পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগৌরাঙ্গ 9ܕܶ ܓ প্ৰভু বলিলেন, “দেখ মুকুন্দ যখন যে দলে মিশে, তখন সেই দলের কথা বলিয়া আমার স্তুতি করে ।” “ভক্তি তৈতে বড় আছে ইহা যে বাখানে । নিরন্তর জাঠি মারে মোরে সেই জনে । ভক্তি স্থানে উহায় হইল অপরাধ । ७cडक टझाब्र cश्न तद्भवन-दाक्ष ॥” প্রভুর কথা শুনিয়া মুকুন্দ কঁদিতে লাগিলেন। মুকুন্দের ক্ৰন্দন দেখিয়া প্ৰভু তাহার উপর করুণাপরবশ হইয়া বলিলেন, “কোটি জন্ম পরে তুমি আমার দর্শন পাইবে।” প্রভুর এই আশ্বাসবাণী শুনিয়া মুকুন্দ মনে সত্ত্বনা পাইলেন । এইভাবে কখনও বাহা জ্ঞান ষ্টীন হইয়া, কখন ৪ বা চৈতন্য লাভ করিয়া নিমাই ভক্তগণসহ হরিনামামৃত পান করিতে লাগিলেন ; কিন্তু ইহাতে তাহার তৃপ্তি হইল না । নবদ্বীপের ঘরে ঘরে হরিনাম বিতরণ করিবার জন্য নিমাই এই সময় হরিদাস ও নিত্যানন্দকে আদেশ করিলেন এবং বলিলেন, “সারাদিন নবদ্বীপের দ্বারে দ্বারে হরিনাম বিতরণ করিয়া সন্ধ্যাকালে আসিয়া আমার নিকট সারাদিনের কাব্যের বিবরণ দিবে।” প্ৰভুর আজ্ঞা পাইয়া হরিদাস ও নিত্যানন্দ নবদ্বীপের দ্বারে দ্বারে নাম প্রচার করিতে বাহির হইলেন । ক’ত লোকে তাহাদিগকে উপহাস করিতে লাগিল - কত জনে বিদ্রুপ করিতে লাগিল, তাহারা তাহাতে ভ্ৰক্ষেপও করিলেন না । এই সময়ে নবদ্বীপে জগাই ও মধাই নামে দুইজন সুরাসেবী দুৰ্দ্ধৰ্ষ যুবক ছিল । তাহারা দুই ভ্ৰাতা। একদিন তাহারা সুরাপান করিয়া রাস্তার মধ্যে পড়িয়া রহিয়াছে, নিত্যানন্দ তাহাদিগকে মধুর হরিনামের মহিমা শুনাইবার জন্য তাহদের নিকট গেলেন। মাধাই ক্ৰোধে আত্মহারা হইয়া এক