* ෆ নাসিক গরুড়ের নাসার স্যায় মহা বিশাল ; দেখিয়া গরুড় আশঙ্কায় বৃক্ষারোহণ করিল, সেই অবধি পক্ষি কুল বৃক্ষের উপরেই থাকে। কারণান্তরে দাড়িম্ব বঙ্গদেশ ছাড়িয়া পাটনা অঞ্চলে পলাইয়। রহিলেন ; আর হস্তী কুন্ত লইয়া ব্ৰহ্মদেশে পলাইলেন ; বাকি ছিলেন ধবলগিরি, তিনি দেখিলেন যে, আমার চূড়৷ কতই বা উচ্চ, আড়াই ক্রোশ বৈ ত নয়, এ চুড়া অনু্যন তিন ক্রোশ কইবে ; এই ভাবিতে ভাবিতে ধবলগিরির মাথা গরম হইয়া উঠিল, বরফ ঢালিতে লাগিলেন, তিনি সেই অবধি মাথায় বরফ দিয়া বসিয়া আছেন । কপালের লিখন-দোষে অtশমানী বিধব{! আtশমানী দিগগজের কুটীরে আসিয়া দেখিল যে, কুটীরের স্বার রুদ্ধ, ভিতরে প্রদীপ জ্বলিতেছে । ডাকিল,— “ও ঠাকুর ” কেউ উত্তর দিল না । বলিল,—“ও গোসাই !” উত্তর নাই । “মৰ্ব, বিটুলে কি করিতেছে ? s রসিক রাজ রসোপাধ্যায় প্রভু !" উত্তর নাই । আশমানী কুটীরের দ্বারের ছিদ্ৰ দিয়া উকি মারিয়া দেখিল, ব্রাহ্মণ আহারে বসিয়াড়ে, এই জন্য কথা নাই, কথা কহিলে, ব্রাহ্মণের আহার হয় না । আশমানী ভাবিল, “ইহার আবার নিষ্ঠ ; দেখি দেখি, কথা কহিয়া আবার খায় কি ন৷ ”
- বলি ও রসিকরাক্ত "
উত্তর নাই ।
- ও রসরাজ !"
উত্তর –“হু৭ lo ”বামুন ভাত গালে করিয়৷ উত্তর দিতেছে, ত কথা হ’ল না”—এই ভাবিয়া অ1শ স্থানা কহিল, -- *ও রসমাণিক "ি উত্তর—“হুম্ ” অ ! বলি কথাই ক ও না, খে ধু এর পরে । উত্তর । “হু—উ—ডম্ !" আ । বটে, বামুন হইয়া এই ক1.--- আমি স্বামী ঠাকুরকে ব’লে দেব, ধরের ভিতরে কে গু ? ব্ৰাহ্মণ সশঙ্কচিত্তে শৃষ্ঠঘরের চতুঃদক নিরীক্ষণ করিতে লাগিল । কেহ নাই দেখিয়া পুনৰ্ব্বার আহার করিতে লাগিল । আশমানী বলিল, “ও মাগী ষে জেঙে চড়াল ! আমি যে চিনি “ বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী দিগগজের মুখ শুকাইল ! বলিল, “কে চাড়াল ? টুয়া পড়ে নি ত?” আশমানী আবার কহিল, “ও, আবার খাও ষে ? কথ। কহিয়! আবার খাও ?” দি । কই কখন কছিলাম ? আশমানী খিল্ খিলু করিয়া হাসিয়া উঠিল, বলিল, “এই তে ককিলে ” দি । বটে, বটে, বটে, তবে আর খাওয়া হইল না । অ ! হা ত, উঠে আমায় দ্বার খুলে দাও । আশমানী ছিদ্র হইতে দেখিতেছিল, ব্রাহ্মণ যথার্থই অন্ন s্যাগ করিয় উঠে । কহিল, "না, না, ও কয়টি ভাত খাই উঠিও ” দি । না, অ৷র খাওয়া হইবে না, কথা কহিয়াছি । আt । সে কি ? না খাও ত আমার মাথা খাও । দি । রাধে মাধব ! কথা কহিলে কি আর আহার করিতে আছে ? অ ! বটে, তবে আমি চলিলাম । তোমার সঙ্গে আমার অনেক মনের কথা ছিল, কিছুষ্ট বলা হইল না । আমি চলিলাম । দি । না, শী, আশমান ! তুমি রাগ করিও ন! : আমি এই খাইভেছি । রাহ্মণ আবার খাষ্ট ে লাগিল ; তই তিন গ্রাস আহাৰ করিবামার আশমানা কহিল, ”উঠ, হইয়াছে : দ্বার খোল ” দি ! এই কটু ভাত খাই । অ ! এ যে পেট আর ভরে না ; উঠ, নহিলে কথ। কহিয়া ভাত গাই য়াছ, বলিয়া দিব । দি । তাঃ না গু ; এই উঠিণাম । বাহ্মণ অতি ক্ষুঃমনে অম্লত্যাগ করিয়া, গধুৰ্য করিখ উঠিণ দ্বাব খুলিয়। দিল । ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ আশমানীর প্রেম দ্বার গুলিলে আশমানা গৃহে প্রবেশ করিবামাত্র দিগগজের হৃদ্বোধ হইল যে, প্রণয়িনী আসিয়াছেন, "কাল্প সল্পস অভ্যর্থনা করা চাই, অতএব হস্ত উত্তোলন করিয়া কহিলেন, -"ওঁ আয়াহি বরদে দেবি ।” আশমান কহিল, “এটি যে বড় সরস কবিতা, কোখ পাঠলে ?” দি । তোমার জন্য এটি আজ রচনা করিয়া রাখিয়াছি ।