পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बास्क्ष्म ब्रष्नाबव्ौ । কেন ঋরিবেন ? ইহা জানেন যে, ডিক্রি হইলে একুখানি ওয়ারেন্ট বাহির হইলেই আপনার চাকুরীটি যাইবে এরপ নিয়ম হইয়াছে। ৩। আপনি যদি এই ঋণ বদ্ধি করেন। তবে যতীশের যাবতজীবনের জন্য যে কি গারতের অনিষ্ট করিবেন তাহা বলা যায় না। যতীশ সে সবেরই দায়িক। যেদিন সে প্রথম উপাত্তজন করিতে শিখিবে সেই দিন হইতে এই ঋণের ভার তাহার মাথার উপর চাপিবে। আর ইহজন্মে তাহা নামাইতে পারবে কি না বলা যায় না। আপনাদিগের অবস্থা দেখিয়া ভরসা হয় না ষে কখনও উদ্ধার পাইবে। যাহার স্কন্ধে ঋণের ভার চাপে তাহার অপেক্ষা অসখী পথিবীতে আর কেহ নাই। যত টাকা উপাজন করে তাহার একটী পয়সাও আপনার বলিয়া বোধ করিবার অধিকার থাকে না। উদাহরণ আমাকেই দেখিতেছেন। রমেশ মিত্ৰ হাইকোটের জজ, আর আমি মালদহের ক্ষমাদ্র চাকুরীজীবী, পিতৃঋণই ইহার কারণ। অতএব আপনি যদি আর ঋণবদ্ধি করেন তবে ಇಂ¶ಳ್ತಞ್ಞಞ್ಞ অত্যন্ত মনঃপীড়া পাইবেন। আমার বিবেচনায় তাঁহাকে এই সকল কথা বঝাইলে তিনি কদাচ ঋণ করিতে বলিবেন না। তিনি পত্রিবৎসল, অবশ্য আপনার এবং যতীশের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের প্রতি দটি করবেন। যদি না করেন, তবে তাঁহার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে হইবে। পিতার অনরোধে পত্রের অনিষ্ট করিলে আপনি ধৰ্ম্মেম পতিত হইবেন। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস যে, এই সকল কথা তাঁহাকে বঝাইয়া বলিলে, তিনি আপনাকে ঋণ করিতে দিবেন না। কিন্তু সদ্বয়ং ঋণ করিয়া যতীশের বিবাহ দিবেন। আপনার কাছে বিশেষ ভিক্ষা এই যে, কোন মতে তাহা করিতে দিবেন না। তিনি যদি ঋণ করিতে প্রবত্ত হয়েন, তবে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিবেন যে, তিনি যে ঋণ করিতেছেন, তাহা কে পরিশোধ করিবে ? তিনি বলিবেন যে, আমার ২২৫ টাকা পেন্সন আছে, আমি তাহা হইতে পরিশোধ করিব। তখন বঝাইয়া দিবেন যে, তাহা ভ্ৰম মাত্র। আজি নয়। বৎসর হইল। আমরা পথিক হইয়াছি। তখন শ্ৰীযক্তের ৮ooo\ টাকা দেনা ছিল। এক্ষণে ৩৬oo\ আছে, অতএব এই ৯ বৎসরে ৪৪oo, টাকা মাত্র পরিশোধ হইয়াছে। আমাতে ও দাদাতে ঋণ পরিশোধার্থে এই নয় বৎসরে ৪৪oo, টাকা দিয়াছি। অতএব নয়। বৎসরের মধ্যে শ্ৰীযক্ত পেন্সন হইতে একটী পয়সাও কাজ শোধ করেন নাই। অতএব ভবিষ্যতে করবেন তাহার কোন সম্পভাবনা নাই। অতএব তিনি এক্ষণে ঋণ করিলে পরিশোধ করিবে কে ? তিনি বলিবেন, পত্ৰগণ। কিন্তু পত্ৰগণের মধ্যে মধ্যম নিজের দেনাই পরিশোধ করিতে অশক্ত, পিতৃঋণের এক পয়সাও পরিশোধ করিবার সম্ভাবনা নাই। কনিষ্ঠও তদুপ, তাহার যে আয় তাহাতে কোনমতে সংসার নির্বাহ হয়, ঋণ পরিশোধ হইতে পারে না। জ্যোিঠ এক পয়সাও দিবেন না, ইহা নিশ্চিত, বাকী আমি কেবল একা দায়ে ধরা পড়ি। অতএব তিনি যদি এখন যতীশের বিবাহের জন্য ঋণ করেন, তবে আমার ঘাড়ে ফেলিবার জন্য। উহা আমার প্রতি কতবড় অত্যাচার হইবে তাহা তাঁহাকে আপনি বঝাইবেন। -- আর একটি কথা যদিও অবক্তব্য, তথাপি এস্থলে না বলিলে নয়। আমার উপর রাগ করবেন না, আমার দেহের প্রতি বিশ্বাস নাই। আমার শরীরে শ্বাস কাশ্যাদির বীজ রোপিত আছে, অন্যান্য উৎকট রোগেরও লক্ষণ আছে। তাহার প্রতিকারের চেন্টা করি না, কেন না। দীঘজীবন বাসনা কয়ি না। অধিক দিন বাঁচিলে অধিক কস্ট পাইতে হয় এবং প্রতিকারের চেস্টীয় কন্ট পাইতে হয়, প্রায়ই কোন না কোন ব্যাধিতে আমার শরীর রোগগ্ৰস্ত। অতএব কতদিন বাঁচিয়া থাকিব তাহা বলিতে পারি না, বোধহয় ঋণ পরিশোধ পৰ্যন্ত আমাকে বাঁচতে হইবে না। আর কেবল ঋণ পরিশোধের জন্য বাঁচিয়া কি হইবে ? যদি ঋণ হইতে মাক্তি না পাই, তবে রোগের কোন চিকিৎসা হইবে না। যতীশের বিবাহে আপনি বা শ্ৰীষিক্ত এক পয়সাও ঋণ করিতে পারিকেন না। ইহাতে বলিবেন যতীশের কি বিবাহ দেওয়া হইবে না? আমার বিবেচনায় যতীশের বিবাহ দই বৎসর পরেও ভাল, তথাপি ঋণ কৰ্ত্তব্য নহে। নিতান্ত যদি বিবাহ দেওয়া কৰ্ত্তব্য হয়, (কিন্তু তাহার প্রয়োজন নাই); অক্ষয় সরকারের কাছে আপনার চারিশত টাকা পাওনা আছে, সে এখন দিবে না। সত্য বটে, কিন্তু গৃঙ্গাচরণকে ধরিতে পারিলে সে দিতে পারে, সেই চারিণত টাকা আদায় করন। আর আপনি ২০o২ টাকা দিতে পারেন, শ্ৰীযক্তি S0è