পাতা:বংশ-পরিচয় (সপ্তম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৪

\ტ\ტ «Rա-ՇifՀԵՀ সপ্তগ্রামে কিছুকাল অতিবাহিত করিয়া প্ৰভু নিত্যানন্দ শান্তিপুরে আগমন করেন। শান্তিপুরে আসিয়া তিনি অদ্বৈত আচায্যের গৃহে অবস্থান করিতে লাগিলেন। কিছুকাল শান্তিপুরে অবস্থানপূর্বক প্ৰেমবন্যায় শান্তিপুর প্লাবিত করিয়া নিত্যানন্দ অতঃপর নবদ্বীপে আসিলেন । নিত্যানন্দ নবদ্বীপে পৌছিয়াই প্ৰথমে শচীমাতার চরণে প্ৰণাম করিলেন । শচীমাতার ইচ্ছানুসারে তিনি নবদ্বীপে থাকিয়া ঘরে ঘরে কৃষ্ণনাম মহামন্ত্র প্রচার করিতে লাগিলেন । “নবদ্বীপে নিত্যানন্দ প্ৰতি ঘরে ঘরে । সব পারিষদ-সঙ্গে কীৰ্ত্তন বিহরে ৷” নিত্যানন্দকে নবদ্বীপবাসী সাক্ষাৎ শ্ৰীচৈতন্যের মত ভক্তিশ্রদ্ধা করিতে লাগিল । কিন্তু নবদ্বীপে এক ব্ৰাহ্মণ ছিল, সে পূর্বে মহা প্রভুর সহপাঠী ছিল । নিত্যানন্দের প্রভাব দেখিয়া সে সন্দিহান হইল । কিন্তু পরিশেষে নীলাচলে গিয়া মহা প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিলে প্ৰভুকে সে বলিল, ”আচ্ছা প্ৰভু নিত্যানন্দকে যে নবদ্বীপের সকলে অবধূত বলে, ইহা কিরূপে বলে তাহা আমি বুঝিতে পারি না। লোকে বলে, নিত্যানন্দ পরম সন্ন্যাসী, কিন্তু কপূর তাম্বুল তাহার নিত্য ভক্ষ্য। সন্ন্যাসীর পক্ষে ধাতুদ্রব্য স্পর্শ করা উচিত নহে, কিন্তু নিত্যানন্দের অঙ্গে ক’ত সোনা রূপ দেখিতে পাই, কষায়-কেীপীন র্তাহার পরিধানে নাই, তিনি দিব্য পট বাস পরিধান করেন ; তিনি দণ্ড ধারণ করেন না, পরস্তু লৌহদণ্ড ধারণ করিয়া থাকেন। আর ব্ৰাহ্মণ হইয়া শূদ্রের আশ্রমে তাহার বাস দেখি।”