পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী সত্ৰীজাতি অপেক্ষা বে পরিষজাতির সৌন্দৰ্য্য অধিক, প্রকৃতির সন্টি-পদ্ধতি সমালোচনা DDDS S BBBBS DD S BBuS sBuBDB BBBS BBBS S DuuuqS S BDBDBBS BB জলদমকুট ইন্দুধন, হারি মানে, সে চন্দ্রকলাপ ময়রের আছে; ময়রীর নাই। ষে কেশরে সিংহের এত শোভা, তাহা সিংহীর নাই। যে ঝাটিতে বিষভের কান্তি বদ্ধি করে, গাভীর তাহা নাই। কুক্কটের যেমন সন্দের তােমাচড়া ও পক্ষ সকল আছে, কুক্কাটীর তেমন নাই। এইরপ দেখিতে পাইবে যে, উচ্চ শ্রেণীর জীবদিগের মধ্যে সত্ৰী অপেক্ষা পরিষ সশ্ৰী । মনকেষ্য সন্টি করিতে প্রবত্ত হইয়া সন্টিকৰ্ত্তা যে এই নিয়মের ব্যতিক্রম করিয়াছেন, এমন বোধ হয় না। হে মল “বিদ্যাসন্দর’কার! তোমার মনে কি এই তত্ত্বটি উদিত হইয়াছিল ? এজন্যই কি তুমি নায়কের নাম সন্দর রাখিয়াছিলে ? তুমি কি বঝিয়াছিলে যে, স্ত্রীলোক যত কেন বিদ্যাবতী হউক না, পরিষের স্বাভাবিক সৌন্দৰ্য্য ও বদ্ধির নিকটে তাহাকে পরাভব স্বীকার করিতে হইবে। সৌন্দয্যের বাহার যৌবনকালে। কিন্তু, রূপান্ধ ভামিণীগণ! তোমাদিগের যৌবন কতক্ষণ থাকে ? জোয়ারের জলের মত আসিতে আসিতেই যায়। কুড়ি হইতেই তোমরা বাড়ী হইলে । অলপ দিনের মধ্যেই তোমাদিগের অঙ্গ সকল শিথিল হইয়া পড়ে। বয়স আসিয়া শীঘ্রই তোমাদিগের গলার লাবণ্য-মালা ছিাড়িয়া লয়। চল্লিশ পায়তাল্লিশে পরিষের যে শ্ৰী থাকে, বিশ পাঁচিশের উধেব তোমাদিগের তাহা থাকে না। তোমাদিগের রাপের স্থিতি সৌদামিনীর ন্যায়, ইন্দুধনার ন্যায়, মহত্তেক জন্য না হউক, অত্যািলপ কালের জন্য সন্দেহ নাই। যাহারা রপোপভোগে উন্মত্ত, আমি আহারে বসিলেই তাহদের যন্ত্রণা অনভূত করিতে পারি;-আমার জীবনে ঘোর দিল্লখ এই যে, অন্ন ব্যঞ্জন পাতে দিতে দিতেই ঠান্ডা হইয়া যায়। তেমনি, সত্ৰীলোকের সৌন্দৰ্যরপ বাকড়ি চালের ভাত, প্রণয়-কলাপাতে ঢালিতে ঢালিতে ঠান্ডা হইয়া যায়—আর কাহার সাধ্য খায় ? শেষে বেশভুষারপ তেতুল মাখিয়া, একটি আদর-লবনের ছিটা দিয়া কোনরূপে গলাধঃকরণ করিতে হয়। হে সৌন্দৰ্য্যগৰ্ব্বিবত কামিনীকুল। সত্য করিয়া বল দেখি, এই রােপ ক্ষণস্থায়ী বলিয়াই কি তোমাদিগের রাপের এত আদর ? ভাল করিয়া দেখিতে না দেখিতে, ভাল করিয়া উপভোগ পিপাসিত চাতকের ন্যায় উন্মত্ত ? অপরিজ্ঞাত হারাধন বলিয়াই কি তোমরা উহার প্রকৃত মাল্যনিণয়ে অশক্ত ? কেবল ক্ষণস্থায়ী পদাৰ্থ বলিয়া নয়, অপর কারণেও সস্ত্রীলোকের সৌন্দয্য মনোহর মাত্তি ধারণ করে। যে সকল গ্রন্থকারদিগের মত ভূমন্ডলে গ্রাহ্য হইয়াছে, তাঁহারা সকলেই পরিষ, এ কারণে আমার বিবেচনায় অন্যরাগনেত্ৰে কামিনীকুলের রােপ বর্ণনা করিয়াছেন। কথাই আছে, “যারা যাতে মজে মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম।” ষে রমণীগণ প্ৰণয়ের পদাৰ্থ, তাহাদিগকে কে সহজ চক্ষতে দেখিবে ? সন্দর মকুরের প্রভাবে দন্ট বস্তু কুৎসিত হইলেও সন্দর দেখাইবে। মনোমোহিনীর রূপে নিরীক্ষণকালে তাহাতে প্রীতির অঞ্জনে মাখাইয়া দেখিব। পরিষপেক্ষা তাহার মাধ্যায্য কেন না। অধিক বোধ হইবে ? হে প্রণয়দেব, পাশ্চাত্য কবিরা তোমাকে অন্ধ বলিয়াছেন। কথাটা মিথ্যা নয়। তোমার প্রভাবে লোকে প্রিয় বস্তুর দোষ দেখিতে পায় না। তোমার অঞ্জনে যাহার নেত্রী রঞ্জিত হইয়াছে, সে বিশ্বমোহন পদাৰ্থ-পরম্পরায় পরিবত থাকে। বিকট মাত্তিকে সে মনোহর দেখে। ককাশ সত্বরকে সে মধ্যময় ভাবে । প্রেতিনীর অঙ্গ-ভঙ্গীকে মদ-মন্দ মলয়-মারিতে দোদল্যিমানা ললিতলবঙ্গলতার লাবণ্যলীলা অপেক্ষাও সখ্যকরী জ্ঞান করে। এজন্যই চীনদেশে খাঁদা নাকের আদর। এজন্যই বিলাতী বিবিদের রাঙ্গা চুল ও বিড়াল চোকের আদর। এজন্যই কাফ্রিদেশে স্থল ওঠাধরের আদর। এজন্যই বাঙ্গালাদেশে উলিক-চিত্রিত মিশি-কলঙ্কিত চাঁদবদনের আদর। এজন্যই মানবসমাজে স্ত্রীরাপের আদর। আর যদি সন্ত্রীলোকেরা পরিষের ন্যায় মনের কথা মখে অনিতেন, তাহা হইলে, হে প্রণয়দেব, নিজের গণে হউক না হউক, অন্ততঃ তোমার গণেও আমরা শনিতে পাইতাম যে, পরিষের সৌন্দয্যের কাছে স্ত্রীলোকের রােপ কিছই নয়। যদিও অন্তরের গঞ্জ ভােব বাক্যদ্বারা ব্যক্ত করিতে মহিলাগণ অত্যন্ত সঙ্কুচিতা, তথাপি কাৰ্য্যদ্বারা তাহাদিগের আন্তরিক গঢ়ি তত্ত্বগলি কিয়ং পরিমাণে প্রকাশিত হইয়া পড়ে। কে না দেখিয়াছে যে, সন্দরীরা পরস্পরের সৌন্দৰ্য্য স্বীকার করিতে চাহেন না, অথচ পরিষের ভক্ত হইয়া বসেন ? CS