পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবষীয় বিজ্ঞান মন্ত পারে। দিগভ্ৰান্ত পথিকের পক্ষে এই সামান্য সত্যটি অন্ধকার রাত্ৰিতে কত উপকার সাধন করে। এক্ষণে জটিল নিয়মে সকলের বিশিষ্পট জ্ঞান হইলে কত ফল দশতে পারে। কত ফল ফলিতেছে, তাহা ত আমরা এক্ষণে অহরহ প্রত্যক্ষ করিতেছি। কোন পৰজ্যপাদ ব্যক্তি বিজ্ঞানবেত্তার সহিত রাবণ রাজার তুলনা করিয়া বিজ্ঞানের ক্ষমতার পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। তিনি বলেন, মহৰ্ষি বাল্মীকি দোম্মদপড় দশাননের অসীম প্রতাপ বৰ্ণনজন্য কবিকুশল কল্পেনাবলে আমারগণকে তাঁহার দাসত্বে নিযক্ত করিয়া লঙ্কাধিপতির প্রাধান্য স্থাপন করিয়াছেন, কিন্তু বিজ্ঞানবেত্তার প্রভুত্ব এই কলপনা-প্রসন্ত রাবণের প্রতাপ অপেক্ষা সমধিক শ্লাঘনীয়। সত্য বটে, দশানন কোন দেবকে মালাকার কায্যে, কাহাকেও বা অশ্বসেবক কম্পেমা, কাহাকেও বা গহপরিস্কারক দাস্যে, নানা কায্যে নানা দেবগণকে নিযক্ত করিয়াছিলেন, কিন্তু বিজ্ঞানবেত্তা কি করিতেছেন ? তিনি বা পর্যপী ইন্দ্রদেবকে মহীয়সশকাটচালনে নিযক্ত করিয়াছেন। দেবকন্যা ক্ষণপ্ৰভা তাঁহার প্রভা ল্যুকাইয়া বিদ্ধানের সম্প্রবাদবাহিনীভাবে অবিরত সমবাদী বহন করিতেছেন। অসীমতেজা প্রভাকর অন্তরালে থাকিয়া নিজকরে সহধর্মিণী ছায়ার সাহায্যে বৈজ্ঞানিক সমক্ষে লিপিকর কায্যে ব্যাপােত আছেন। পথিবী দেবী, দিকপাল বরণ, পবনরাজ, সকলকেই তিনি দাসত্বে আবন্ধ রাখিয়াছেন। তাঁহারা কখন বিন্ধানের ক্ষয়িষ বত্তি জন্য ময়দা ভাঙ্গিতেছেন, কখন শীত নিবারণ জন্য বস্ত্র বয়ন করিতেছেন, কখন কাগজ প্রস্তুত করিতেছেন, কখন ঔষধ প্ৰস্তৃত করিতেছেন। কভু বা বিজ্ঞানবিংকে সকন্ধে করিয়া সবগ লোকে লইয়া যাইতেছেন। কখন পর্যন্তক মাদ্রিত করিয়া আনিয়া বিদ্বানকে উপঢৌকন দিতেছেন। কখন বা তাঁহার প্রমোদভবনে, বাজবৰ্ম্মে আলো জবালিতেছেন। কি বিদ্যালয়ে কি গহকাৰ্য্যে কি বিচারালয়ে কি ধৰ্ম্মমন্দিরে একাকী, সজন, অমরগণ, সকল কালেই সকল অবস্থাতেই বিজ্ঞানবিতের ক্রীতদাস।। হরিদ্বারসাগর প্রবাহিতা ভাগীরথীকে ভগীরথ তাঁহার জন্যই অবনীন্তলে আনিয়াছিলেন। সেই ভাগীরথী। তাঁহার জল পরিচারিকা, তাঁহার অভ্যর্থনা জন্য অগস্ত্য মনি বিন্ধ্যাচলকে অবনত করিয়া থাকিতে বলিযা গিয়াছেন। হিমাচল বিদ্বানের জন্যই গম্বকীয় আগারে তুষার ভাণ্ডার রক্ষা করিতেছেন। বনস্পতিগণ তাঁহার জন্য ফলভার বহন করে। খনি তাঁহারি জন্য উদরে করিয়া বহ মাল্য ধাতু ধারণ করে। এখন ‘রত্নাকর হযেছেন দাস, কুবের তাঁর আজ্ঞাকারী” -- দশানন