গোবিন্দ ইহার পর শ্ৰীপাদ ঈশ্বর পুরীর সেবক গোবিন্দ আসিয়া প্রভুর সমক্ষে দাড়াইলেন । গোবিন্দ বললেন, “গুরুদেব যখন দেহ ত্যাগ করেন, তখন আমাকে ও কাশীশ্বরকে আসিয়া আপনার সেবা করিবার জন্য আদেশ করিয়াছেন । আর তিনি একথাও বলিয়া গিয়াছেন, তিনি যখন গৃহস্থাশ্রমে ছিলেন, তখন আমি তাহার মধুর নটেন্দ্র রূপ দেখিয়াছি, দেখিয়া তাহা হৃদয়ে অঙ্কিত করি স্বাছি।” ঈশ্বর পুরী মহা প্রভুর গুরু ছিলেন, পাছে মহাপ্ৰভু তাহাকে দেখিয়া গুরুভাবে ভক্তি ও প্ৰণাম করেন, সেই ভয়ে ঈশ্বর পুরা শেষ সমযে প্রভুর নিকট নিজে না আসিয়া গোবিন্দ ও কাশীশ্বরকে পাঠাইয়া দিলেন। সার্বভৌম গোবিন্দকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কায়স্থ, ঈশ্বর পুরীর কি কি কাজ তুমি করিতে ? গোবিন্দ বলিলেন, “কেন সব কাজই করি তাম-এমন কি তাহার জন্য রন্ধন পৰ্য্যস্ত করিতাম।” সৰ্ব্বভৌম একটু বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “পুরী গোসাঞি সৰ্ব্বশাস্ত্ৰজ্ঞ হইয়া শূদ্র সেবক রাখিলেন কিরূপে ?” প্ৰভু বলিলেন, “মহাপুরুষেরা লোকের বিচার করেন না, তাহার মাহাত্ম্যই দেখিয়া 2Rび卒エ P" マーやホー “সার্বভৌম বলে প্ৰভু এই সুনিশ্চয়। কৃষ্ণ বৈষ্ণুবের চেষ্টা লৌকিক না হয় ।” -BCS 3 মহাপ্ৰভু সার্বভৌমকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আচ্ছা সর্বভৌম ! এখন আমি কি করি ? গোবিন্দ্ৰ আমার গুরুর সেবা করিয়াছেন। অতএব
পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
