পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oes Neira Sg পরিমল ছটাইয়া, সখের হাসি হাসিতেছে। দেখিলাম, পাতায় পাতায় জড়ােজড়ি, গন্ধের ভান্ডারে ছড়াছড়ি পড়িয়া গিয়াছে।-রাপের ভরে সকলে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। যথি, মালতী, বকুল, রজনীগন্ধা প্রভৃতি এয়োগণ সত্ৰী-আচার করিয়া বরণ করিল। দেখিলাম, পরোহিত উপস্থিত; নসী বাবর নবমন্বষীয়া কন্যা (জীবন্ত কুসমর্যাপিণী) কুসমলতা সাঁচ সন্তা লইয়া দাঁড়াইয়া আছে; কন্যাকৰ্ত্তা কন্যা সম্প্রদান করিলেন; পরোহিত মহাশয় দাই জনকে এক সন্তায় গথিয়া গাঁটছড়া বধিয়া দিলেন। তখন বরকে বাসর-ঘরে লইয়া গেল। কত যে রসময়ী মধ্যময়ী সন্দরী সেখানে বরকে ঘেরিয়া বসিল, তাহা কি বলিব। প্রাচীনা ঠাকুরাণীদিদি টগর সাদা প্ৰাণে বাঁধা রসিকতা করিতে করিতে শকাইয়া উঠিলেন। রঙ্গণের রাঙ্গামখে হাসি ধরে না। যাই, কন্যেরা সই, কন্যের কাছে গিয়া শাইল; রজনীগন্ধাকে বর তাড়কা রাক্ষসী বলিয়া কত তামাসা করিল; বকুল একে বালিকা, তাতে যত গণ, তত রূপ নহে; এক কোণে গিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল; আর ঝমকা ফল বড় মানষের গহিণীর মত মোটা মাগী নীল শাড়ি ছড়াইয়া জমকাইয়া বসিল। তখন “কমলাকাকা-ওঠ বাড়ী যাই-রাত হয়েছে, ও কি, ঢলে পড়বে যে ?” কুস্যামলতা এই কথা বলিয়া আমার গা ঠেলিতেছিল; চমক হইলে, দেখিলাম কিছই নাই। সেই পক্ষপবােসর কোথায় মিশিল ? -মনে করিলাম, সংসার অনিত্যই বট-এই আছে, এই নাই। সে রম্য বাসর কোথায় গেল,-সেই হাস্যমখী শািন্দ্রসিমতসন্ধাময়ী পাম্পসন্দরী’সকল কোথায় গেল ? যেখানে সব যাইবে, সেইখানে-সমতির দপণতলে, ভুতসাগরগভে । যেখানে রাজা প্ৰজা, পৰবত সমদ্র, গ্ৰহ নক্ষত্ৰাদি গিয়াছে বা যাইবে, সেইখানে-ধবংসপারে! এই বিবাহের ন্যায় সব শন্যে মিশাইবে, সব বাতাসে গলিয়া যাইবে- কেবল থাকিবে-কি ? ভোগ ? না, ভোগ্য না। থাকিলে ভোগ থাকিতে পারে না। তবে কি ? সমিতি ? कूष्मभा वव्लिव्, “७ठे ना-कि क८का ?” কুসম ঘোষে এসে, হেসে হেসে কাছে দাঁড়াইয়া আদর করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কার বিয়ে, काका ?” আমি বলিলাম, “ফলের বিয়ে।” ধ্ৰুগড়া কপাল, ফলের? আমি বলি কি! আমিও যে এই ফলের বিয়ে দিয়েছি।” d ניק “এই যে মালা গাঁথিয়াছি।” দেখিলাম, সেই মালায় আমার বির কন্যা রহিয়াছে। प्रथम नर्था-बफू बाद्या প্ৰসন্ন গোয়ালিনীর সঙ্গে আমার চিরবিচ্ছেদের সম্ভাবনা দেখিতেছি। আমি নাসীরাম বাবর গহে আসিয়া অবধি তাহার নিকট ক্ষীর সর, দধি দগ্ধ এবং নবনীত খাইতেছি । আহারকালে মনে করিতাম, প্ৰসন্ন কেবল পরলোকে সদ্গতির কামনায় অনন্ত পণ্য সঞ্চয় করিতেছে-; জানিতাম, সংসারারণ্যে যাহারা পণ্যেরােপ মািগ ধরিবার জন্য ফাঁদ পাতিয়া বেড়ায়, প্রসন্ন তন্মধ্যে সচতুরা; ভোজনান্তে নিত্যই প্রসনের পরকালে অক্ষয় সবগ, এবং ইহকালে মোতাত বন্ধির জন্য দেবতার কাছে প্রার্থনা করিতাম। কিন্তু এক্ষণে হায়! মানব-চরিত্র কি ভীষণ সবার্থপরতায় কলঙ্কিত! এক্ষণে সে মাল্য চাহিতেছে! সতরাং তাহার সঙ্গে চিরবিচ্ছেদের সম্ভাবনা। প্রথম দিন সে যখন মাল্য চাহিল, রসিকতা DD DDDDB DBDS DuBuuD DB DDBB BBBD S TDDuuD DDB DDD DDSEBDB সে দধি দই ৰন্ধা করিয়াছে। কি ভয়ানক! এত দিনে জানিলাম, মনষ্যজাতি নিতান্ত সবার্থপর; এত দিনে জানিয়াছি যে, যে সকল আশা ভরসা সযত্নে হৃদয়ক্ষেত্রে রোপণ করিয়া বিশ্বাস-জলে পষ্ট কর, সকলই ব্যথা। এক্ষণে জানিয়াছি যে, ভক্তি প্ৰীতি স্নেহ প্রণয়াদি সকলই ব্যথা গল্প —আকাশকুসম! ছায়াবাজি! হায়! মনষ্যেজাতির কি হইবে! হায়, অৰ্থলন্ধ গোয়ালা জাতিকে কে নিন্তরে করিবে! হায়! প্ৰসন্ন নামে গোয়ালার কবে গোর চুরি যাবে!