সমরক্ষেত্রে দেবগণের সহায়তা BBD ODDS DDBDBBB BBBBS BBB BBD BDBBBBDD DBBBB BBBB DDDBD OBDD করিতেছেন। তাহতেই বলি কলিপিত রাবণাপেক্ষা আধনিক বিদ্বানের প্রভুত্ব অধিকতর গ্লাঘনীয়। কবিগাের বাল্মীকি কলিকালে পন্যঃপ্রাদভূত হইয়া স্বয়ং বিন্ধানের নিকটে রামায়ণ পাঠ করিতেছেন। ভাষাবিজ্ঞান বলে বৈজ্ঞানিক মীনরপেী ভগবানের ন্যায় আবার বেদোদ্ধার করিতেছেন। বৈজ্ঞানিক ঈশ্বরের অবতার। রাবণগৌরবলোপী, প্রতাপশালী শিবিকৰ্ণ সদাশ। পবোপকারী পরামযোগীর ন্যায় দািঢ় নিবিন্স্ট, সব্বদাই হৃন্ট ও সকল অবস্থাতেই সন্তুষ্ট। এই বিজ্ঞান বলেই আধনিক ইউরোপীয়গণ এই পথিবীতে একাধিপত্য স্থাপন করিয়াছেন। দেখান, বিলাতে খাদ্য সামগ্রী অতি দােমাল্য, শ্ৰমোপজীবিগণ “আমার” বলিতে পারে, “আমার পক্ষবর্ধপরিবেয়” বলিতে পারে, এমন বাসস্থান তাহদের অনেকেরই নাই; বিলাতে কাপাসতলা এক ছটাক পরিমিত উৎপন্ন হয় না; হয় আমেরিকা নয়। ভারতবর্ষ হইতে বিলাতীয়েরা তলা আমদানি করেন। অথচ মন্ত্র বিজ্ঞানের এমনি ক্ষমতা, মাgেগটরের তত্ত্ববায়েরা লােজাহীনা ভারতের লাইেজ নিবারণা করিতেছে। লাঙ্কাশায়ারে দভিক্ষ হইল, আর যে দেশে ঢাকা আছে, শান্তিপর শিমলে কলমে আছে, বালচের যেখানে লক্ষ লক্ষ মণ তলা প্রতি বর্ষে উৎপন্ন হয়, যেখানে তত্ত্ববায়কে লিপিকর ভাস্কর বা সরধায় অপেক্ষা অধিক শ্রদ্ধা করে, সেই দেশে, যে দেশের রোম সম্রাটের রাজপরিচ্ছদ ছিল, যে দেশের সহিত কল্পবাণিজ্য ব্যবসায়ে ৱতী থাকিয়া মধ্যকালে বিনিষনগর সমদ্ধিশালী হয়-সেই দেশে লালকাশায়েরে দভিক্ষ হইল বলিয়া হা বস্ত্র যে বস্ত্র শব্দে কৰ্ণ বধির হইয়া যাইতে লাগিল। হা অদষ্ট ! বিজ্ঞান অবহেলার এই ফল। বিজ্ঞানের সেবা করিলে বিজ্ঞান তোমার দাস, যে বিজ্ঞানকে ভজে, বিজ্ঞান তাহকে ভজিবে। কিন্তু বে বিজ্ঞানের অবমাননা করে, বিজ্ঞান তাহার কঠোর শহয়। মনে করুন, কোথাকার অন্নকন্টে কোথায় পরিচ্ছদকািন্ট হইল। ঐন্দ্রজালিক বিজ্ঞান সর্বীয় অবমাননা জন্য এইরূপে বৈরসাধন করিল। এখন ভুক্তভোগী লোক শিক্ষাগ্রহণ করা। অনেকে বলেন, ইউরোপীয়েরা কেবল বাহবিলে এই ভারতবর্ষে আধিপত্য স্থাপন করিয়াছেন। বাহবিলেই বলেন, আর যাহা বলন সে কথা কতক দরে সত্য, তাহার অণমাত্র সন্দেহ নাই। একথাটিও অত্যুক্তি দোষে দাষিত কখনই বলা যাইতে পারে না যে ইউরোপীয়রা বিজ্ঞানবলে BDBBBB LBK DBDSDDL BBS BD S DKBDDS BDBBLBD DBDSDBB BDBD rB D L Y বিদেশীয় বণিকদিগকে ভারতীতীরে অনিয়ন করেন, বিজ্ঞানই নানা ফন্ধে সহায়তা করিয়াছিলেন- এখনও 恋 之一也@ >总总姓中