পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*NaԱՀԹ*Շ সোসাইটি, ক্লাব প্রভৃতি কিছই নহে কমলাকান্তের পর্ণকুটীর মাত্র, আপনাদিগের ঘ্যানঘ্যান্য করিতে হয়, অন্যত্র গমন করুন-আমি কোন রিজলিউশনই দ্বিতীয়তা করিতে প্রস্তুত নাহি ; আপনারা স্থানান্তরে প্রস্থান করুন। গান গানের দল, তাহাতে। কোন মতে সক্ষমত নহে-বরং ফলগাছ ছাড়িয়া আমার কুটীরের ভিতর হল্লা করিতে আরম্ভ করিয়াছে। এই মাত্র আপনাকে এক পত্র লিখিতে প্রবত্ত হইতেছিলাম-(আফিঙ্গ ফরাইয়াছে)-এমত সময়ে এক ভ্রমর কুচকুচে কালো আরম্ভ করিলেন-লিখিব কি, মহাশয় ? ভ্ৰমর বাবাজি নিশ্চিত মনে করেন, তিনি বড় সারসিক-বড় সদ্বক্তা-তাঁহার ঘ্যানঘ্যােনানিতে আমার সব্বাঙ্গ জড়িাইয়া যাইবে। আমারই ফলগাছের ফলের পাপড়ি ছিড়িয়া আসিয়া আমারই কাণের কাছে ঘ্যানঘ্যান ? আমার রাগ অসহ্য হইয়া উঠিল; আমি তালবন্ত হন্তে ভ্রমরের সহিত ষাঁদ্ধে প্রবত্ত হইলাম। তখন আমি ঘণন, বিঘণন, সংঘৰ্ণন প্রভৃতি বহবিধ বক্রগতিতে তালবস্তাস্ত্ৰ সঞ্চালন করিতে লাগিলাম; ভ্ৰমরও ডীন, উড্ডীন, প্রডীন, সমাডীন প্রভৃতি বহবিধ কৌশল দেখাইতে লাগিল। আমি কমলাকান্ত চক্রবত্তী-দপ্তর মক্তাবলীর প্রণেতা, কিন্তু হায় মনষ্যেবীৰ্য্য! তুমি অতি আসার! তুমি চিরদিন মনষ্যকে প্রতারিত করিয়া শেষে আপন অসারতা প্রমাণীকৃত কর! তুমি জামার ক্ষেত্রে হানিবলকে, পলটােবার ক্ষেত্রে চালাসকে, ওয়াটলার ক্ষেত্রে নেপোলিয়নকে, এবং আজি এই ভ্ৰমর সমরে কমলাকান্তকে বঞ্চিত করিলে! আমি যত পাখা ঘরাইয়া বায় সন্টি করিয়া ভ্রমরকে উড়াইতে লাগিলাম, ততই সে দারাত্মা ঘরিয়া ঘরিয়া আমার মাথামােন্ড বেড়িয়া চোঁ বোঁ করিতে লাগিল। কখনও সে আমার বস্ত্রমধ্যে লক্কায়িত হইয়া, মেঘের আড়াল হইতে ইন্দ্ৰজিতের ন্যায় রণা করিতে লাগিল, কখনও কুম্ভকৰ্ণ নিপাতী রামসৈন্যের ন্যায় আমার বগলের নীচে দিয়া ছটিয়া বাহির হইতে লাগিল; কখনও স্যাম্পসনের ন্যায়। শিরোরহমধ্যে আমার বীর্য্য সংন্যস্ত মনে করিয়া, আমার শরক্ষীরদ নিন্দিত কুশ্চিত শ্বেতকৃষ্ণ কেশদামমধ্যে প্রবেশ করিয়া ভেরী বাজাইতে লাগিল। তখন দংশনভয়ে অস্থির হইয়া রণে ভঙ্গ দিলাম। ভ্রমর সঙ্গে সঙ্গে ছটিল। সেই সময়ে চৌকাঠ পায়ে বাধিয়া কমলাকান্ত —“পপাত ধরণীতলে!” এই সংসার সমরে মহারথী শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তী-যিনি দারিদ্র্য, চিরকৌমার এবং অহিফেন প্রভৃতির দ্বারাও কখন পরাজিত হয়েন নাই—হায়! তিনি এই ক্ষদ্র পতঙ্গ। কর্তৃক পরাজিত হইলেন। তখন ধল্যবলশিষ্ঠত শরীরে দ্বিরেফরাজের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিলাম, “হে দ্বিরেফসত্তম! কোন অপরাধে দঃখী ব্ৰাহ্মণ তোমার নিকট অপরাধী যে, তুমি তাহার লেখা পড়ার ব্যাঘাত করিতে আসিয়াছ ? দেখ, আমি এই বঙ্গদর্শনে পত্র লিখিতে বসিয়াছি-পত্ৰ লিখিলে আফিঙ্গ আসিবে-তুমি কেন ঘ্যানঘ্যান করিয়া তাহার বিঘা করি ?” আমি প্রাতে একখানি বাঙ্গালা নাটক পড়িতেছিলাম--তখন অকস্মাৎ সেই নাটকীয় রাগগ্ৰস্ত হইয়া বলিতে লাগিলাম-“হে ভুঙ্গ! হে অনঙ্গরঙ্গতরঙ্গবিক্ষেপকারিনা! হে দন্দােন্ত পাষণডভান্ডচিত্তলন্ডভন্ডকারিনা! হে উদ্যানবিহারিন-কেন তুমি ঘ্যানঘ্যান করিতেছ? হে ভুঙ্গ! হে দ্বিরেফ! হে ষটপদ ! হে অলে! হে ভ্ৰমর! হে ভোমরা! হে ভোঁ ভোঁ—” ভ্রমর ঝাপ করিয়া আসিয়া সামনে বসিল। তখন গান গন করিয়া গলা দর্যন্ত করিয়া বলিতে লাগিল—আমি অহিফেনপ্রসাদে সকলেরই কথা বঝিতে পারি—আমি স্থিরচিত্তে শনিতে লাগিলাম। ভৃঙ্গরাগ বলিতে লাগিলেন, “হে বিপ্র! আমারি উপর এত চোট কেন ? আমি কি একাই ঘ্যান ঘেনে! তোমার এ বঙ্গভূমে জন্মগ্রহণ করিয়া ঘ্যানঘ্যান করিব না। ত কি করিব ? বাঙ্গালী হইয়া কে ঘ্যানঘ্যাননি ছাড়া ? কোন বাঙ্গালির ঘ্যানঘ্যাননি ছাড়া অন্য ব্যবসা আছে। তোমাদের মধ্যে যিনি রাজা মহারাজা কি এমনি একটা কিছ মাথায় পাগড়ি ঙ হইলেন, তিনি গিয়া বেলDDBBS DBBDBDD BBD DDDB DD DBBBD DBD BBBS DD DBD DDDDBD রাজদ্বারে ঘ্যানঘ্যান করেন। যিনি কেবল একটি চাকরির উমেদওয়ার-তাঁর ঘ্যানঘ্যােনানির BiD BD DBD DDD BDDDBD BB DDDD BDBD DDD DBDDuB BDBDB DBDS DDD DDD উমেদওয়াররাপে পরিণত হইয়া, দরখাস্ত বা টিকিট হাতে দ্বারে দ্বারে ঘ্যানঘ্যান-ডাঁশমাছির মত খাবার সময়ে, শোবার সময়ে, বসবার সময়ে, দাঁড়াবার সময়ে, দিনে, রাত্রে, প্রাহুে, অপরান্ত্রে, Sct.