, দিবসের শ্রান্ত ক্লান্ত নরনারী এখন গভীর সুষুপ্তির ক্রোডে । শায়িত । মধ্যে মধ্যে কোথাও কোন সারমেয়ের “ঘেউ”, “ঘোঁটি” শব্দ মাত্ৰ প্ৰকৃতির নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিতেছে । সুশীতল বসন্ত সমীরণ, আসিয়া কুটীরের অভ্যন্তরে অমিয়ধারা বর্ষণ করিতেছে । এমন নৈসৰ্গিক নিস্তব্ধ তার সময়ে দেহজীবা পণ্যাঙ্গনা আর কতক্ষণ হৃদয়ে বল ধরিয়া তৃষিত চাতকীর ন্যায় উদগ্রীব হইয়া প্রতীক্ষা করিতে পারে ? সে পুনরায় হরিদাসের নিকট আপন অসৎ অভিপ্ৰায় ব্যক্তি করিল । হরিদাস? এবার ও ইঙ্গিতে তাহাকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া! নাম জুপে প্ৰবৃত্ত হইলেন ; ক্ৰমে যামিনীর অবশিষ্ট যামসমূহ অতিবাহিত হইল। মৃদু মন্দ প্ৰাভাতিক সমীরণ আসন্ন উষার শুভ আগমন-বাৰ্ত্ত ঘোযণা করিল । কাননে কাননে বিহঙ্গমকুল কাকলী। করিয়া সুপ্তি জগৎকে গাত্ৰোখান করিবার জন্য আহবান করিতে লাগিল । ক্ৰমে প্ৰাচী ললাটে বাল ভানুর অস্পষ্ট BuDBDBDBB BB BBSS S DDDD SDDDS DBBDBDS DDD0 tBDBDBDDS সমাধিস্থ। নিরাশার অস্কুশে আহত হইয়া এবং আপন রূপ-যৌবনকে শতবার ধিক্কার দিয়া সে রামচন্দ্ৰ খায়ের নিকট গিয়া রাত্রিকার সমস্ত ঘটনা বিবৃত করিল । রামচন্দ্ৰ শুনিয়া বিস্মিত হইল, কিন্তু সঙ্কল্পে শিথিল হইল না । পরদিন আবার সন্ধ্যা সমাগমে সেই পণ্যাঙ্গনা দি ন্যাভরণা হইয়ঃ রূপের গর্বে পদ ভরে মেদিনী বিকম্পিত করিয়া হরিদাসের কুটীরে উপস্থিত হইল। যাইয়ু" দেখে প্ৰভু হরিদাস পূর্বদিনের ন্যায় নামাজপে নিমগ্ন। যুবতী বলিল, “ঠাকুর ! গত কল্য আমি নিরাশ হইয়া ফিরিয়া গিয়াছি, আজ আর আমায় নিরাশ করি ও না ।” হরিদাস বলিলেন, “কখনই না, তুমি বস, আমি নাম জপ শেষ কঝুিয়াই তোমার আশা চরিতার্থ করিব।” ক্ৰমে পূর্ব রাত্রের ন্যায় একপ্রহর দ্বিপ্রহর করিয়া