পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाध्यम ब्रछनाबणी । প্রসনের দগ্ধ দধি আছে, সে দিবে, আমার উদর আছে, খাইব, তাহার সঙ্গে এই সম্পবিন্ধ ইহাতে সে মাল্য চাহে কোন অধিকারে, তাহা আমি বঝিতে পারিলাম না। প্ৰসন্ন বলে, আমি অধিকার অনধিকার বঝি না; আমার গোর, আমার দািধ, আমি মাল্য লইব । সে বঝে না যে, গোর কাহারও নহে; গোর গোেরর নিজের; দধি, যে খায় তারই। তবে এ সংসারে মাল্য লওয়া একটা রীতি আছে, স্বীকার করি। কেবল খাদ্য সামগ্রী কেন, সকল সামগ্রীই মাল্য দিয়া ক্রয় করিতে হয়। দধি দই, চাল দাল, খাদ্য পেয়, পরিধেয় প্রভৃতি পণ্য দ্রব্য দরে থাকুক, বিদ্যা বদ্ধিও মাল্য দিয়া কিনিতে হয়। কলেজে মল্যে দিয়া বিদ্যা কিনিতে হয়। অনেকে ভাল কথা মাল্য দিয়া কিনিয়া থাকেন। হিন্দরা সচরাচর মাল্য দিয়া ধৰ্ম্ম কিনিয়া থাকেন। যশঃ মান অতি অলপ মনুল্যেই ক্রীত হইয়া থাকে। ভাল সামগ্ৰী মাল্য দিয়া কিনিতে হইবে, ইহাও বঝিতে পারি, কিন্তু মনষ্য এমনই মাল্যপ্রিয় যে, বিনামল্যে মন্দ সামগ্ৰীও কেহ। কাহাকে দেয় না। যে বিষ খাইয়া মরিবার বাসনা কর, তাহাও তোমাকে বাজার হইতে মল্য দিয়া কিনিয়া খাইতে হইবে। অতএব এই বিশ্বসংসার একটি বহৎ বাজার-সকলেই সেখানে আপনাপন দোকান সাজাইয়া বসিয়া আছে। সকলেরই উদ্দেশ্য মাল্যপ্রাপ্তি। সকলেই অনবরত ডাকিতেছে, “আমার দোকানে ভাল জিনিষ-খারিন্দার চলে আয়”-সকলেরই একমাত্র উদ্দেশ্য, খারিন্দারের চোখে ধলা দিয়া রদি মাল পাচার করিবে। দোকানদার খারিন্দারে। কেবল যাদ্ধ, কে কাকে ফাঁকি দিতে পারে। সন্তা খারিদের অবিরত চেস্টাকে মনষ্যজীবন বলে। ங் ভাবিয়া চিন্তিয়া, মনের দঃখে আফিমের মাত্রা চড়াইলাম। তখন জ্ঞাননেত্ৰ ফটিল। সম্পম খে ভাবের বাজার সবিস্তৃত দেখিলাম। দেখিলাম, অসংখ্য দোকানদার, দোকান সাজাইয়া বসিয়া আছে- অসংখ্য খািরন্দারে খরিদ করিতেছে- দেখিলাম, সেই অসংখ্য দোকানদারে অসংখ্য খারিন্দারে পরস্পরকে অসংখ্য অঙ্গঠি দেখাইতেছে। আমি গামছা কাঁধে করিয়া, বাজার করিতে বাহির হইলাম। প্রথমেই রাপের দোকানে গেলাম। যে জিনিস ঘরে নাই, সেই দোকানে আগে যাইতে হয়-দেখিলাম যে, সংসারে সেই মেছো হাটা। পথিবীর রূপসীগণ মাছ হইয়া ঝাড়ি চুপড়ির ভিতর প্রবেশ করিয়াছেন। দেখিলাম, ছোট বড় রাই, কাতলা, মাগেল, ইলিস, চুনো পাটি, কই, মাগর খরিদ্দারের জন্য লেজ আছড়াইয়া ধড়ফড় করিতেছে; যত বেলা বাড়িতেছে, তত বিক্রয়ের জন্য খাবি খাইতেছে।-মেছনীরা ডাকিতেছে, “মাছ নেবে গো! কুল পকুরের সন্তা মাছ, অমনি ছাড়বো-বোঝা বিক্রি হলেই বাঁচি ” কেহ ডাকিতেছে, “মাছ নেবে গো!— ধন সাগরের মিঠা মাছ-যে কেনে, তার পানজন্ম হয় না-ধৰ্ম্ম অৰ্থ কাম মোক্ষ বিবির মপ্টেড পরিণত হইয়া তার ঘর দ্বারে ছড়াছড়ি যায়, যার সাধ্য থাকে কিনিবে। সোণার হাঁড়িতে চোখের আয়। সাবধান!! হীরার কাঁটা-নাতি ঝাঁটা-গলায় বাঁধলে শাশড়ীর্যপী বিড়ালের পায়ে পড়িতে হয়-কাঁটার জবালায়, খরিদার হলে কি পলায়! কেহ ডাকিতেছে, “ওরে আমার সরাম পাটি, বিক্রি হলেই উঠি। ঝোলে ঝালে অবলে, তেলে ঘিয়ে জলে, যাতে দিবে ফেলে, রান্না যাবে চলে,-সংসারের দিন সখে কাটাবে, আমার এই সরম পটির বলে।” কেহ বলিতেছে, “কাদা ছোচে চাঁদা এনেছি।--দেখে খরিদার পাগল হয়! কিনে নিয়ে ঘর আলো কর।” এইরপে দেখিয়া শনিয়া মাছ কিনিতে প্রবত্ত হইলাম-কেন না, আমার নিরামিষ ঘরকারনা। দেখিলাম, মাছের দালাল আছে; নাম পরোহিত। দালাল খাড়া হইলে পর জিজ্ঞাসা করিলামশানিলাম, দর। “জীবন সব্বস্ব।” যে মাছ ইচ্ছা, সেই মাছ কেন, একই দর। “জীবন সব্বস্ব।” DBLBLBD DDDDBBBSiDDS S BBBD DBuBDBD DD DBBS DBBLBBD BBSY D DD DS DBDBY পর পাঁচিয়া গন্ধ হইবে।” তখন “এত চড়া দরে, এমন নশ্বর সামগ্ৰী কেন কিনিব ?” ভাবিয়া আমি মেছো হাটা হইতে পলায়ন করিলাম। দেখিয়া মেছনীরা গামছা কাঁধে মিনাসেকে গালি পাড়িতে লাগিল । রাপের বাজার ছাড়িয়া বিদ্যার বাজারে গেলাম। দেখিলাম, এখানে ফলমল বিক্রয় হয়। এক স্থানে দেখিলাম, কতকগলি ফোঁটা-কাটা টিকিওয়ালা ব্ৰাহ্মণ তসর গরদ পরিয়া নামাবলি গায়ে, কানা নারিকেলের দোকান খালিয়া বসিয়া খরিদ্দার ডাকিতেছেন- “বেচি আমরা ঘটত্ব পটত্ব ষত্ব ণত্ব-স্বরে চাল থাকিলেই সব-ত্ব, নইলে ন-ত্ব। দ্রব্যত্ব জাতির গণত্ব পদাৰ্থ-বাপের শ্রান্ধে ,鸟始 . م. م