পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ९ ज्नन् କତ প্ৰথম সনদর্শন গৌরচন্দ্র যখন জন্মগ্রহণ করেন, তখন ক্লিশ্বরূপের বয়স মাত্র বার বৎসর। পূর্বেই ‘বলিয়াছি, বিশ্বরূপ অদ্বৈতের চতুষ্পাঠীতে অধ্যয়ন করিতেন। গৌরচন্দ্রের বয়স যখন মাত্র ছয় বৎসর, তখন একদিন বিশ্বরূপকে চতুষ্পাঠী হইতে ফিরিতে বিলম্ব দেখিয়া শচীদেবী শ্ৰীগৌরাঙ্গকে অদ্বৈতের চতুষ্পাঠীতে অগ্রজকে ডাকিয়া আনিবার জন্য প্রেরণ করেন। ছয় বৎসরের শিশু নিমাই ধীরে ধীরে মন্থরগমনে অদ্বৈতের চতুষ্পাঠীতে যাইয়া যখন মধুর স্বরে বলিলেন, “দাদা ! এস, মা ডাকছেন”, তখন সকলেরই দৃষ্টি এই নধরকান্তি সুন্দরকায় শিশুটির উপর পড়িল। অদ্বৈতও একদৃষ্টি শিশুটির দিকে তাকাইয়া রহিলেন । আহা মারি । মারি ! কি অপরূপ রূপ । শিশুর প্রতি অঙ্গ দিয়া যেন সৌন্দৰ্য্য ফুটিয়া বাহির হইতেছে । তিনি আর চোখ ফিরাইতে পারিলেন না। ক্ৰমে গৌর নবদ্বীপে শিক্ষা লাভ করিয়া নবদ্বীপেই অধ্যাপনা আরম্ভ করিলেন । কিন্তু তিনি কিছুদিন পরে হরিনাম-সঙ্কীৰ্ত্তনেই মন:প্ৰাণ ঢালিয়া দিলেন । যখন গৌরাঙ্গের যশঃ চারিদিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িলযখন অদ্বৈতের আনন্দের আর সীমা রহিল না ; তিনি বুঝিলেন, এই গৌরাঙ্গের দ্বারাই দেশের দুস্কৃতি বিনষ্ট হইবে। একদিন অদ্বৈত ভাগবতের কোন শ্লোকের ব্যাখ্যা করিতে না পারিয়া না খাইয়া শয্যায় শয়ন করিয়া রহিলেন । স্বপ্নযোগে দেখিলেন, কে একজন যুবক ষেন তাহাকে বলিতেছেন, “তুমি র্যাহাকে চাহিয়াছিলে তিনি আসিয়াছেন, তুমি আশ্বস্ত হও আর এই শুন, তুমি ভাগবতের যে শ্লোকের ব্যাখ্যা করিতে পারিতেছি না, তাহার ব্যাখ্যা এইরূপ- ।”