পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (প্রথম ভাগ).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * * * . جو , هيچ = ۔ . . یہ 3.xyم " • w***.۔ ۔ . - - ۱۳می স্বৰ্য্যমুখী সেখান হইতে উঠিয়া গিয়া এক বনে বসিয়াছিলেন । সেখানে এক বুড়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল । বুড়ী কাঠ কুড়াইতে আসিয়াছিল—কিন্তু স্বৰ্য্যমুখীর সন্ধান দিতে পারিলে ইনাম পাওয়া যাইতে পারে, অতএব সেও সন্ধানে ছিল । স্বৰ্য্যমুখীকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ই গা, তুমি কি আমাদের মঠাকুরাণী গ৷ ” স্বৰ্য্যমুখী বলিলেন, “না বাছা ।” বুড়ী বলিল, “ছ, তুমি আমাদের মীঠাকুরাণী ।” স্বৰ্য্যমুখী বলিলেন, “তোমাদের মীঠাকুরাণী কে গা ?” e বুড়ী বলিল, “বাবুদের বাড়ীর বউ গা ।” স্বৰ্য্যমুখী বলিলেন, “আমার গায়ে কি সোনাদান আছে যে, আমি বাবুদের বাড়ীর বউ ?” বুড়ী ভাবিল, “তাও ত বটে ?” সে তখন কাঠ কুড়াইতে কুড়াইতে অন্ত বনে গেল । দিনমান এইরূপে বৃথায় গেল । রাত্রেও কোন ফললাভ হইল না । তৎপরদিন ও তৎপরদিনও কাৰ্য্যসিদ্ধি হইল না—অথচ অমুসন্ধানের ক্রটি হইল না । পুরুষ অনুসন্ধানকারীর প্রায় কেহই স্বৰ্য্যমুখীকে চিনিত না—তাহারা অনেক কাঙ্গাল গরীব ধরিয়া আনিয়া নগেন্দ্রের সম্মুখে উপস্থিত করিল। শেষে ভদ্রলোকের মেয়ে ছেলেদের এক পথে ঘাটে স্বান করিতে যাওয়া দায় ঘটিল। এক দেখিলেই নগেন্দ্রের নেমকহালাল হিন্দুস্থানীরা “মঠাকুরাণী” বলিয়া পাছু লাগিত, এবং স্বান বন্ধ করিয়া অকস্মাৎ পাল্কা বেহার আনিয়া উপস্থিত করিত । অনেকে কখন পান্ধী চড়ে নাই, সুবিধা পাইয়া বিনা-ব্যয়ে পান্ধী চড়িয়া লইল । শ্ৰীশচন্দ্র আর থাকিতে পারিলেন না। কলিকাতায় গিয়া অমুসন্ধান আরম্ভ করিলেন । কমলমণি গোবিন্দপুরে থাকিয়া অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন । -ങ്കബ് একত্রিংশত্তম পরিচ্ছেদ সকল সুখেরই সীমা আছে কুন্দনন্দিনী ষে মুখের আশা করিতে কখন ভরসা করেন নাই, তাহার সে মুখ হইয়াছিল।-তিনি নগেন্দ্রের স্ত্রী হইয়াছিলেন। ষে দিন বিবাহ হইল, কুন্দনন্দিনী মনে করিলেন, এ মুখের সীমা নাই, পরিমাণ নাই। তাহার পর স্বৰ্য্যমুখী পলায়ন করিলেন । তখন মনে পরিতাপ হইল—মনে वेिषझुंक्र 8 જ করিলেন, “স্বৰ্য্যমুখী আমাকে অসময়ে রক্ষা করিয়াছিল—নহিলে আমি কোথায় যাইতাম—কিন্তু আজি সে আমার জন্ত গৃহত্যাগী হইল। আমি স্বৰী না হইয়া, মরিলে ভাল ছিল ।” দেখিলেন, সুখের সীমা আছে । প্রদোষে নগেন্দ্র শষ্যায় শয়ন করিয়া আছেন— কুন্দনন্দিনী শিয়রে বসিয়া ব্যজন করিতেছেন। উভয়ে নীরবে আছেন। এটি স্বলক্ষণ নহে ; আর কেহ নাই—অথচ দুই জনেই নীরব—সম্পূর্ণ মুখ থাকিলে এরূপ ঘটে না । কিন্তু স্বৰ্য্যমুখীর পলায়ন অবধি ইহাদের সম্পূর্ণ সুখ কোথায় ? কুন্দনন্দিনী সৰ্ব্বদা মনে ভাবিতেন, “কি করিলে আবার যেমন ছিল, তেমনি হয় ?” আজিকার দিন, এই সময় কুন্দনন্দিনী মুখ ফুটিয়া এ কথাটি জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কি করিলে যেমন ছিল, তেমনি হয় ?” নগেন্দ্র বিরক্তির সহিত বলিলেন, "যেমন ছিল, তেমনি হয় ? তোমাকে বিবাহ করিয়াছি বলিয়া কি তোমার অনুতাপ হইয়াছে ?” কুন্দনন্দিনী ব্যথা পাইলেন । “তুমি আমাকে । বিবাহ করিয়া ষে সুখী করিয়াছ—তাহা আমি কখনও আশা করি নাই । আমি তাহ বলি ন!— আমি বলিতেছিলাম ষে, কি করিলে স্বৰ্য্যমুখী ফিরিয়া আসে ?” নগেন্দ্র বলিলেন, “ঐ কথাটি তুমি মুখে আনিও না । তোমার মুখে স্বৰ্য্যমুখীর নাম শুনিলে আমার অন্তৰ্দ্দাহ হয়। তোমারই জন্ত স্বৰ্য্যমুখী আমাকে ত্যাগ করিয়া গেল ।” ইহা কুন্দনন্দিনী জানিতেন,–কিন্তু নগেন্ত্রের ইহা বলাতে কুন্দনন্দিনী ব্যথিত হইলেন। ভাবিলেন, *এটি কি তিরস্কার ? অামার ভাগ্য মন্দ, কিন্তু আমি ত কোন দোষ করি নাই। স্বৰ্য্যমুখীই ত এ বিবাহ দিয়াছে।” কুন্দ আর কোন কথা না কহিয়া ব্যঞ্জনে রত রছিলেন। কুন্দনন্দিনীকে অনেকক্ষণ নীরব দেখিয়া নগেন্দ্র বলিলেন, “কথা কহিতেছ না কেন ? রাগ করিয়াছ ?” কুন্দ কহিলেন,—“না ।” ন। কেবল একটি ছোটো “না” বলিয়া আবার চুপ করিলে । তুমি কি আমায় আর ভালবাস না ? কু। বাসি বই কি । - ন। “বাসি বই কি ?” এ ষে বালক ভুগান কথা। কুল, বোধ হয়, তুমি আমায় কখন ভাগ: বাসিতে না । . . "