পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• మీకేమీ - : . ،يُنة * . . . . కొళెప" - - - i..." , مج۔ ۔ ۔ ۔ ۔ ۔ ۔.

  • *

শপথ করিয়া আট টাকা সাড়ে বারে আনা, আর দুই আনা মুনফা লইতেন। “হ্যা পদ্মলোচন—বলি, সে বাবুটিকে চেন ?” পদ্মলোচন বলিল, “তোমরা চেন না ?” রাধা । না । পদ্ম । আমি বলি, তোমাদের কুটুম্ব । আমি চিনি না । যাহা হউক, পদ্মলোচন চারি টাকার কাপড় আবার মায় মুনফ আট টাকা সাড়ে চৌদ্দ আনায় বিক্রয় করিয়াছেন, আর অধিক কথা কহিবার প্রয়োজন নাই বিবেচনা করিয়া প্রসন্নমনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন । এ দিকে রাধ।রাণী প্রাপ্ত টাক। ভাঙ্গাইয়। মা'র পথ্যের উদ্যোগের জন্য বাজারে গেল । বাজার করিয়া তেল আনিয়া প্রদীপ জ্বালিল । মা’র জন্ত যৎকিঞ্চিং রন্ধন করিল । স্থান পরিষ্কার করিয়া, মাকে অন্ন দিবে, এই অভিপ্রায়ে ঘর ঝর্ণটাইতে লাগিল । ঝর্ণটাইতে একখান! কাগজ কুড়াইয়া পাইল—হাতে করিয়৷ তুলিল, “এ কি মা !" ম{ দেখিরা বলিলেন—“একখান| নোট " রাধারাণী বলিল,—“তবে তিনি ফেলিয়া গিয়াছেন ।” মা বলিলেন, “তা ! তোমাকে দিয়া গিয়াছেন । দেখ, তোমার নাম লেখা আছে ।" রাধারাণী বড়ঘরের মেয়ে, একটু অক্ষরপরিচয় ছিল । সে পড়িয়া দেখিল, তাই বটে । লেখা আছে। রাধারাণী বলিল, “ক্ট মা, এমন লোক কে মা ?” ম। বলিলেন, “তাহার নামও নেটে লেখা আছে । পাছে কেহ চোরা মোট বলে, এই জন্ত নাম 1লখিয়া দিয়া গিয়াছেন । তাহার নাম রুক্মিণীকুমার রায় ।” পরদিন মাতার কন্যায় রুক্মিণীকুমার রায়ের অনেক সন্ধান করিল। কিন্তু শ্রীরামপুরে বা নিকটবৰ্ত্তী কোন স্থানে রুক্মিণীকুমার রায় কেহ আছে, এমত কোন সন্ধান পাইল না । নোটখানি তাহারা ভাঙ্গাইল না—তুলিয়। রাখিল—তাহার। দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ রাধারাণীর মাত পথ্য করিলেন বটে, কিন্তু সে রোগ হইতে মুক্তি পাওয়া তাহার অদৃষ্ট ছিল না। তিনি অতিশয় ধনবতী ছিলেন, এখন অতি দুঃখিনী ইয়াছিলেন, এই শারীরিক এবং মানসিক ঘিঞ্জি কষ্ট তাহার সহ্য হইল না। রোগ ক্রমে বৃদ্ধি পাইঃ র্তাহার শেষকাল উপস্থিত হইল । . .”. এমত সময়ে বিলাত হইতে সংবাদ আসিল ষ্টে প্রিবিকেন্সিলের আপীল তাহার পক্ষে নিষ্পত্তি ইষ্ট য়াছে, তিনি আপন সম্পত্তি পুনঃপ্রাপ্ত হইরেন, ওয়াশিলাতের টাকা ফেরত পাইবেন এবং ལཱ་ཨཱཿཧཱུཾ་ খরচ পাইবেন । কামাখ্যানাথ বাবু তাহার পক্ষে হাইঃ কোর্টের উকিল ছিলেন, তিনি স্বয়ং এই সংবাদ লইয়া রাধারাণীর মাতার কুটারে উপস্থিত হইলেন । স্বসত্ৰী শুনিয়া রুগ্নার অবিরল নয়নাশ পড়িতে লাগিলঃ তিনি নয়নশ সংবরণ করিয়া কামাখ্যাবাবুগ্ৰী বুলিলেন, “যে প্রদীপ নিবিয়াছে, তাহাতে তেল দিলে কি হইবে ? আপনার এ স্বসংবাদেও আমার আর প্রাণরক্ষা হইবে না । আমার আয়ুঃশেষ হইয়াছেf তবে আমার এই সুখ যে, রাধারাণী আর অনাহারে প্রাণত্যাগ করিবে না। তাই বা কে জানে ? সে বালিক, তাঙ্গর এ সম্পত্তি কে রক্ষা করিবে ? কেবল আপনি ভরসা। আপনি আমার এই অন্তিমকালে আমারে একটি ভিক্ষণ দিউন—নহিলে আর কাহার কাছে চাহিব ?” - কামাখ্যাবাবু অতি ভদ্রলোক এবং তিনি রাধারাণীর পিতার বন্ধু ছিলেন। রাধারাণীর মাতা কুর্দশাগ্রস্ত হইলে, তিনি রাধারাণীর মাতাকে বলিয়াছিলেন যে, “ষত দিন না আপীল নিম্পত্তি পায়, অন্ততঃ তত দিন তোমরা আসিয়া আমার গৃহে অবস্থান কর, আমি আপনার মাতার মত তোমাকে রাখিব ।” রাধারাণীর মাতা তাহাতে অস্বীকৃত হইয়াছিলেন । পরিশেষে কামাখ্যাবাবু কিছু কিছু মাসিক সাহায্য করিতে চাহিলেন ! “এখনও কিছু হাতে আছে— আবখ্যক হইলে চাহিয়া লইব ।" এইরূপ মিথ্যা কথা বলিয়া রাধারাণীর মাত সে সাহায্য গ্রহণে অস্বীকৃত হইয়াছিলেন । রুক্মিণীকুমারের দানগ্রহণ র্তাহাদিগের প্রথম ও শেষ দানগ্রহণ । ... . . কামাখ্যাবাবু এত দিন বুঝিতে পারেন নাই যে, তাহার এরূপ দুর্দশাগ্রস্ত হইয়াছেন । দশা দেখিযু কামাখ্যাবাবু অতান্ত কাতর হইলেন । আৰাৱ রাধারাণীর মাতা যুক্তকরে তাহার কাছে ভিক্ষা চাহিলেন দেখিয়া আরও কাতর হইলেন ; বলিলেন: “আপনি আজ্ঞা করুন, আমি কি করিব ? আপনারঃ যাহা প্রয়োজনীয়, আমি তাহাই করিব।”_ ; রাধারাণীর মাতা বলিলেন, “আমি চলিলাম, কিন্তু রাধারাণী রহিল । এক্ষণে আদালত হইতে আমার !