পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (প্রথম ভাগ).djvu/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिषड्डच 蛾 曦 अगा ! अछ बांश्रवद्र कि, प्रबन चांदह ? यांदांद्र মিন্‌ষে আমায় বলে, কুনকে এনে দে । আর বলুতে লোক পেলেন না ! মারি মিন্‌ষের নাকে এক কিল। আহা, তার নাকে কিল মেরেও স্বথ । দূর হোক, ও সব কথা ষাকৃ! ও পথেও ধৰ্ম্মের কঁটি। এ জন্মের সুখদুঃখ অনেককাল ঠাকুরকে দিয়াছি । তাই বলিয়া কুন্দকে দেবেন্দ্রের হাতে দিতে পারিব না। সে কথা মনে হ'লেও গা জাল করে ; বরং কুন্দ যাহাতে কখনও তার হাতে না পড়ে, তাই করিব । কি করিলে তাহা হয় ? কুন্দ যেখানে ছিল, সেইখানে থাকিলেই তার হাতছাড়া । সে বৈষ্ণবীই সাজুক, আর বাসদেবই সাজুক, সে বাড়ীর ভিতর দন্তস্ফুট হইবে না। তবে সেইখানে কুন্দকে ফিরিয়া রাখিয়া আসাই মত । কিন্তু কুন্দ যাইবে না—আর সে বাড়ীমুখে হইবার মত নাই। কিন্তু যদি সবাই মিলে ‘বাপু বাছা ব’লে লইয়। ষায়, তবে যাইতেও পারে । আর একটা আমার মনের কথা আছে, ঈশ্বর তাহ কি করিবেন ? স্বৰ্য্যমুখীর থোত মুখ ভোতা হবে ? দেবতা করিলে হ'তেও পারে । আচ্ছ। স্বৰ্য্যমুখীর উপর আমার এত রাগই বা কেন ? সে ত কখন আমার কিছু মন্দ করে নাই, বরং ভালই বাসে, ভালই করে । তবে রাগ কেন ? তা কি হীরা জানে না ? হীরা ন জানে কি ? কেন, বলুবো ? স্বৰ্য্যমুখী মুখী, আমি দুঃখী, এই জন্ত আমার রাগ । সে বড়, আমি ছোট,—সে মুনিব, আমি বাদী। সুতরাং তার উপরে আমার বড় রাগ। যদি বল, ঈশ্বর তাকে বড় করিয়াছেন, তার দোষ কি ? আমি তার হিংসা করি কেন ? তাতে আমি বলি, ঈশ্বর আমাকে হিংসুকে করেছেন, আমারই বা দোষ কি ? তা, আমি খাল্কা তার মন করিতে চাই না, কিন্তু যদি তার মন্দ করিলে আমার ভাল হয়, তবে না করি কেন ? আপনার ভাল কে না করে ? তl, হিসাব করিয়া দেখি, কিসে কি হয়। এখন আমার হলো কিছু টাকার দরকার ; আর দামীপনা পারি না। টাকা আসিবে কোথা থেকে ? দত্তবাড়ী বৈ আর টাকা কোথা ? তা দত্তবাড়ীর টাকা নেবার ফিকির এই,− সবাই জানে যে, কুন্দের উপর নগেন্দ্র বাবুর চোখ পড়েছে—বাবু এখন কুন্দমন্ত্রের উপাসক। বড়মানুষ লোক মনে করিলেই পারে। পারে না কেবল স্বৰ্য্যমুখীর জন্য । যদি দুজনে একটা চটচটি হয়, তা হলে আর বড় স্বৰ্য্যমুখীর খাতির কবৃবে না। এখন ಆ ಕ್ ಇ. সেইটি আমায় কবৃতে | ჯჯ . * "তা হ'লেই বাবু ষোড়শোপচারে কুন্দের পূজা আরম্ভ করিবেন। এখন কুন্দ হ’লে বোকা মেয়ে, আমি হলেম সেয়ানা মেয়ে, আমি কুনাকে শীঘ্ৰ বশ । করিতে পারিব । এরই মধ্যে, তাহার অনেক যোগাড় । হয়ে রয়েছে। মনে কবৃলে, কুন্দকে যা ইচ্ছা করি;. তাই করাতে পারি। আর যদি, বাবু কুন্দের পূজা: আরম্ভ করেন, তবে তিনি হবেন কুন্দের আজ্ঞাকারী। কুন্দকে কবৃবে। আমার আজ্ঞাকারী স্বতরাং পূজার , ছোলাটা-কলাটা আমিও পাব । যদি আর দাসীপনা , করিতে না হয়, এমনটা হয়, তা হ'লেই আমার হলো । দেখি, দুর্গ কি করেন। নগেন্দ্রকে কুন্দনন্দিনী দিব । কিন্তু হঠাৎ না। আগে কিছু দিন লুকিয়ে রেখে দেখি । প্রেমের পাক বিচ্ছেদে বিচ্ছেদে বাবুর ভালবাসাটা পেকে আসবে। সেই সময়ে কুনাকে বাহির করিয়া দিব । তাতে যদি স্থৰ্যমুখীর কপাল না ভাঙ্গে, তবে তার বড় জোর কপাল । তত দিন আমি বসে বসে কুন্দকে উঠাবস্ করান মকৃশ করাই । আগে অায়ীকে কামারঘাট পাঠাইয়া দিই , নইলে কুন্দকে আর লুকিয়ে রাখা যায় না ।” এইরূপ কল্পনা করিয়া পাপিষ্ঠ। হীরা সেইরূপ আচরণে প্রবৃত্ত হইল । ছল করিয়া আয়ীকে কামারঘাটা গ্রামে কুটুম্ববাড়ী পাঠাইয়া দিল এবং কুন্দকে অতি সঙ্গোপনে আপন বাড়ীতে রাখিল । কুন্দ তাহার। যত্ন ও সহৃদয়ত দেখিয়া ভাবিতে লাগিল, “হীরার মত মানুষ আর নাই । কমলও আমায় এত ভালবাসে नीं * একবিংশ পরিচ্ছেদ হীরার কলহ-বিষবৃক্ষের মুকুল তা ত হলো । কুন্দ বশ হৰে! কিন্তু স্থৰ্যমুখী নগেন্দ্রের দুই চক্ষের বিষ না হ'লে ত কিছুতেই কিছু হবে না। . গোড়ার কাজ সেই । . হীরা এক্ষণে তাহাদের অভিন্ন হৃদয় ভিন্ন করিবার চেষ্টায় রহিল। এক দিন প্রভাত হুইলে, পাপ হীরা মুনিব-বাড়ী আসিয়া গৃহকার্য্যে প্রবৃত্ত হইল। কৌশল্য নাম্নী আর এক জন পরিচারিকা দত্তগুহে কাজ করিত এবং হীরা প্রধান বলিয়া ও প্রভুপত্নীর প্রসাদপুরস্কারভাগিনী বলিয়া তাহার হিংসা করিত । হীরা তাহাকে বলিল, “কুশি দিদি । আজ আমার গা কেমন কেমন করিতেছে, তুই আমার কাজগুলো কবু না ?” কৌশল্য হীরাকে ভয় করিত, অগত্যা স্বীকৃত হুইয়া