পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gf W7r বংশ-পরিচয় ভক্তগণসহ বসিয়া আছেন, কথা-প্রসঙ্গে তিনি এমন একটি কথা বলিলেন, যাহাতে নিত্যানন্দ প্ৰভু ছাড়া আর কেহ বুঝিতে পারিল না। যে, মহাপ্ৰভু শাস্ত্ৰই সংসারাশ্রম পরিত্যাগ করিবেন । প্রভুর ইঙ্গিত শুনিয়া নিত্যানন্দের মুখ বিষাদে আচ্ছন্ন হইল। শ্ৰীগৌরাঙ্গের এমন সুন্দর কেশপাশ মুণ্ডিত হইবে-এ চিন্তা নিত্যানন্দের নিকট নিতান্তই দুর্বিষহ বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। মহাপ্ৰভু নিত্যানন্দের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া বলিলেন, “দেখ আমি কালই সন্ন্যাসধৰ্ম্মে দীক্ষা লাইব । সন্ন্যাসী হইয়া যদি আমি ঘরে ঘরে এই নাম কীৰ্ত্তন করিয়! বেড়াই, কে হই আমাকে মারিবে না, অথবা কিছু বলিবে না ।” তাত । শুনিয়া নিত্যানন্দ বলিলেন “যেরূপ করাহ তুমি, সেই হই আমি । MLJBD BBtD SDDBD DBDBBDDB DDD জগৎ উদ্ধার যদি চাহ করিবারে । ইহাতে নিষেধ নাহি করিবে আমারে ।” অন্ত:পর প্রভু বলিলেন, “দেখ ইন্দ্ৰাণি নিকটে কাটোয়। নামক গ্ৰাম আছে, তথায় কেশব ভারতী নামক সন্ন্যাসী আছেন, আমি উত্তরায়ণ দিবসে তাহার নিকট হইতে দীক্ষা লইব । আমার জননী, গদাধর, ব্ৰহ্মানন্দ, চন্দ্ৰশেখরাচাৰ্য্য ও মুকুন্দকে মাত্র এই সংবাদ দিবে। নিত্যানন্দ সম্মত হইলেন । অতঃপর গৌরচন্দ্ৰ সন্ন্যাস গ্ৰহণ করিয়া নীলাচলে গমন করিলেন । বঙ্গদেশ হইতে প্ৰতিবৎসর শ্ৰীচৈতন্যের বহুসংখ্যক শিষ্য পুরীধামে যাইয়: মহাপ্রভুর সহিত অতিবাহিত করিতেন এবং মধুর হরিনামে সমগ্ৰ জগন্নাথ ক্ষেত্ৰ মুখরিত করিয়া তুলিতেন। নিত্যানন্দপ্ৰভু ও সেই সঙ্গে