পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•द्विधा বিচারের দ্বারা সমাজসংস্কার বা সমাজবিপ্লব উপস্থিত কবিতে চাহেন, তাঁহাদের সকলের পক্ষেই খাটে। তাঁহাদের দল এখনও অপরাজিত ও অক্ষয়। সেই সম্প্রদায়ভুক্ত খ্যাতি বা অখ্যাতির জন্য লালায়িত মালাবরী নামে একজন পারসী সে দিন একটা হলস্থলে উপস্থিত করিয়াছিল। অতএব সবগীয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাভক্তিসম্পন্ন হইয়াও এ প্রবন্ধের সম্পর্শ বিলোপও করিতে পারিলাম না। বাঙ্গালার ইতিহাস সম্পবন্ধে অনেকগালি প্ৰবন্ধ পনিমাদিত হইল, তাহার দর বড় বেশী নয়। এক সময়ে ইচ্ছা করিয়াছিলাম, বাঙ্গলার ঐতিহাসিক তত্ত্বের অন্যাসন্ধান করিয়া, একখানি বাঙ্গালার ইতিহাস লিখিব। অবসুরের অভাবে, এবং অন্যের সাহায্যের অভাবে সে অভিপ্রায় পরিত্যাগ করতে বাধ্য হুইয়াছিলাম। অন্যকে প্রবত্ত করিবার জন্য বঙ্গদর্শনে বাঙ্গালার ইতিহাস সম্পবন্ধে কয়েকটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলাম। বঙ্গদর্শনের দ্বারা সব্বাঙ্গসম্পন্ন সাহিত্য সন্টির চেষ্টায়। সচরাচর আমি এই প্রথা অবলম্বন করিতাম। যেমন কুলি মজার পথ খলিয়া দিলে, অগম্য কানন বা প্রান্তরমধ্যে সেনাপতি সেনা লইয়া প্রবেশ করিতে পারেন, আমি সেইরােপ সাহিত্যসেনাপতি দিগের জন্য সাহিত্যের সকল প্রদেশের পথ খালিয়া দিবার চেন্টা কলিতাম। বাঙ্গালার ইতিহাস সম্পবন্ধে আমার সেই মজরদারির ফল। এই কয়েকটি প্রবন্ধ। ইহার প্রণয়নজন্য অনবসরবশতঃ এবং অন্যান্য কারণে ইচ্ছানারপ অন্যাসন্ধান ও পরিশ্রম করিতে পারি নাই। কাজেই বলিতে পারি না যে, ইহার দর বেশী। দবা বেশী হউক বা কম হউক, ইহা পরিত্যাগ করিতে পাবি না। যে দরিদ্র, সে সোনা রূপা জটাইতে পারিল না বলিয়া কি বনফল দিয়া মাতৃপদে অঞ্জলি দিবে না ? বাঙ্গালিতে বাঙ্গালার ইতিহাস যে যাহাই লিখক না কেন,-সে মাতৃপদে পল্পাঞ্জলি । কিন্তু, অতি বলি মঙ্গরের কাজ করিয়াছ-এ পথে সেনা লইয়া কােন সেনাপতির আগমনবার্তা ত শানলাম না। বলিতে কেবল বাকি আছে ‘মনষ্যত্ব কি ?” ইতি শীর্ষক প্রবন্ধ, জন জটাযাট মিলের জীবনচরিতের সমালোচনাব ভগ্নাংশ মাত্র। ধৰ্ম্মতত্ব নামক গ্রন্থে যে অনশীলনধৰ্ম্ম বােবই যাছি, তাহার বীজ ইহাতে আছে। “রামধন পোদ” ইতি শীর্ষক প্রবন্ধের অন্য নাম ছিল। es বিজ্ঞাপন এই প্রবন্ধের প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম পবিচ্ছেদ বঙ্গদর্শনেৰ সাম্যশীৰ্ষক প্রবন্ধ। তৃতীয় ও চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ ঐ পত্রে প্রকাশিত “বঙ্গদেশের কৃষক’ নামক প্রবন্ধ হইতে নীতি । কৃষকেৰ কথা যে আধনিক সামাজিক বৈষম্যেব। উদাহরণস্বরূপ লিখিত হইয়াছে, এমত নহে। প্রাচীন বর্ণ-বৈষম্যের ফলস্বরূপ বাণিত হইয়াছে। পাঠক যেন এই কথাটি সমরণ রাখেন। সাম্যনীতি নতেন তত্ত্ব নহে, কিন্তু ইউরোপীয়েরা যে ভাবে ইহার বিচার করেন, আমি তাহা করি নাই। আমি সাম্যনীতি , যেমন মোটামটি বঝিয়াছি--সেইরােপ 'লিখিয়ছি। অতএব ইউরোপীয় নীতিশাস্ত্রের সহিত প্ৰভেদ দেখিলে, কেহ রাগ করবেন না। আরও, স্বদেশীয় সাধারণ জনগণকে এই তত্ত্বটি বক্সাইবার জন্য লিখিয়াছি। সশিক্ষিত যদি ইহাতে কিছ. পঠিতব্য না পান, আমি দঃখিত হইব। না। অশিক্ষিত পাঠকদিগের হৃদয়ে এই নীতি অঙ্কুরিত হইলে আমি চরিতার্থ হইব। sfeşnbă 5re কৃষ্ণচরিত্র প্রথম বারের বিজ্ঞাপন ধৰ্ম্ম সম্পবন্ধে আমার যাহা বলিবাব আছে, তাহার সমস্ত আন পৰেিবক সাধারণকে বঝাইতে পারি, এমন সম্ভাবনা অল্পই। কেন না, কথা অনেক, সময় অল্প। সেই সকল কথার মধ্যে তিনটি কথা, আমি তিনটি প্রবন্ধে বঝোইতে প্রবত্ত আছি। ঐ প্রবন্ধ তিনটি সাইখানি সামসিক পত্রে ক্রমান্বযে প্রকাশিত হইতেছে। $ {ነ©እቄ