পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - , ; * rio ; : * * a ** ছুর্গেশনন্দিনী : , , is . . থাকে ; আমনি আবার রাষ্ম কতলু গার বিচারমন্দিরের স্মৃতি হৃদয়মধ্যে বিদ্যুদৃবৎ চমকিত হয়, সেই কুসুমস্থকুমার বপু পাপিষ্ঠ পাঠানের অঙ্কন্যস্ত দেখিতে পান, আবার দারুণাগ্নিতে হৃদয় জলিতে থাকে । তিলোত্তম। তাহার হৃদয়মন্দিরাধিষ্ঠাত্রী দেবীমূৰ্ত্তি । সেই তিলোত্তম। পাঠান-ভবনে । সেই তিলোত্তম। কতলুগার উপপত্নী ! আর কি সে মূৰ্ত্তি রাজপুতে আরাধনা করে ? সে প্রতিম। স্বহস্তে স্থানচু্যত করিতে সঙ্কোচ না করা কি রাজপুতের কুলোচিত ? যে প্রতিমা জগংসিংহের হৃদয়মধ্যে বদ্ধমূল হইয়া ছিল, তাহাকে উন্মুলিত করিতে মূলাধার হৃদয়ও বিদীর্ণ হইবে । কেমন করিয়। চিরকালের জন্য সে মোহিনী মূৰ্ত্তি বিস্মৃত হইবেন ? সে কি হয় ? যত দিন মেধা থাকিবে, যতদিন অস্থিমজ্জ-শোণিত নিৰ্ম্মিত দেহ থাকিবে, তত দিন সে হৃদয়েশ্বরী হইয়া বিরাজ করিবে ! এই সকল উংকট চিন্তায় রাজপুত্রের মনের স্থিরতা দূরে থাকুক, বুদ্ধিরও অপভ্রংশ হইতে লাগিল, স্মৃতির বিশৃঙ্খল হইতে লাগিল ; নিশাশেষেও দুই করে মস্তক ধারণ করিয়া বসিয়া আছেন, মস্তিষ্ক ঘুরিতেছে, কিছুই আলোচনা করিবার আর শক্তি নাই । একভাবে বহুক্ষণ বসিয়ু জগতসিংহের অঙ্গবেদন। করিতে লাগিল ; মানসিক যন্ত্রণার প্রগাঢ়তায় শরীরে f ` ప్ర్ర్మ sto এভক্ষণ যে ছুরিকা সঞ্চালনে হৃদয় বিদ্ধ হইতেছিল, এক্ষণে তাহা দূর হইয়া অপেক্ষাকৃত তীক্ষ্ণতাশূন্ত নৈরাপ্ত মনোমধ্যে প্রবেশ করিতে লাগিল । আশ| ত্যাগ করাই অধিক ক্লেশ, একবার মনোমধ্যে নৈরাপ্ত স্থিরতর হইলে আর তত ক্লেশকর হয় না;l; অস্ত্রাঘাতই সমধিক ক্লেশকর ; তাহার পর বে: ক্ষত হয়, তাহার যন্ত্রণ স্থায়ী বটে, কিন্তু তত উৎকট নন্সে । জগতসিংহ নিরাশার মুদ্রতর যন্ত্রণা ভোগ করিতে লাগিলেন । অন্ধকার নক্ষত্রহীন গগন প্রতি চাহিয়া, এক্ষণে নিজ হৃদয়াকাশও যে , তদ্রপ অন্ধকার নক্ষত্রচীন হইল, সজল চক্ষুতে তাঁহাই ভাবিতে লাগিলেন । ভূতপূৰ্ব্ব সকল মুক্তভাবে স্মরণপথে আসিতে লাগিল ; বালকাল, কৈশোর-প্রমোদ; সকল মনে পড়িতে লাগিল ; জগৎসিংহের চিত্ত তাহাতে মগ্ন হইল ; ক্রমে অধিক অন্যমনস্ক হইতে লাগিলেন, ক্রমে অধিক শরীর শীতল হইতে লাগিল ; বাতায়ন । অবলম্বন করিয়া জগতসিংহের তন্দ্রা আসিল । নিদ্রিতাবস্থায় রাজকুমার স্বপ্ন দেখিলেন ; গুরুতর, যন্ত্রণাজনক স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন ; নিদ্রিত বদনে ভ্ৰকুটি হইতে লাগিল ; মুখে উৎকট ক্লেশব্যঞ্জক ভঙ্গী হইতে লাগিল ; আধর কম্পিত, বিচলিত হইতে লাগিল ; ললাট ঘৰ্ম্মাক্ত হইতে লাগিল ; করে দৃঢ়মুষ্টি বদ্ধ হইল । চমকের সহিত নিদ্রাভঙ্গ হইল ; অতি ব্ল্যু কুমার কক্ষমধে। পাদচারণ করিতে লাগিলেন ;. ক্লঞ্জ ক্ষণ এইরূপ যন্ত্রণ ভোগ করিতে লাগিলেন, তান্ধী নিশ্চিত বলা মুকঠিন। যখন প্রাতঃস্থৰ্য্যকরে হুৰ্ম্ম্য" প্রাকার দীপ্ত হইতেছিল তখন জগৎসিংহ হুৰ্ম্ম্যতলে: জরের ন্যায় সন্তাপ জন্মিল, জগতসিংহ বাতায়ন-সন্নিধানে গিয় দাড়াইলেন । শীতল নৈদাঘ বায়ু আসিয়া জগতসিংহের ললাট স্পর্শ করিল। নিশা অন্ধকার : আকাশ অনিবিড় বিন শয্যায়, বিন উপাধীনে লম্বমান হইয়া নিত্রঃ মেঘাৰ্বত ; নক্ষত্রাবলী দেখা যাইতেছে না ; কদাচিৎ মাইতেছিলেন । o সচল মেঘ-খণ্ডের আবরণাভ্যন্তরে কোন ক্ষীণতার ওসমান আসিয় তাহাকে উঠাইলেন । রাজপুত্র দেখা যাইতেছে ; দূরস্থ বৃক্ষশ্রেণী অন্ধকারে পরস্পর মিশ্রিত হইয়া তমোময় প্রাচীরবৎ আকাশতলে রহিয়াছে ; নিকটস্থ বৃক্ষে বৃক্ষে খদ্যোতমালা হীরকচূৰ্ণবৎ জলিতেছে ; সন্মুখস্থ এক তড়াগে আকাশ বৃক্ষাদির প্রতিবিম্ব অন্ধকারে অস্পষ্টরূপ স্থিত রহিয়াছে । মেঘস্পষ্ট শীতল নৈশ বায়ুসংস্পর্শে জগতসিংহের কিঞ্চিৎ দৈহিক সস্তাপ দূর হইল । তিনি বাতাম্বনে হস্তরক্ষা পূর্বক তদুপরি মস্তক ন্যস্ত করিয়া দাড়াইলেন। উন্নিদ্রায় বহুক্ষণাবধি উৎকট মানসিক যন্ত্রণা সহনে অবসন্ন হইয়াছিলেন ; এক্ষণে স্নিগ্ধ বায়ুম্পর্শে কিঞ্চিৎ চিন্তাবিরত হইলেন, একটু অন্যমনস্ক হইলেন। নিদ্রোথিত হইলেন, ওসমান তাহাকে অভিবাদন করিয়া তাহার হস্তে একখানি পত্র দিলেন । রাজপুত্র পত্র হস্তে লইয়া নিৰুজ্ঞরে ওসমানের মুখের পানে । চাহিয়া রহিলেন । ওসমান বুঝিলেন, রাজপুত্র আত্মবিহবল হুইয়াছেন। অতএব এক্ষণে প্রয়োজনীয় কথোপকথন হইতে পারিবে না, বুঝিতে পারিয়া কহিলেন, “রাজপুত্র! আপনার ভূমিশয্যার কারণ, জিজ্ঞাসা করিতে আমার কৌতুহল নাই। এই পত্রপ্রেরিকার নিকট আমি প্রতিশ্রত ছিলাম যে, এই . পত্র আপনাকে দিব, যে কারণে এত দিন এই পত্র আপনাকে দিই নাই, সে কারণ দূর হইয়াছে। আপনি সকল জ্ঞাত হইয়াছেন। অতএব পত্র আপনার নিকট: ,