পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী মানবের কি কপাল! সংসার কি ছার! বাহিতে জীবন ভার কে চাহিবে। আর ? নাথভুজে মাথা দিয়ে পড়েছে মোহিনী। মখে মাখে কাঁদে যেন দটি সরোজিনী৷ ললিতার মািখশশী ভিজে বরিষায়। সরোজ শিশির মাথা মাটিতে লোটায় ৷ শীতল ললাটে জলে জলে শশধর। জলে ভিজে পড়ে আছে। অলকানিকব৷ ফাটায় কবরী চার, দীঘ তৃণোপলে। মন্মথ রয়েছে তব নাহি তুলে ধরে। এখনো সস্থির মািখ রাপের ছায়ায়। প্রাণ গেল তব রূপ নাহি ছাডে তায় ৷ সেরাপ ঘামায় যেন, সন্ধ্যা ধবাপবে; ভয়ে প্রকৃতির যেন নিশ্বাস না। সরে ৷ স্থির শ্বেত ভাল সেই, নহে নিরমাল। দেখিলে শিঙ্গ বা হামা শরীর বিকল ৷ পড়ি তায় মায়ণের ভয়ঙ্কর ছায়া। চন্দ্রকায় যেন কালো, কাদম্বিনী কায । যেন চন্দ্ৰকরে স্থির বাবিধি বিস্তাব । পড়ে তায় শিখরীর ছায়া অন্ধকা । কোমল পল্লব নীল মন্দেছে নয়ন। এরি কি কটাক্ষে ছিল সখের স্বপন ? এখনি কেন্দেছে কত কাঁদিবে না। আর । সফাবী সমান নাহি নাচিবে। আবাণ ৷ বঝি তাব প্ৰিয তারা মন্মথ বদন । চাহি তে চাহিতে বঝি মান্দেছে মবােণ। মানবের কি কপাল! এই সে হৃদল । কোথা তার প্রেম মোহ কোথা অংশ। ভস্ম । विदान दिशळ *फुि भभौव्र कद्धं । ভিতরে নিপদ যেন জগৎ এক্ষণে ৷ এক বান্তে দটি ফল মাখে মািখ দিয়ে। সে হৃদি কুসমাসনে পড়েছে ছিড়িসে ৷ তেমনি একাঙ্গে এরা থেকে চিবকাল। মরিল অধরাধারে কি সখি কপাল৷ যার লাগি ছিল বেচে পারিত বাঁচতে । তাঁর সনে মরে গেল তাহারি হাদিতে ৷ সখের কপাল! কত সংসার যাতনা। বিকার বিয়োগ শোক সহিতে হলো না ৷ ছিাড়িয়াছে ভীম ঝড়ে একই প্ৰহারে। কাটে নি ক্রমশঃ কীট, প্রাণের সংসারে৷ SO গভীর গোপনগামী সখ-স্রোতোপরে। পড়ে নাই ভেসে ভেসে ডুবিতে সাগরে ৷ যা হবার হইয়াছে এই মাত্র স্থির। এই আছে। অবশেষ, সে প্ৰেমশশীর৷ ওইখানে দের স্বজ মাটি হয়ে যাবে। জানিবে কে ? দেখিবে কে ? কোদে কে ভিজাবে ? চন্দ্রিকার নীলাকাশ গায়, দটি দেবদার দেখা যায়। ভীম বনে তলে তাব, অতি স্তব্ধ অনিবার, কাল যেন প্রহরী তাহায্য ৷ সেই নদী সেই তববরে, দখময় তাঁর তর সবরে, ব্যারেক না ক্ষান্ত আছে, নক্ষত্রমন্ডলী কাছে, অদ্যাপি বিলাপ কেন কৰে ৷ গম্ভীব সে ধৰনি নিববধি, যেন বা সন্ধ্যায় শবষদী। শনিলে শিহৰিল সমবি, মেধাব মারতোপরি, জানিন যেতেছি কি জলপি ৷ শ্যামলা গালিমনী চিব নন, বাপিয়াছে সেই छान नद। তাবাফল ও ধ্রু। ধািব, অনন্ত তামোদ করে, সাধাপানে শিহরিছে নঙ ৷ এ কাননে গভীব এমন, কে করে বে বাঁশরী বাদন। অনিবার নিশাভাগে, যেন কাল অনােরাগে গামা সাধে মনের যাতন ৷ মোহমক্ষেত্র তাপ স্থির বন, শোনে ধবনি-বিহীন সািপলন্দন । পত্রটি নাহিক সরে, যেতে যেতে শনে সবরে, নাহি সরে নীবধমাগণ ৷ চন্দ্রিকার শান্য কুঞ্জোপব, মোহন স্বপ্নজ শোভাধর। মন্মরিত প্রচুর অস্বর৷ তাহে কত সাধাবাস ঝরে, কুসম বরিষে কুঞ্জোপারে। ভাঙ্গে সর্বপ্ন উষা আসি, অমনি নীরব বাঁশী, গল্যে যায় সে রােপ নিকরে৷ ধলি হয়ে এই কুঞ্জবনে মন্মথ-মোহিনী নাথ সনে। প্রতি নিশি এই মত, হয় যথা নিদ্রাগত, ললিতা মন্মথ দাই জনে৷৷