পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# se

মাধ। বিপদ সমূহ। পুলিসে কি প্রকারে নিশ্চয় জানিয়াছে যে, আপনার কাছে একখানা চোরা নোট

আছে । ব্ৰহ্মানন্দ আকাশ হইতে পড়িল । “সে কি ? আমার কাছে চোরা নোট ?" মাধ । তোমার জানা চোর ন৷ হইতে পারে । অন্তে তোমাকে চোর নোট দিয়াছে, তুমি ন জানিয়া তুলিয়। রাখিয়াছ । ব্র । সে কি মহাশয় ! আমাকে লেটি কে দিৰে ! মাধবীনাথ তখন আওয়াজট ছোট করিয়া বলিলেন, “আমি সকলই জানিয়াছি –পুলিলেও জানি য়াছে। বাস্তবিক, পুলিসের কাছেই এ সকল কথ। শুনিয়াছি । চোর। নোট প্রসাদপুর হইতে আসিয়াছে । ঐ দেখ, এক জন পুলিসের কন্‌ষ্টেবল আসিয়। তোমার জন্ত দাড়াইয়া আছে । আমি ভাঙ্গকে কিছু দিয়৷ আপাততঃ স্থগিত রাখিয়াচি !" মাধবীনাথ তখন বৃক্ষতলবিহার রুলধারা গুম্ফশ্বাশ্রশোভিত জলধরসল্লিভ কন্‌ষ্টেবলের কান্তমূৰ্ত্তি দর্শন করাইলেন । ব্ৰহ্মানন্দ থর থর কপিতে লাগিল ; মাধবানাথের পায়ে জড়াইয়। কদিন বলিল, “আপনি রক্ষা করুন " মা ! ভয় নাই, এবার প্রসাদপুর হইতে কোন কোন নম্বরের নোট পাইয়াছ, বল দেখি ? পুলিসের লোক আমার কাছে নোটের নম্বর রাখিয়। গিয়াছে । ল্পদি সে নম্বরের নোট ন হয়, তবে ভন কি ? নম্বর বদলাইতে কতক্ষণ, এবারকার প্রসাদপুরের পত্ৰখানি লইয়া আইস দেখি--নোটের নম্বর দেখি । ব্ৰহ্মানন্দ যায় কি প্রকারে ? ভয় করে--কন্‌ষ্ট্রেবল যে গাছতলায় ] মাধবীনাথ বলিলেন, “কোন ভয় নাই, আমি সন্সে লোক দিতেছি ।” মাধবীনাথের আদেশমত এক জন দ্বারবান্‌ ব্ৰহ্মানন্দের সঙ্গে গেল ! ব্রহ্মানন্দ রোহিণীর পত্র লইয়া আসিলেন । সেই পলে মাপর্বনাথ সাঙ্গ। ষাহ খুজিতেছিলেন, সকলই পাইলেন । পত্র পাঠ করিয়। বহ্মানন্দকে ফিরাষ্ট্ৰয়। দিম | বলিলেন, “এ নম্বরের নোট মতে । কোন ভয় নাই— তুমি ঘরে যাও । আমি কন্‌ষ্টেবলকে বিদায় করিয়। দিতেছি ।” هم؟ حكية ব্ৰহ্মানন্দ মৃতদেহে প্রাণ পাইল, উৰ্দ্ধশ্বাসে তথ। হইতে পলায়ন করিল। - মাধবীনাথ কন্যাকে চিকিৎসার্থ স্বগৃহে লইয়। গেলেন । তাহার চিকিৎসার্থ উপযুক্ত চিকিৎসক বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী নিযুক্ত করিয়া দিয়া স্বয়ং কলিকাতায় চলিলেন । ভ্রমর অনেক আপত্তি করিল—মাধবীনাথ তাহা শুনিলেন , না । “শীঘ্রই আসিতেছি, এই বলিয়া কন্ত্যকে প্রবোধ দিয়া গেলেন । কলিকাতাঘ নিশাকর দাস নামে মাধবীনাথের এক জন বড় আত্মীয় ছিলেন । নিশাকর মাধবীনাথের অপেক্ষা তাট দশ বৎসর বয়ঃকনিষ্ঠ ৷ নিশাকর কিছু কদেন না পৈতৃক বিষয় আছে--কেবল একটু একটু গ বাষ্ঠের অনুশীলন করেন : নিষ্কৰ্ম্ম বলিয়া সৰ্ব্বদ! পর্যটনে গমন করিয়া থাকেন । মাধবীনাথ তাহার কাছে আসিয়। সাক্ষাৎ করিলেন । অল্প্যান্স কথার পর নিশাকরকে ভিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন হে, বেড়াইতে সাইবে ?” নিশা । কোথায় ? মাপ • সর্শের । নি । সেখানে কেন ? ম। । নীলকুঠি কিনৃব ! নি ; চল । তথন বিহিত উদ্যোগ করিয়া তই বন্ধু এক দিনের মধ্যে সশোহরাভিমুখে সারা করিলেন ; সেখান হইতে প্রসাদপুব সাইবেন । • snowningwa mar পঞ্চম পরিচ্ছেদ দেখ. পীরে ধীরে শীর্ণ শরীর। চিত্রানদী বহিতেছে— "পে অগ্রন্স, পদস্ব. অ’ ঘ, খৰ্জ্জব প্রভৃষ্টি অসংখ্য বৃক্ষশাভিত পপনে কোকিল, দন্ডুেল, পাপিয়। ডাকি লেছে ! নিকটে থাম নাই । প্রসাদপুর নামে একটি ক্ষুদ্র বাঙ্গর প্রায় এক ক্রোশ পথ দূর । এখানে মত্স্যসমাগম নাই দেখিয় , নি:শঙ্কে পাপ|Fপণ কৰিব!র স্থান পুঝিম। পুৰ্ব্বকালে এক নীলকর সাঠেৰ এইখানে এক নীলকুঠি প্রস্থ ত করিয়াছিল । এক্ষণে নীলকর এবং ত:হার ঐশ্বর্য ধ্বংসপুরে প্রয়াণ করিঘাষ্ঠে --তাহার আর্মান, হাগাদগার, নায়েব, গোমস্ত; সকলে উপস ক্ৰ স্তানে স্বকৰ্ম্মার্জিত ফলভোগ করিতেছেন। এক জন বাঙ্গলী সেই জনশূঙ্গ প্রান্তরস্থিত রম্য অটিলিক! ক্রর করিয়া তাত সুসজ্জিত করিয়াছিলেন । পুষ্পে, প্রস্তরপুস্তলে, আসনে, দর্পনে, চিত্রে সুখ বিনির গুইয়। উঠিয়াছিল । তাহার অভ্যস্তরে দ্বিতলস্থ বৃহৎ কক্ষমধ্যে আমরা প্রবেশ করি। কক্ষমধ্যে কতকগুলি রমণীয় চিল-কিন্তু কতকগুলি সুরুচিবিগর্কিত—অবর্ণনীয় । নিৰ্ম্মল সুকোমল আসনোপরি উপবেশন করিয়া এক জন শ্মশ্রীধারী মুসলমান একটা