পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o -- - ब्लॉथ ! झ* cqशेंद्र दछश्वः-- ”তোমার নাম কি ?” রাধ। রাধারাণী । • ..হুঁ। রাধারাণি ! তুমি ছেলেমানুষ, একল রথ দেখিতে গিয়াছিলে কেন ?” - :.. তখন সে কথায় কথায় মিষ্ট মিষ্ট কথাগুলি বিলিয়া, সে এক পয়সার বনফুলের মালার সকল কথাই বাহির করিয়া লইল । শুনিল যে, মাতার পথ্যের জন্য বালিক। এই মাল গাথিয়। রথহাটে বেচিতে গিয়াছিল –রথ দেখিতে যায় নাই সে মালাও বিক্রয় হয় নাই –এক্ষণেও বালিকার ছদয় মধ্যে লুক্কায়িত আছে । তখন সে বলিল, জোমি একছড়া মাল খুজিতেছিলাম। আমাদের "ী ঠাকুর আছেন, তাহাকে পরাইব । রথের হাট ষ্ট্রভাঙ্গিয়া গেল -আমি তাই মালা কিনিতে পারি মাই। তুমি মালা বেচ ত আমি কিনি ৷” রাধারাণীর আনন্দ হুইল, কিন্তু ভাবিল যে, জুমমাকে যে এত যত্ন করিয়া, হাত ধরিয়l, এ অন্ধকারে বাড়ী লইয়া যাইতেছে, তাহার কাছে দাম লইৰ কি প্রকারে ? তা নহিলে আমার মা খেতে পাবে না —ত নিই। এই ভাবিয়া রাধারাণী মালা সমভিবাহারীকে i দিল। সমভিবাহারী বলিল, “ইহার দাম চারি পয়সা—এই লও।” সমভিবাহার এই বলিয়। মূল্য দিল। রাধারাণী বলিল, “এ কি পয়সা ? এ ষে বড় বড় ঠেকচে ।” " "ডবল পয়সা-দেৰিতেছ না, দুষ্টট বৈ দিষ্ট । नाङ्के " রাধা । - তা এ যে অন্ধকারেও চকচক কচে । ভূমি ভুলে টাক। দাও নাই ত ? “না। নূতন কলের পয়স, তাই চক্চক্‌ করচে।" , রাধা । তা আচ্ছা, ঘরে গিয়ে প্রদীপ জেলে দি দেখি যে পয়সা নয়, তখন ফিরাইয়। দিব । গমাকে সেখানে একটু দাড়াইতে হইবে । কিছু পরে তাহারা রাধারাণীর মা'র কুটারদ্বারে জাসিয়া উপস্থিত হইল । সেখানে গিয়া রাধারাণী বুলিল, “তুমি ঘরে অসিয়া দাড়াও, আমরা আলো জলিয়া দেখি টাকা কি পয়সা ।” ;, সঙ্গী বলিল, “আমি বাহিরে দাড়াইয়া আছি, তুমি ভিজা কাপড় ছাড়—তার পর প্রদীপ জালিও ” ... রাধারাণী বলিল, “আমার তার কাপড় নাই— একখানি ছিল, তাহা কাচিতে দিয়াছি । তা আমি ভিজা কাপড়ে সৰ্ব্বদা থাকি, আমার ব্যামে। হয় না। s ਾਂ আঁচোলটা নিংড়ে পরিব এখন । তুমি দাড়াও আমি আলো জালি " | “আচ্ছা ” ঘরে তৈল ছিল না, সুতরাং চালের খড় পাড়িয়া . চকুমকি ঠুকিয়া আগুন জালিতে হইল। আগুন , জালিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল। আলো জালিয়। রাধীরাণী দেখিল, টাক। বটে, পয়সা নহে । তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া আলো ধরিয়া তল্লাস করিয়া দেখিল যে, যে টাকা দিয়াছে, সে নাই, চলিয়। গিয়াছে । ... " রাধারাণী তখন বিষঃ-বদনে সকল কথা তাহার মাকে বলিয়! মুখপানে চাহিয়া রহিল—সকাতরে বলিল—“ম,—এখন কি হবে ?" মা বলিল, “কি হবে বাছা ! সে কি আর ন৷ জেনে টাকা দিয়েছে ? সে দাতা, আমাদের দুঃখ শুনিয় দান করিয়াছে —আমরাও ভিখারী হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি ।” তাহারা এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিল, এমন সময়ে কে আসিয় তাহাদের কুটীরের আগড় ঠেলিয়৷ বড় সোরগোল উপস্থিত করিল। রাধারাণী দ্বার খুলিয়। দিল ; মনে করিয়াছিল যে, সেই তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন । পোড়া কপাল ! তিনি কেন ? পোড়ারমুখে। কাপুড়ে মিন্‌বে । রাবারাণীর মা'র কুটার বাজারের তানতিদূরে । তাহাদের কুটীরের নিকটেই পদ্মলোচন সাহার কাপড়ের দোকান ! পদ্মলোচন খোদ,—পোড়ারমুখে কাপুড়ে মিন্‌ষে–একজোড়া নুতন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় হাতে করিয়| আনিয়াছিল, এখন দ্বার খোলা পাইয়া তাহ। রাধারাণীকে দিল, বলিল, “রাপারাণীর এই কাপড় ।” রাধীরাণী বলিল, “ও মা, কাপড় ?” পদ্মলোচন—সে বাস্তবিক পোড়ারমুখে কি ন}, তাহা আমরা সবিশেষ জানি না—রাধ রাণীর কথ। শুনিয়া কিছু বিঘ্নিত হইল, বলিল, “কেন, এই যে এক বাবু এখনই আমাকে নগদ দাম দিয়া বলিয়া গেল যে, এই কাপড় এখনই ঐ রাধারাণীকে দিয়া এস।” রাধারাণী তখন বলিল, “ও মা, সেই গো ! সেই তিনিষ্ট কাপড় কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন । হঁ্য গো পদ্মলোচন—" রাধারাণীর পিতার সময় হইতে পদ্মলোচন ইহাদের কাছে সুপরিচিত—অনেকবারই ইহাদিগের নিকট, যখন সুদিন ছিল, তখন চারি টাকার কাপড় আমার কিসের