পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসম্পপণ্য রচনা-রাজমোহনের স্ত্রী “রাজমোহনের সস্ত্রী, অথচ আমি কখন দেখি নাই?” “দেখিবে কিরাপে ? উনি কখন বাটীর বাহির হয়েন না।” মথর কহিল, “হয়েন না, তবে আজ হইয়াছেন কেন ?” भाक्षव । कि छानि । মখর। মনিষ কেমন ? মাধব । দেখিতেই পাইতেছ।--বেশ সন্দর। মথর। ভবিষ্যদ্বক্তা গণকঠাকুর এলেন আর কি ? তা বলিতেছি না-বলি, মানষে ভাল ? মাধব | ভাল মানষি কাহাকে বল ? মথর। আঃ কলেজে পড়িয়া একেবারে অধঃপাতে গিয়াছ। একবার যে সেখানে গিষা রাঙ্গােমখোর শ্রাদ্ধর মন্ত্র পড়িয়া আসে, তাহার সঙ্গে দটো কথা চলা ভার। বলি ওর কি।-- ? মাধবের বিকট ভ্ৰভঙ্গ দলেন্ট মাথার যে অশ্লীল উক্তি করিতে চাহিতেছিলেন তাহা হইতে ক্ষান্ত হইলেন। মাধব গন্বিত বচনে কহিলেন, “আপনার এত সম্পন্সন্টতার প্রয়োজন নাই; ভদ্রলোকের সন্ত্রী পথে যাইতেছে, তাহার সম্পবন্ধে আপনার এত বক্তৃতার আবশ্যক কি ?” মথর কহিল ‘বলিষাছি ত দ্য পাত ইংরেজি উলটাইলে ভায়ারা সব অগ্নি-অবতার হইয়া বসেন। আর ভাই, শ্যালীর কথা কব না। ত কাহার কথা কব ? বসিযা বসিয়া কি পিতামহীব যৌবন বৰ্ণনা করিব ? যাক চুলায় যাক ; মাখখানা ভাই, সোজা কবি-নইলে এখনই কাকের পাল পিছনে লাগিবে। রাজমহনে গোবদ্ধন এমন পদ্মের মধ্য খাদ্য ?” মাধব কহিল, “বিবাহকে বলিয়া থাকে সরতি খেলা।” এইরােপ আর কিঞ্চিৎ কথোপকথন পাবে উভয়ে সব সব স্থানে গমন করিলেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ কনকময়ী এবং তৎসঙ্গিনী নীরবে গাহাভিমখে চলিলেন। লোকের সম্পমাখে কথা কহিতে কনকের সহচরী অতি লণ্ডজােকর বোধ করিতে লাগিলেন। তাঁহাকো নীরব দেখিয়া কনকও নীরব। কিন্তু এমন লোকালয়মধ্যে রসনারাপিণী প্রচন্ডা। অশ্বিনী যে নিজ প্ৰখৰ্য্যাদি গণ দেদীপ্যমান করিতে পারিল না, কনকের ইহাতে বড় মনোদঃখ রহিল। তাঁহারা আপনাপন্ন গহ-সন্নিধ্যে আসিলেন ; তথায় লোকের গতিবিধি অধিক না থাকায় কানীয়সী কথোপকথন আরম্ভ করিলেন; বলিলেন, “কি পোড়া কপালে বাতাস দিদি, আমাকে কি নান্তানাবাদই করিল।” কনক হাসিয়া কহিল, “কেন, তোমার ভগ্নীপতি কি কখন তোমার মািখ দেখে নাই ?” DDDB BDD DBD DBB BDB BDBBDDD DDSDDB BBB BBB BD DBDS কনক। কেন, সে যে, মথরবাব; তাহাকে কি কখন দেখ নাই ? কনীয়সী। কবে দেখিলাম-আমার ভগ্নীপতির জ্যেঠাত ভাই মথরিবাব ? ३ष्ट्दः । या क्ष ऊ का ? কনীয়সী। কি লজা বোন, কাহারও সাক্ষাতে বলিস না। কনক। মরণ আর কি! আমি লোকের কাছে গল্প করিতে যাইতেছি যে, তুমি জল আনিতে ঘোমটা খালে মািখ দেখাইয়াছিলো। এই বলিয়া কনক মািখ টিপিয়া হাসিতে লাগিল। তরণী সরোষে কহিল, “তুমি ভাগাড়ে পড় না কেন ? কথার রকম দেখ। এমত জানিলে কি আমি তোমার সঙ্গে আসিতাম ?” কনক পনেরায় হাস্য করিতে লাগিল; যুবতী কহিলেন, “তোর ও হাসি আমার ভাল লাগে না-সব্বনাশ! দােগা যা করেন।” এই বলিয়া নবীনা গহাভিমখে নিরীক্ষণ করিয়া কম্পিত্যকলেবাবা হইল। কনকময়ীও সেই দিকে নিরীক্ষণ করিয়া এই আকস্মিক ভীতির হেতু অনভূত করিলেন। তাঁহারা প্রায় গহ-সন্নিধ্যে উপনীত হইয়াছিলেন। কনক দেখিতে পাইল যে, দ্বারে অগ্নিবিচ্ছরিত নয়নে কালমত্তির ন্যায় রাজমোহন দণ্ডায়মান রহিয়াছে। সঙ্গিনীর কণে কণে সে কহিল,-“আজি দেখিতেছি মহাপ্ৰলয়; আমি তোর সঙ্গে যাই, যদি অকলে কাপড়ারী হইতে পারি।”