পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مه ۔ ”صلى الله عليه وسلم ধারাণী বলিল,—বড় কষ্টে বলিতে হইল, কেন ক্ষের জল থামে না, আবার সেই চক্ষের জলের *ঃৰাৰ্থ হইতে পোড়া হাসি আসিয়া পড়ে— দিগ্নী বলিল, “ত আপনি এতক্ষণ কেবল সেই স্ট্রীর কথাই েবলিলেন, আমাকে যে কেন দর্শন রাষ্ট্রেম তা ত এখনও বলেন নাই ।” টুর্থীগ, এমন করিয়া কি কথা কহ। যার গ৷ ? #ারগলা ধরিয়৷ কঁাদিতে ইচ্ছা করিতেছে, ‘প্ৰাণেশ্বর : স্থানীর সর্বস্ব ", চিরবাঞ্ছিত " বলিয়া যাহাকে কিতে ইচ্ছা করিতেছে, আবার যাকে সেই সঙ্গে ‘ষ্ঠ। *সেই রাধারাণী পোড়ারমুখী তোমার কে হয় গা' &টা তামাসা করিতে ইচ্ছা করিতেছে —তাহার টুজ আপনি মিশাই’ ‘দর্শন দিয়াছেন, এই সকল থে নিয়ে কি কথা কহ। যার গ? তোমরা পাঁচ নরসিক, প্রেমিক, বাকৃচতুর, বয়োপিকা ইত্যাদি আছ, তোমরা পাঁচ জনে বল দেখি, ছেলে মানুষ রাধারাণী কেমন করে এমন কথা কয় গ ? ; : রাধারাণী মনে মনে একটু পরিতাপ করিল, কেন }া, কথাটা একটু ভৎসনার মত হুইল ; রুক্মিণী }মার একটু অপ্রতিভ হইয়া বলিলেন, “তাই বলিতে , আমি সেই রাধারাণীকে চিনিতাম—রাপ।" রাণীকে মনে পড়িল, একটু—এতটুকু অন্ধকার রাত্রে জোনাকির ন্যায়—এতটুকু আশা হইল থে, ঘদি এই রাধারাণী আমার সেই রাপারাণী হয় ।” ; “তোমার রাধারাণী ।" রাধারাণী ছল ধরির। চুপি চুপি এই কথাটি বলিয়। মুখ নত করিয়া সুখং প্লসিল। হঁ। গী, ন হেসে কি থাকা যায় গ| } তোমরা আমার রাধারাণীর নিন্দ করিও না । # রুক্মিণীকুমারও মনে মনে ছল পরিল, “এ তুমি’ গলে কেন ? কে এ ?" প্রকাশ্বে বলিল, “আমারই রাণী । আমি একরাত্রিমাত্র তাহাকে দেখিয়। #দেখিয়াছিই বা কেমন করিয়া বলি এই আট সিরেও তাহাকে ভুলি নাই। আমারই রাধারাণী ।” রাধারাণী বলিল, “হোক আপনারই রাধারাণী।” i. রুক্মিণীকুমার বলিতে লাগিলেন, “সেই ক্ষুদ্র আশায় আমি কামাখ্যাবাবুর জ্যেষ্ঠ পুলকে জিজ্ঞাস করিলাম, রাধারাণী কে? কামাখ্যাবাবুর পুত্র সবিস্তারে পরিচয় দিতে বোধ হয় অনিচ্ছুক ছিলেন ; কেবল Hলিলেন, ‘আমাদিগের কোন আত্মায়ের কণ্ঠ।। ৰৈখানে তাহাকে অনিচ্ছুক দেখিলাম, সেখানে আর মধিক পীড়াপীড়ি করিলাম না, কেবল জিজ্ঞাসা ল্পরিলাম, রাধারাণী কেন রুক্মিণীকুমারের সন্ধান কুরিয়াছিলেন, শুনিতে পাই কি? যদি প্রয়োজন হয় अशक्नै د . ত বোধ করি, আমি কিছু সন্ধান দিতে পারি ? আমি এই কথা বলিলে তিনি বলিলেন, ‘কেন রাধারাণী রুক্মিণীবাবুকে খুজিয়াছিলেন, তাহা আমি সবিশেষ জানি না, আমার পিতৃঠাকুর জানিতেন, বোধ করি, অামার ভগিনীও জানিতে পারেন । যেখানে আপনি সন্ধান দিতে পারেন বলিতেছেন, সেখানে আমার ভগিনীকে জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতে হইতেছে।" এই বলিয়া তিনি উঠিলেন। প্রত্যাগমন করিয়। তিনি আমাকে যে পত্র দিলেন, সে পত্র আপনাকে দিয়াছি । তিনি আমাকে সেই পত্ৰ দিয়া বলিলেন, ‘আমার ভগিনী সবিশেষ কিছু ভাঙ্গিয় চুরিয়া বলিলেন না, কেবল এই পত্র দিলেন, আর বলিলেন যে, এই পত্র লইয়। তাহাকে স্বয়ং রাজপুরে যাইতে বলুন । রাজপুরে যিনি অন্নসত্ৰ দিয়াছেন, তাতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বলিলেন । আমি সেই পল লষ্টয় আপনার কাছে আসিয়াছি । কোন অপরাপ করিয়াছি কি ?” রাধারণী বলিল, “জানি ন| বোধ হয় যে, আপনি মহাপ্রমে পতিত হক্টরাই এখানে আসিয়াছেন, আপনার রাধারণী কে, তহ| আমি চিনি কি ন}, বলিতে পারিতেছি না । সে রাধারাণীর কথা কি, শুনিলে বলিতে পারি, আমি হইতে তাহার কোন সন্ধান পা প্ৰয়। যাইবে কি না ।" রুক্মিণী সেষ্ট রপের কথ। সবিস্তারে বলিলেন, কেবল নিজদত্ত অপর্বস্ত্রের কথ। কিছু বলিলেন না । রাধারাণী বলিলেন—“স্পষ্ট কখ। মার্জন করিবেন। আপনাকে রাধারাণীর কেন কথা বলিতে সাহস হয় ন!, কেন না, তাপনাকে দয়ালু লোক বলিয়া বোপ হইতেছে না । যদি আপনি সেরূপ দয়াদচিত্ত হইতেন, তাহ হইলে আপনি যে ভিখারা বালিকার কথ। বলিলেন, তাহাকে আমন দুর্দশাপন্ন দেখিয়া অবশ্ব তার কিছু আন্তকুল্য করিতেন। কৈ আনুকুল্য করার কথ। ত কিছু আপনি বলিলেন না ?” রুক্মিণীকুমার বলিলেন, “আল্লকুল্য বিশেষ কিছুই করিতে পারি নাই । আমি সে দিন নৌকাপথে রথ দেখিতে ‘অসিয়াছিলাম : পাছে কেহ জানিতে পারে, এই জন্য রুক্মিণীকুমার রায় পরিচয়ে লুকাইয়৷ আসিয়াছিলাম-অপরাহ্লে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় বোটে থাকিতে সাহস না করিয়া এক। তটে উঠিয়া আসিয়াছিলাম । সঙ্গে যাহ। অল্প ছিল, তাহ রাধারাণীকেই দিয়াছিলাম ; কিন্তু সে অতি সামাষ্ঠ । পরদিন প্রাতে আসিয়া উহাদের বিশেষ সংবাদ লইব মনে করিয়াছিলাম ; কিন্তু সেই রাত্রে আমার পিতার