পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाध बीए ইহাতে কি বঝাইতেছে না যে, মনে মনে তাঁহারা সন্ত্রীলোকের রপোপেক্ষা পরিষের রাপের পক্ষপাতিনী ? রাপ, রূপ, করিয়া সন্ত্রীলোকের সব্বনাশ হইয়াছে। সকলেই ভাবে, রােপই কামিনীকুলের মহামল্য ধন, রােপই কামিনীকুলের সব্বস্ব। সতরাং মহিলাগণ যাহা কিছ কাম্য বস্তুর প্রার্থনা করেন, লোকে কেবল রাপের বিনিময়েই দিতে চায়। ইহাতেই মনষ্যেসমাজের কলঙ্ক বারাঙ্গনাবগের সন্টি। ইহাতেই পরিবারমধ্যে স্ত্রীলোকের দাসীত্ব। অস্থায়ী সৌন্দৰ্যই যোষিদমন্ডলীর একমাত্র সম্পবেল, সংসার-সাগর পার হইবার একমাত্র কান্ডারী, এ কথা আর আমি শনিতে চাহি না। অনেক দিন শনিয়াছি। শনিয়া কাণ ঝালাপালা হইয়া গিয়াছে। শনিতে আর পারি না। আমি শনিতে চাই যে, নারীজাতির রােপাপেক্ষা শত গণে, সহস্ৰ গণে, লক্ষ গণে কোটী গণে মহত্ত্বের গণ আছে। আমি শনিতে চাই যে, তাঁহারা মাত্তিমতী সহিষ্ণতা, ভক্তি ও প্রীতি। যাঁহারা দেখিয়াছেন যে, কত কন্ট সহ্য করিয়া জননী। সন্তানের লালন পালন করেন, যাঁহারা দেখিয়াছেন যে, কত যত্নে মহিলাগণ পীড়িত আত্মীয়বগের সেবা শশ্রষা করেন, তাঁহারা কামিনীকুলের সহিষ্ণতার কিঞ্চিৎ পরিচয় পাইয়াছেন। যাঁহারা কখন কোন সন্দরীকে পতি পত্রের জন্য জীবন বিসর্জন, ধন্মের জন্য বাহ্যসংখ বিসজ্জন করিতে দেখিয়াছেন, তাঁহারা বঝিয়াছেন যে, কিরােপ প্রীতি ও ভক্তি সত্ৰীহৃদয়ে বসতি করে। যখন আমি উৎকৃষ্টা যোষিদ্বগের বিষয়ে চিন্তা করিতে যাই, তখনই আমার মানসপটে, সহমরণপ্রবত্তা সতীর মাত্তি জাগিয়া উঠে। আমি দেখিতে পাই যে, চিতা জাবলিতেছে, পতির পদ সাদরে বক্ষে ধারণা করিয়া প্রজবলিত হতাশনমধ্যে সাধবী বসিয়া আছেন। আস্তে আস্তে বহ্নি বিস্তৃত হইতেছে, এক অঙ্গ দগ্ধ করিয়া অপর অঙ্গে প্রবেশ করিতেছে। অগ্নিদগ্ধা সর্বামিচরণ ধ্যান করিতেছেন, মধ্যে মধ্যে হরিবোল বলিতে বলিতেছেন বা সঙ্কেত করিতেছেন। দৈহিক ক্লেশ-পরিচায়ক লক্ষণ নাই। আনন। প্ৰফল্ল। ক্রমে পাবকশিখা বাড়িল, জীবন ছাড়িল, কায়া ভস্মীভূত হইল। ধন্য সহিষ্ণতা। ধন্য প্রীতি!! ধন্য ভক্তি! যখন আমি ভাবি যে, কিছ দিন হইল, আমাদিগের দেশীয়া অবলা অঙ্গনাগণ কোমলাঙ্গী হইয়াও এইরূপে মরিতে পারিত, তখন আমার মনে নতেন। আশার সঞ্চার হয়, তখন আমার বিশ্বাস হয় যে, মহত্ত্বের বীজ আমাদিগের অন্তরেও নিহিত আছে। কালেও কি আমরা মহত্ত্ব দেখাইতে পারিব না ? হে বঙ্গ পৌরাঙ্গনাগণ-তোমরা এ বঙ্গদেশের সারা রত্ন ! তোমাদের মিছা রাপের বড়াইয়ে কাজ কি ? नवन्ध नर्था-कटुव्णन्न बिबाछ বৈশাখ মাস বিবাহের মাস। আমি ১লা বৈশাখে নসী বাবর ফািলবাগানে বসিয়া একটি বিবাহ দেখিলাম। ভবিষ্যৎ বরকন্যাদিগের শিক্ষাৰ্থ লিখিয়া রাখিতেছি। মল্লিকা ফলের বিবাহ। বৈকাল-শৈশব অবসানপ্রায়, কলিকা-কন্যা বিবাহযোগ্য হইয়া আসিল । কন্যার পিতা বড় লোক নহে, ক্ষদ্র ব্যক্ষ, তাহাতে আবার অনেকগলি কন্যাভারগ্রস্ত। সম্পবন্ধের অনেক কথা হইতেছিল, কিন্তু কোনটা স্থির হয় নাই। উদ্যানের রাজা স্থলপদ্ম নিন্দোেষ পাত্র বটে, কিন্তু ঘর বড় উচু স্থলপদ্ম অত দীর নামিল না। জবা এ বিবাহে অসম্মত ছিল না, কিন্তু জবা বড় রাগী, কন্যাকত্তা পিছাইলেন। গন্ধরাজ পাত্র ভাল, কিন্তু বড় দেমািগ, প্রায় তাহার বার পাওয়া যায় না। এইরপে অব্যবস্থার সময়ে ভ্রমররাজ ঘটক হইয়া মল্লিকা-বক্ষসদনে উপস্থিত হইলেন। তিনি আসিয়া বলিলেন, “গণ! গণ! গণি মেয়ে আছে ?” মল্লিকাব্যক্ষ পাতা নাড়িয়া সায় দিলেন, “আছে! ভ্রমর পত্রাসন গ্রহণ করিয়া বলিলেন, “গণ গণ গণ! গণ্য গণ্যগণ! মেয়ে দেখিব।” বক্ষ, শাখা নত করিয়া, মাদিতনয়না অবগঠনবতী কন্যা দেখাইলেন। ভ্রমর একবার বক্ষকে প্ৰদক্ষিণ করিয়া আসিয়া বলিলেন, “গণ! গণ! গণ! গাণ দেখিতে চাই। ঘোমটা খোেল।” । লােজাশীলা কন্যা কিছতেই ঘোমটা খালে না। ব্যক্ষ বলিলেন, “আমার মেয়োগলি বড় লাজক। তুমি একটি অপেক্ষা কর, আমি মািখ দেখাইতেছি।” )