পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসম্পপণ্য রচনা-রাজমোহনের স্ত্রী হইবেক, বিধবা সত্ৰী যত দিন মাধবের ঘরে বাস করিবেন তত দিন তাঁহার নিকট গ্রাসাচ্ছাদন পাইবেন মাত্র। পশ্চঃম পরিচ্ছেদ পিতৃবিয়োগের পরেও মাধব বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষ পৰ্যন্ত রহিলেন। তাঁহার অনপস্থিতিকালে তাঁহার কায্যকারকেরা বিষয় রক্ষণাবেক্ষণ করিতে লাগিল। পাঠ সমাপ্ত হইলে হেমাঙ্গিনীকে সঙ্গে লইয়া রাধােগঞ্জে গমনোদ্যত হইয়া শ্বশরালয়ে আগমন করিলেন। মাতঙ্গিনী তৎকালে পিত্রালয়ে ছিলেন, এবং রাজমোহনও তথায় উপস্থিত ছিলেন। রাজমোহন সময়ের সংযোগ বঝিয়া মাধবের নিকট নিজের দঃখকাহিনী প্রকাশ করিলেন ; বলিলেন, “পর্বে কোনরাপ দিন যাপন করিয়াছি, কিন্তু এক্ষণে কাজকৰ্ম্ম প্রায় রহিত হইয়াছে; আমাদিগের সহায় মরাব্বি মহাশয় ব্যতীত আর কেহ নাই। মহাশয় কুবেরতুল্য ব্যক্তি, অনগ্ৰহ করিলে অনেকের কাছে বলিয়া দিতে পারেন।” মাধব জানিতেন যে, রাজমোহন অতি দনীতিস্বভাব, কিন্তু সরলা মাতঙ্গিনী তাহার গহিণী হইয়া যে গ্রাসাচ্ছাদনের ক্লেশ পাইতেছিলেন, ইহাতে মাধবের অন্তঃকরণে রাজমোহনের উপর মমতা জন্মাইল। তিনি বলিলেন, “আমার পক্ষবাবধি মানস যে, কোন বিশ্বস্ত আত্মীয় ব্যক্তি হন্তে বিষয়কম্পেমর কিয়দংশ ভার ন্যস্ত করিয়া। আপনি কতকটা ঝঞ্জাট এড়াই, তা মহাশয় যদি এ ভার গ্ৰহণ করেন। তবে তা উত্তমই হয় ।” রাজমোহন মনে মনে বিবেচনা করিল যে, মাধব যে প্রস্তাব করিতেছিলেন তাহতে রাজমোহনের আশার অতিরিক্ত ফল হইতেছে ; কেন না, সে যদি মাধবের জমিদারীর একজন প্রধান কম কারক হইতে পারে, তাহা হইলে তাহার উপাজ্ঞজনের সীমা থাকিবে না। কিন্তু এক দোষ যে, দেশ ছাড়িয়া যাইতে হইবে । রাজমোহন উত্তর করলেন, “আমার প্রতি মহাশয়ের দয়া যথেস্ট ; কিন্তু যদি মহাশয়ের সহিত যাইতে হয়, তাহলে পরিবার কাহার কাছে রাখিয়া যাই ?” মাধব বলিলেন, “সে চিন্তায় প্রয়োজন কি ? একই সংসারে দই ভগিনী একত্রে থাকিবেন, মহাশয়ও আমার বাটীতে যেমন ভাবে ইচ্ছা তেমনই ভাবে থাকিবেন।” এই শনিযা। রাজমোহন ভ্ৰভঙ্গ করিয়া মাধবের প্রতি চাহিয়া সক্ৰোধে বলিল,-“না মহাশয়, প্রাণ থাকিতে এমন কখনও পারিব না।” এই বলিয়া রাজমোহন তন্দন্ডেই শ্বশরালয় হইতে প্ৰস্থান করিল। পরদিন প্রাতে রাজমোহন প্রত্যাগমন করিল, এবং মাধবকে পানরায় কহিল, “মহাশয়, সপরিবারে দরদেশে যাওয়া আমি পারাৎপক্ষে স্বীকার নাহি, কিন্তু কি করি, আমার নিতান্ত দদশা উপস্থিত, সতরাং আমাকে যাইতেই হইতেছে ; কিন্তু একটা পথক ঘর-দ্বারের বন্দোবন্ত না হইলে যাওয়া হয় না।” যাচকেরা যায়ুক্কার ভঙ্গী পথক, নিয়মকত্তার ভঙ্গী পথক। মাধব দেখিলেন, রাজমোহন যাচক হইয়া নিয়মকত্তার ন্যায় কথাবাৰ্ত্তা কহিতেছেন; কিন্তু মাধব তাহাতে রাস্ট না হইয়া বলিলেন, “তাহার আশচয্য কি ? মহাশয় যাইবার পর পক্ষমধ্যে প্রস্তুত বাটী পাইবেন।" বাজমোহন সক্ষমত হইল; এবং মাতঙ্গিনীর সহিত মাধবের পশ্চাতে রাধাগঞ্জে যাত্রা করিল। রাজমোহনের এইরূপে অভিপ্রায় পরিবত্তানের তাৎপৰ্য্য কি, তাহা প্রকাশ নাই। ফলতঃ এমত অনেকের বোধ হইয়াছিল যে, রাজমোহন এক্ষণে বাটী থাকিতে নিতান্ত অনিচ্ছক হইয়াছিল; অনিচ্ছার কারণ কি, তাহাও প্রকাশ নাই। r রাধাগঞ্জে উপস্থিত হইয়া মাধব রাজমোহনকে কায্যের নামমাত্র ভার দিয়া অতি সন্দর বেতন BDBB DBBDBD DDBS BBD DBuB BDDuBD DDB DD BBDD DDBBS gE DDDuLS প্রয়োজনীয় তাবৎ সামগ্ৰী আহরণ করিয়া দিলেন। Aa রাজমোহন বিনা নিজ ব্যয়ে নিজোপযক্ত পরিপাটী গহে স্বল্পকাল মধ্যে নিৰ্ম্মাণ করিলেন। সেই গাহের মধ্যেই এই আখ্যায়িকার সত্রপাত। রাজমোহন যদিও উচ্চ বেতন-ভোগী হইলেন, কিন্তু মাধব সন্দেহ করিয়া কোনও গারতের কায্যের ভার দিলেন না। --প্ৰতিপালনাথ বেতন দিতেন মাত্র। রাজমোহনের কালক্ষেপণের NOOK)