পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাসুদেব সার্বভৌম Sa অর্থাৎ সেই ব্যক্তিই শুধু হরি-কীৰ্ত্তনে অধিকার পায়, যে ব্যক্তি তৃণের ন্যায় দীন ভাব ধরিয়া। আপনি অপমান লইয়া অন্যকে মান দেয় ! সাৰ্ব্বভৌমের সঙ্কল্প তিনি শ্ৰীগৌরাঙ্গের ভগবত্ত উড়াইয়া দিবেন। } অগাধ শাস্ত্রবিদ্যা ও তীক্ষাবুদ্ধর তঁহার অভাব ছিল না। প্ৰভু আসিলে সাৰ্ব্বভৌম র্তাহাকে লইয়। নিভৃতে বসিলেন। সার্বভৌম প্রভুকে বলিলেন, “আচ্ছা চৈতন্য, তুমি এই অল্প বয়সে এই ভাবুকের ধৰ্ম্ম কেন গ্ৰহণ করিলে ? সন্ন্যাসীর পক্ষে নৰ্ত্তন, গায়ন অতি দূষণীয় কাৰ্য্য, কিন্তু সেই হইল তোমার ভজন সাধন । তোমার বয়স অল্প, ইন্দ্ৰিয় দমনে রাখিতে হইবে, জ্ঞানের আশ্ৰয় ব্যতীত নৰ্ত্তন ও গায়নে কিরূপে ইন্দ্ৰিস্তাবৃত্তি সংযত হইবে ?” প্ৰভু বিনমুপূর্বক বলিলেন, “দেখুন। আমি নিতান্ত অজ্ঞ ; আমি ভা মন্দ বুঝি না, বুঝি না বলিয়াই আপনার আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছি।” সার্বভৌম বলিলেন, “তুমি সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্মগ্রহণ করিয়াছ, উহা ভাবুকের ধৰ্ম্ম অপেক্ষাও অনেক বড় । আমি তোমাকে জ্ঞানমার্গে টানিয়া লাইব, তুমি আমার নিকট বেদ শ্রবণ কর, বেদ শুনিতে শুনিতে তোমাতে জ্ঞান স্কুরিত হইবে, জ্ঞান হইলেই ইন্দ্ৰিয়দমনশক্তি বৃদ্ধি পাইবে। তুমি আমার নিকট প্রত্যহ অপরাহ্নে বেদপাঠ শ্ৰবণ কর।” প্ৰভু বললেন, “বেশ তাহাই হইবে, আমি আপনার নিকট প্রতিদিন বেদপাঠ শ্ৰবণ করিব।” পরদিবস শ্ৰীমন্দিরে সার্বভৌমের সহিত প্ৰভু মিলিত হইলেন, উভয়ে সার্বভেীমের বাটীতে আসিলেন। সার্বভৌম বেদ খুলিয়া বসিলেন, প্ৰভু একমনে শ্রবণ করিতে লাগিলেন। প্ৰভু একমনে নিবিষ্টচিত্তে সার্বভেীমের নিকট বেদের ব্যাখ্যা শুনিতে লাগিলেন । সাৰ্ব্বভৌম বেদের এইরূপ ব্যাখ্যা করিতেছেন, “জগৎ মায়া, শ্ৰীভগবান মায়া, ভগবান আর কোন পৃথক বস্তু নাই, তুমি ভগবান।” সার্বভৌমের