পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৭৮

ৰঞ্জিকায় রচনাবলী কল্যাণবরেষদ তোমার পত্র পাইয়াছি, আঙ্গলের একটি বেদনা হওয়ায় নিজহাতে পত্র লিখিতে পারিলাম না। তুমি নতেন। কাব্যে প্রবত্ত হইয়া যেরূপভাবে ব্যবহার করিতেছ। তাহাতে সংবিধা হওয়ার সম্ভাবনা নাই। উপরওয়ালা সাহেবরা যখন যাহা বলবেন তখনই তাহা সত্বীকার করতে হইবে এবং সাধ্যানসারে তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে। রাসবিহারীবাব, কুলোক হইলেও তাঁহার উপর কিছমাত্র অসন্তোষ প্রকাশ করিবে না। তাঁহার সম্পবন্ধে কোন কথা সাহেবের নিকট রা অপর কাহারও নিকট কিছুমাত্র বলিবে না এবং তাঁহার খব। আনগত্য করবে। তিনি কাজ শেখান বা না শেখান। আপনি কাজ শিখিবে। যে আপনি কাজ শিখিতে জানে তাহার পরের সাহায্যের প্রয়োজন হয় না, যে আপনি কাজ শিখিতে না জানে পরের সাহায্যে তাহার কোন উপকার হয় না। সাহেব যদ্যপি তোমাকে পানব্বার “কুটিয়া” যাইতে বলেন তখনই তাহা সবীকার করিবে, কাজের জন্য আটকাইবে না। অপরজনকে জিজ্ঞাসা করিয়া কাজ করা যাইতে পারে। Magistrate সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইলে তোমাকে সদরে রাখার জন্য 'কোন কথা বলিবে না। ইহাকে “ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়া বলে।” District সাহেব তাহাতে খাব রাগ করিবার সম্ভাবনা। বংশমর্য্যাদা লইয়া একশবার বড়াই করিবে না, উহাতে লোকে বিরক্ত হয়, উপহাস করে এবং বংশেও এমন কিছু গৌরবের কথা নাই যে সকলের কাছে সে বড়াই করা যায়। অমককে কুস্টিয়া দাও, আমি যাইব না, এমন সকল কথা সাহেবের কাছে বলিবে না। সব্বদা নম্নভাবে চলিবে! নমতা শিক্ষা তোমার নিতান্ত আবশ্যক। যাহারা তোমাকে পরামর্শ দিয়াছে যে, তুমি ছয়মাসকাল সদরে থাকিতে চাও একথা তুমি জোর করিয়া বলিতে পাের, তাহারা তোমার পরম শত্র। জোর করিয়া কোন কথা বলিলে তোমার চাকরী থাকিবে না। সাহেবের যাহা ইচ্ছা তাহা করিতে পারে। বাঙ্গালী বিশেষতঃ তোমার মত ক্ষদ্র চাকুরের কোন কথায় জোর চলে না। ইহা নিশ্চিত জানিও। কায্যে প্রবত্ত হইয়াছ, রাসবিহারীবাব কি অন্য কাহাকেও शष्ट कार्गद्र8 ना । देऊ-s१झे खाष्ट्र শ্ৰীবঙ্কিম চট্টোপাধ্যায় তুমি বোধকরি পাজার সময় বাড়ী গিয়াছিলে, এতদিনে ফিরিয়া আসিয়া থাকিবে। আমার নিকট উপদেশ চাহিয়াছিলে, আমি এই পত্রের মধ্যে সাতটী উপদেশ লিখিরা পাঠাইলাম। এই সাতটী Golden Rule বিবেচনা করিবে। বিশেষ প্রথম পাঁচটি। ইহার অন্যবিত্তীর্ণ হইলে সৰস্বত্র মঙ্গল ঘটবে। এখানকার সমস্ত মঙ্গল। ভরসা করি এই মাস হইতে তুমি সংসারের ভার লাইতে পারিাবে। देऊ-sला आश्विन শ্ৰীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ উপদেশ ; – ১। প্রথম প্রয়োজনীয় কথা-সত্য ভিন্ন মিথ্যা পথে যাইবে না। কলমের মাখে। কখন মিথ্যা নিগতি না হয়। তাহা হইলে চাকরী থাকে না। নিতান্তপক্ষে কর্তৃপক্ষের অবিশ্বাস জন্মে। लबिधान स्क्वल आद्ध ठन्ड श्व ना। ২। দ্বিতীয়-প্রয়োজনীয় কথা পরিশ্রম। বিনা পরিশ্রমে কখন উন্নতি হয় না। কখনও কোন কাজ পড়িয়া না থাকে। ৩ । উপরওয়ালাদের আজ্ঞাকারিতা। তাঁহাদিগের নিকট বিনীত ভাব। চাকরী রাখার এবং BDDB BB D DBLB sBBBDBD S DDD DDDD D S , ? ৪। আপনার কাজের Rules & Hours বিশেষরূপে অবগত হইবে। oss