পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯২

S ዓ 8 한s-f5 করিলেন ও রঙ্গপুর না। যাইয়া মহানন্দে শালগ্রামসহ বাড়ী ফিরিলেন। তদবধি ৬/রাজরাজেশ্বর ৬/গোপীনাথের সিংহাসনে বিরাজ মানা বিগ্রহের পূর্ণ লক্ষণও ইহাতে আছে । সুতরাং শাস্ত্ৰানুযায়ী “গৃহীনাঞ্চ সুখপ্রদম” এবং “সন্তে বৈরাগ্যদে। নৃণাম” এই উভয় প্রকার ফলই ইনি দিতেছেন। ইহার সেবাইতগণের মধ্যেও এই উভয় প্রকার ফলই প্ৰতিফলিত দেখা যায় । এ বংশের স্ত্রীপুরুষ সকলেই সংসার-সুখভোগ করেন। অথচ মনে মনে বৈরাগ্যভাব স্পষ্টই পরিলক্ষিত হয় । ৬/রাজরাজেশ্বর বড়ই জাগ্ৰত ঠাকুর । বহু লোককে বহু স্বপ্নাদেশ করেন । ব্ৰহ্মচারী হইয়া ইহার সেবা করিতে হয় । সেবকের অপরাধানুযায়ী সময় সময় দণ্ডের ও ব্যবস্থা করেন । অনাবৃষ্টি সময়ে ইহাকে সুনজলে ডুবাইয়া রাখিলে সুবৃষ্টি হয়। যে সম্পত্তি হা হাকে দেবোত্তর করিয়া LLL DDDD DLDBSDBB 0 SK DS SS DDDS0LSS BBYS BBD KEB দূরবত্তী ইচ্ছামতী নদীতে রাখিয়া খালীরঘাটে স্নান করিয়া সন্ধ্যা আহ্নিক করিতেছিলেন । ইহার স্নান-আহ্নিকেরও বিশেষত্ব ছিল। একটা বড় দাঁতওয়ালা হাতীকে গলাজলে নামাইয়া তাহার দন্ত-যুগলের উপর জলচৌকী রাখিয়৷ তদুপরি বসিয়া দুই হাতে দুইটী বড় কলসী লইয়া, সেই কলসী ভরিস্কা জল তুলিয়া, মাথায় পৰ্য্যায়ক্রমে অনবরত ঢালিতেন । আবার এই ‘মেলে কামিনী”-মান-অন্তে ঐ ভাবেই ভিজা কাপড়ে বসিয়া সন্ধ্যা-আহ্নিক পূর্বক স্তব পাঠ করিতে করিতে ঐ ভাবেই বাড়ী ফিরিতেন । এইরূপে একদিন সন্ধ্যা-আহ্নিক করিবার সময় একখানি নৌকা নদীর স্রোতের বেগে আসিয়া তাহার গায়ে লাগে। ঐ ধাক্কায় র্তাহার ধ্যান ভঙ্গ হওয়ায় ক্রোধবশতঃ নৌকাখানি টানিয়া তিনি ডাঙ্গায় তুলিয়া ফেলেন। পরে জানা গেল যে, নাটোর-রাজের কোনও বড় কৰ্ম্মচারী কোনও রাজকুটুম্বসহকারে ঐ নৌকায় যাইতেছিলেন।