পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুনাথ দাস বৰ্ত্তমান ত্রিশ বিঘা ষ্টেশনের নিকট পূর্বে সপ্তগ্রাম বলিয়া একটি " প্ৰসিদ্ধ বন্দর ছিল । বাণিজ্য-ব্যবসায়ের জন্য এই সপ্তগ্রাম তৎকালে অতি প্ৰসিদ্ধ ছিল । প্ৰায় চারি শত বৎসর পূর্বে এখানে হিরণ্যক ও গোবৰ্দ্ধন দাস নামে দুই জন ধনী বাস করিতেন । ইহারা দুই ভাই গৌড়ের অধিপতি সৈয়দ হুসেন সাহের কর সংগ্ৰহ কারিয়া দিতেন । সপ্তগ্রাম অঞ্চল হহঁতে ইহার মোট ২০ লক্ষ টাকা করি সংগ্ৰহ করিয়া দিয়া অবশিষ্ট আট লক্ষ টাকা নিজেরা গ্ৰহণ করিতেন । সৈয়দ হুসেন শাহ ইহাদের সত্যনিষ্ঠা-দর্শনে পুলকিত হইয়া হা হাদিগকে “মাজুষ দার” উপাধি প্ৰদান করিয়াছিলেন । গোবৰ্দ্ধন দাসের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহার নাম রঘুনাথ ; হিরণ্যকের কোন সন্তানাদি ছিল না । পিতৃব্য হিরণ্যক অপুত্ৰক বিধায় রঘুনাথকে পুত্রের ন্যায় স্নেহ করতেন । রঘুনাথের কোন প্রকার অভাব-অভিযোগ ছিল না । কিন্তু ধনৈশ্বৰ্য্যের মধ্যে সর্বদা আকণ্ঠ নিমজিত থাকিলেও বাল্য কাল হইতে র্তাহার মন কেমন বিষয়-বিরাগী হইয়া উঠিয়াছিল । পিতার যা তু রঘুনাথ বাল্য বয়সেই সংস্কৃতশাস্ত্ৰে সাতিশয় বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। সেই সময়ে ঠাকুর হরিদাস হিরণ্যক ও গোবৰ্দ্ধন দাসের কুল-পুরোহিত বলরাম আচায্যের গৃহে বাস করিতেছিলেন । রঘুনাথ বলরামের গৃহে শিক্ষার্থ গমন করিতেন, সেইখানে হরি দাসের সহিত তাহার পরিচয় ও তাহার ভক্তি ভাব-দর্শনে তাহার দিকে রঘুনাথের মন আকৃষ্ট হয়। রঘুনাথ দেখিলেন, সংসারে অনিত্য বিষয়-সুখ পরিহার করিয়া হরিদাস ভক্তি-সরো বাবে স্নান করিয়া