পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রমথনাথ তর্কভূষণ RDt তাহা নহে তিনি বেদ ও শাস্ত্ৰেও অসাধারণ পাণ্ডিত্যসম্পন্ন ছিলেন । র্তাহার প্ৰণীত “ব্ৰহ্মসংস্কারমঞ্জরী” নামক উৎকৃষ্ট স্মৃতি-নিবন্ধ গ্ৰন্থই উহার প্ৰমাণ। এই গ্ৰন্থ অনুসারেই ভাটপাড়ার গুরুঠাকুরগণ এখনও তঁাহাদিগের সকল সংস্কার কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। এই গ্রন্থের ভূমিকায় डिनि लि२िशाgछ्न्:- “মুরারিভাষ্যাবট ভাষ্যসারসঙ্কেতত: শতপথ শ্রুতীিশ্চ । বিলোক্য পারস্কার গৃহভাষাণ্যশেষ দেশাৎ পরিসঞ্চিতানি তন্যতে ন্যায়চার্বঙ্গী শ্ৰীনারায়ণ শৰ্ম্মণা | প্ৰীতয়ে ধৰ্ম্মভীরূণাং ব্ৰহ্মসংস্কারমঞ্জরী ॥” নারায়ণ ঠাকুরের তৃতীয় পুত্রের পুত্ৰ চন্দ্ৰশেখর বাচস্পতি ভাটপাড়ায় আসিয়া স্থায়িভাবে বাস করিতে আরম্ভ করার পর হইতেই, এই বংশের প্ৰতি পশ্চিম বঙ্গে প্ৰতিষ্ঠিত আস্তিক ব্ৰাহ্মণগণ বিশেষ শ্রদ্ধাসম্পন্ন হইয়া এই বংশের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন। ক্রমে অৰ্দ্ধ বঙ্গের আস্তিক ব্ৰাহ্মণকুলের গুরুবংশ বলিয়া ভাটপাড়ার ঠাকুরগণ প্ৰায় ২০০ বৎসর ব্যাপিয়া বঙ্গের বৰ্ণাশ্রমধৰ্ম্মের ব্যবস্থাপক ও বিধায়করূপে সম্মানিত হুইয়া আসিতেছেন । চন্দ্ৰশেখর ঠাকুরের পৌত্র রামগোপাল বিদ্যাবাগীশ বঙ্গের সুপ্ৰসিদ্ধ ন্যায়াচাৰ্য; গদাধর পণ্ডিতের সমসাময়িক ছিলেন। প্ৰসিদ্ধি আছে যে, কুমারহট্টের কোন এক সভায় রামগোপাল ঠাকুরের ন্যায়শাস্ত্ৰে বিচারপরিপাটি দেখিয়া, গদাধর ভট্টাচাৰ্য্য অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন এবং সভামধ্যে মুক্তকণ্ঠে বলিয়াছিলেন যে, রামগোপাল যথার্থই নৈয়ায়িক হইয়াছেন। রামগোপাল আপনার বিদ্যা ও পাণ্ডিত্যের বলে ২ • • • বিঘা জমী অর্জন করিয়াছিলেন এবং ১০ ০০ ব্ৰাহ্মণকে দীক্ষা প্ৰদান করিয়াছিলেন। বাঙ্গালা ১১৬৩ সনে রামগোপাল ঠাকুর রাজা যাদবরাম চৌধুরীর নিকট হইতে ৭০০ বিঘা। ভূসম্পত্তি প্ৰাপ্ত হন এবং ঐ সম্পত্তি রামগোপাল