পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী আনন্দে উন্মত্ত হইয়া, তাহা চক্ৰবাণ, লেহন, গেলন এবং হজমকরণে প্রবত্ত হইল। আনন্দে তাহার চক্ষ বজিয়া আসিল। যখন সেই মৎস্যকণ্টকস বন্ধে এই সমহৎ কাৰ্য্য উত্তমরাপে সমাপন হইল, তখন সেই সচতুর পলিটিশ্যনের মনে হইল যে, আর একখানা কাঁটা পাইলে ভাল হয়। এইরূপ ভাবিয়া, পলটিশ্যন আবার বালকের মািখপানে চাহিয়া রহিল। দেখিল, বালক আপনমনে গড় মাখিয়া ঘোর রবে ভোজন করিতেছে-কুক্কর পানে আর চাহে না। তখন কুক্কর একটি bold move অবলম্বন করিল-জাত পলিটিশ্যন, না হবে কেন ? সেই রাজনীতিবিদ সাহসে ভর করিয়া আর একটি অগ্রসর হইয়া বসিলেন। আর এক বার হাই তুলিলেন। তাহাতেও কলার ছেলে চাহিয়া দেখিল না। অতঃপর কুক্কর মদ, মদ, শব্দ করিতে লাগিলেন। বোধ হয় বলিতেছিলেন, হে রাজাধিরাজ কলপত্ৰ! কাঙ্গালের পেট ভরে নাই। তখন কলার ছেলে তাহার পানে চাহিয়া দেখিল। আর মাছ নাই-এক মন্টি ভাত কুকুরকে ফেলিয়া দিল। পােরন্দর যে সখে নন্দনকাননে বসিয়া সাধা পান করেন, কান্ডিনেল উলসি বা কান্ডিনেল জেরেজ যে সখে কাডিনেলের টপি পরিয়াছিলেন, কুক্কর সেই সখে সেই অন্নমন্টি ভোজন করিতে লাগিল। এমত সময়ে, কলগেহিণী গহ হইতে নিম্পন্ধান্ত হইল। ছেলের কাছে একটা কুকুর ম্যাক ম্যাক করিয়া ভাত খাইতেছে—দেখিয়া কলপত্নী রোষ-কষায়িত-লোচনে এক ইন্টকখন্ড লইয়া কুক্কর প্রতি নিক্ষেপ করিলেন। রাজনীতিজ্ঞ তখন আহত হইয়া, লাঙ্গলসংগ্রহপ'ক্ৰবাক বহবিধ রাগ রাগিণী আলাপচারী করিতে করিতে দ্রুতবেগে পলায়ন করিল। এই অবসরে আর একটি ঘটনা দণ্টিগোচর হইল।। যতক্ষণ ক্ষীণজীবী কুক্কর আপনি উদরপতির জন্য বহবার কৌশল করিতেছিল, ততক্ষণ এক বহৎকায় বিষ আসিয়া কলার বলদের সেই খোলবিচালি-পরিপািণ নাদায় মািখ দিয়া জাবনা খাইতেছিল-বিলদ ব্যুষের ভীষণ শঙ্গ এবং স্থািলকায় দেখিয়া, মখ সরাইয়া চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া কাতরনয়নে তাহার আহারনৈপণ্য দেখিতেছিল। কুক্করকে দারীকৃত করিয়া, কলগহিণী এই দস্যতা দেখিতে পাইয়া এক বংশখন্ড লইয়া বাষকে গোেভাগাড়ে যাইবার পরামর্শ দিতে দিতে তৎপ্রতি ধাবমানা হইলেন। কিন্তু ভাগাড়ে বাওয়া দরে থাকুক-বষ এক পদও সরিল না—এবং কলগহিণী নিকটবত্তিানী হইলে বহৎ শােঙ্গ হেলাইয়া, তাঁহার হৃদয়মধ্যে সেই শঙ্গাগ্রভাগ প্রবেশের সম্ভাবনা জানাইয়া দিল। কলপত্নী তখন রণে ভঙ্গ দিয়া গহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। বর্ষ অবকাশমতে নাদা নিঃশেষ করিয়া হেলিতেদলিতে সাবস্থানে প্রস্থান করিল। আমি ভাবিলাম যে, এও পলিটিকস। দই রকমের পলিটিকস দেখিলাম—এক কুক্কােরজাতীয়, আর এক বর্ষজাতীয়। বিস্মাক এবং গশাকফ এই বিষের দরের পলিটিশ্যন-আর উলসিযুক্ত আমাদের পরমাত্মীয়য় রাজা মচিরাম রায় বাহাদর পয্যন্ত অনেকে এই কুক্কারের 死夺动 छूऊौन नरथा-बाक्राजिब्र अनवाश মহাশয়! আপনাকে পত্র লিখিব কি-লিখিবার অনেক অনেক শত্র। আমি এখন ষে কুড়ে ঘরে বাস করি, দভাগ্যবশতঃ তাহার পাশে গোটা দই তিন ফলগাছ পাতিয়াছি। মনে করিয়াছিলাম, কমলাকান্তের কেহ নাই-এই ফালগলি আমার সখা সখী হইবে। খোেশামোদ রয়া ইহাদের ফন্টাইতে হইবে না-টােকা ছড়াইতে হইবে না, গহনা দিতে হইবে না, মনযোগান গোছ কথা বলিতে হইবে না, আপনার সখে উহারা আপনি ফাটিবে। উহাদের হাসি আছেকান্না নাই; আমোদ আছে--রাগ নাই। মনে করিলাম, যদি প্ৰসন্ন গোয়ালিনী আমাকে ত্যাগ করিয়াছে, তবে এই ফলের সঙ্গে প্রণয় করিব। তা, ফল ফটিল-তারা হাসিল। মনে করিলাম-মহাশয় গো! কিছ মনে করিতে না করিতে, ফটেন্ত ফল দেখিয়া ভোমরার দল,—লাখে লাখে ঝাঁকে ঝাঁকে, ভোমরা বোলতা মৌমাছি --বহবিধ রসক্ষেপা রসিকের দল, আসিয়া আমার দ্বারে উপস্থিত হইলেন। তখন গান গান বাঝাইয়া বলিলাম যে, হে মহাশয়গণ! এ সভা নহে, সমাজ নহে, এসোসিয়েশ্যন, লীগ, N8