পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসম্পপণ্য রচনা-রাজমোহনের স্ত্রী জনে দাই দিকে গেলেন; পিসী বধকে সান্ত্বনা করিতে লাগিলেন। রাজমোহন लार्गक्रा,दन्ा लार्गबहङ उलार्गदरङ bब्जिहब्लन् । क्e । काशाद्ध भाथा চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ རྒྱུ། পাঠক মহাশয়ের সহিত যাঁহাদিগের পরিচয় হইল, তাঁহাদিগের পািৰব বিবরণ কথনে প্রবত্ত হই। পক্ষবাগুলে কোন ধনাঢ্য ভূস্বামীর আলয়ে বংশীবদন ঘোষ নামে এক ভূত্য ছিল। এই ভূস্বামীর বংশ ও নাম এক্ষণে লোপ হইয়াছে, কিন্তু পর্বে তাঁহার যথেষ্ট খ্যাতি প্রতিপত্তি ছিল। বদ্ধকাল পয্যন্ত সন্তানের মািখাবলোকন না করিয়া শেষ বয়সে তিনি দ্বিতীয় দার পবিগ্ৰহ করিলেন। কিন্তু বিধির নিবন্ধ কে খণডাইতে পারে? দ্বিতীয় পত্নীও সন্তানরত্নপ্ৰসবিনী হইবেন না। না হউন, বাদ্ধক্যে তরণী সত্ৰী একাই এক সহস্র। সত্য বটে। মধ্যে মধ্যে দাই সপত্নীতে কিছ গোলযোগ উপস্থিত করতেন ; কখন কখন কত্তার নিকট আসিয়া উভযে চীৎকারের মহলা দিতেন ; কখন বা কনিষ্ঠা জ্যেষ্ঠার কাপড় টানিয়া ছিড়িতেন; জ্যোঠা কনিষ্ঠার চুল টানিয়া ছিড়িতেন। এমনও কখন হইয়াছে যে ছোড়া ছিড়ি নাক কাণ পৰ্য্যন্ত উঠিয়াছে। রাজায রাজায় যাদ্ধ হইলেই প্রায় উল খাকড়ার প্রাণ বধ হইয়া থাকে-বদ্ধ, সহধৰ্ম্মিমণীদিগের সমর সময়ে নিকটে থাকিলেই লাথিটা গােতাটায় বঞ্চিত হইতেন না; কনিষ্ঠার পদাঘাত পাইলেই মনে করিতেন, -এইবার পািৰব পরিষেরা সবগে উঠিলেন ; এমনই লাথির জোর। জ্যেষ্ঠা সর্বদা বলিতেন, “বড়ার বড়, ছোটর ছোট ।” শেষে করাল কাল মধ্যস্থ হইয়া “বড়র বড়, ছোটর ছোট” বলিয়া বড়কে उाcा अरुठश्ऊि कझिल। বযোধিকা পত্নীর মাতৃত্যু দেখিয়া প্রাচীন মনে করিলেন, “ঘটে পোড়ে গোবর হাসে; আমাকেও কোন দিন ডাক পড়ে এই। মারি তাতে ক্ষতি নাই, বার ভূতে বিষয়টা খাবে।” প্রেয়সী যাবতীর সাক্ষাতে মনের কথা বলিলে প্রেষসী বলিলেন, “কেন আমি আছি, আমি কি তোমার বার ভূত ?” বদ্ধ কত্তা কহিলেন, “তুমি যেখানে এক বিঘা জমি স্বহস্তে দান বিক্রয় করিতে পারিবে না, সেখানে তুমি আর বিষয় ভোগ করিলে কি ?” চতুরা কহিল, “তুমি মনে করিলে সব পাের; বিষয় বিক্রয় করিয়া আমায় নগদ টাকাটা দাও না।” তথায়ু বলিয়া ভূস্বামী ভূমি বিক্রয় করিয়া অৰ্থসঞ্চয়ে মন দিলেন। স্ত্রীর আজ্ঞা এমনই ফলবতী যে, যখন বদ্ধ লোকান্তরে গমন করিল, তখন তাহার বিপােল সম্পত্তি প্রায় সম্ভাবণ রৌপ্যবাশিতেই ছিল-ভূমি অতি অলপ ভাগ। কারণাময়ী বড় বদ্ধিমতী ; তিনি মনে মনে ভাবিলেন, “এখন ত সকলই আমার ; ধন আছে, জন আছে, যৌবনও আছে। ধন জন যৌবন সকলই ব্যথা; যত দিন থাকে তত দিন ভোগ করতে হয়।” ভগবান শ্ৰীরামচন্দ্র অবতারে যখন জানকী বিচ্ছেদে কাতর হন তখন কি করেন, সীতার একটি সবণ প্রতিমাত্তি গঠন করিয়া মনকে আশ্বাস দিয়াছিলেন। কারণাময়ীও সেইরাপ স্বামীর কোনও প্রতিমাত্তির মািখ নিরীক্ষণ করিযা। এ দঃসহ বিরহ যন্ত্রণা নিবারণ না করেন। কেন ? আরও ভাবিলেন, রামচন্দ্র ধাতুময় প্রতিমাত্তিতে হৃদয় স্নিগ্ধ করিতেন; নিজীবি ধাতুতে যদি মনোদঃখ নিবারণ হয়, তবে যদি একটা সজীব পতিপ্রতিনিধি করি তাহলে আরও সখদ হইবে সন্দেহ কি ? কেন না, সজীব প্রতিনিধিতে কেবল যে চক্ষর তৃপ্তি হইবে। এমত নহে, সময়ে সময়ে কায্যোদ্ধারও সম্ভাবনা। অতএব একটা উপ-সবামী স্থির করা আবশ্যক। পতি এমন পরম পদাৰ্থ যে, একেবারে পতিহীন হওয়া অপেক্ষা একটা উপপতি রাখাও ভাল; বিশেষ শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ যাহা করিয়াছেন তাহাতে কি আর কিন্তু আছে ? এইরুপ বিবেচনা করিয়া করণোমিষী স্বামীর সজীব প্রতিমাত্তিত্বে কাহাকে বরণ করিবে: ভাবিতে ভাবিতে বংশীবদন ঘোষ খানসামার উপর নজর পড়িল: বংশীবদনকে আর কে পায় ? ধৰ্ম্ম অৰ্থ কাম মোক্ষ লইয়া সংসার, তাহার মধ্যে ধৰ্ম্ম আদৌ, কাম মোক্ষ-পশ্চাৎ । এই তিনকে যদি করুণাময়ী ভূত্যের শ্ৰীচরণে সমপণ করিতে পারিল, রহিল অৰ্থ। অর্থ আর কয়দিন বাকি থাকে ? খানসামা বাবা অতি শীঘ্র সদর নায়েব হইয়া বসিলেন। কালে সকলের লয়-কালে প্ৰণয়ের লয়-কালে প্রণয়ীর লয়-প্ৰণয়ময়ী অতি শীঘ্রই খানসামাকে ত্যাগ করিয়া প্রেমাসম্পদ মত স্বামীর অনবৰ্ত্তিনী হইলেন। SOOS