পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्टेल · ट দই প্রহর বাজিয়া অদ্ধা ঘন্টা হইলে, মেঘ এবং তািমলস্বরূপ স্তম্ভগলির অবস্থাপরিবত্তানের কিছ কিছ লক্ষণ দেখা যাইতে লাগিল। সেই সময়ে প্রফেসর ইয়ঙৰ সাহেবকে দরবীক্ষণ রাখিয়া স্থানান্তরে যাইতে হইল। একটা বাজিতে পাঁচ মিনিট থাকিতে, যখন তিনি প্রত্যাবতন করিলেন, তখন দেখিলেন যে, চমৎকার! নিম্পন হইতে উৎক্ষিপ্ত কোন ভয়ঙ্কর বলের বেগে মেঘখণ্ডড ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গিয়াছে, তৎপরিবত্তে সৌর গগন ব্যাপিয়া ঘনবিকীর্ণ উক্তজবল সত্রাকার পদার্থ সকল উদ্ধের্ব ধাবিত হইতেছে। ঐ সত্ৰাকার পদাৰ্থীসকল অত প্রবল বেগে উদ্ধেবা ধাবিত হইতেছিল। সব্বাপেক্ষা এই বেগই চমৎকার। আলোক বা বৈদ্যুতিক শক্তি প্রভৃতি ভিন্ন, গরত্নবিশিষ্ট পদার্থের এরপে বেগ শ্রতিগোচর হয় না। ইয়ঙৰ সাহেব যখন প্রত্যাবত্ত হইলেন, ঐ সকল উক্তজবল সত্রাকার পদার্থ লক্ষ মাইলের উন্ধেব উঠে নাই। পরে দশ মিনিটের মধ্যে যাহা লক্ষ মাইলে ছিল, তাহা দই লক্ষ মাইলে উঠিল। দশ মিনিটে লক্ষ মাইল গতি হইলে, প্রতি সেকেন্ডে ১৬৫ মাইল গতি হয়। অতএব উৎক্ষিপ্ত পদার্থের দন্ট গতি এই। এই গতি কি ভয়ঙ্কর, তাহা মনেরও অচিন্ত্য। কামানের গোলা অতি বেগবান হইলেও কখন এক সেকেন্ডে অদ্ধ মাইল যাইতে পারে না। সচরাচর কামানের গোলার বেগের বহ, শত গণ এই সৌর পদার্থের বেগ, এ কথা বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। দাই লক্ষ মাইল উদ্ধের্বতে এই বেগ দেখা গিয়াছিল। যে উৎক্ষিপ্ত পদাৰ্থ দাই লক্ষ মাইল উদ্ধের্ব এত বেগবান, নিগমকালে তাহার বেগ কিরাপ ছিল ? সকলেই জানেন যে, যদি আমরা একটা ইন্টক খন্ড উদ্ধের্ব নিক্ষিপ্ত করি, তাহা হইলে যে বেগে তাহা নিক্ষিপ্ত হয়, সেই বেগ শেষ পৰ্যন্ত থাকে না, ক্ৰমে মন্দীভূত হইয়া পরিশেষে একবার বিনন্ট হইয়া যায়, ইন্টক খন্ডও ভূপতিত হয়। ইস্টকবেগের হ্রাসের দাই কারণ, প্রথম পথিবীর মাধ্যাকৰ্ষণী শক্তি, দ্বিতীয় বায়জনিত প্রতিবন্ধকতা। এই দাই কারণই সােয্যলোকে বৰ্ত্তমান। যে বস্তু যত গর, তাহার মাধ্যাকৰ্ষণী শক্তি তত বলবতী। পথিবী অপেক্ষা সায্যের মাধ্যাকর্ষণী শক্তি সহযোির নাড়ীমন্ডলে ২৮ গণ অধিক। তদল্লঙ্ঘন করিয়া লক্ষ ক্রোশ। পয্যন্ত যদি কোন পদার্থ উত্থিত হয়, তবে তাহা যখন সৰ্যকে ত্যাগ করে, তৎকালে তাহার গতি প্ৰতি সেকেন্ডে অবশ্যই ১৬৬ মাইল ছিল। ইহা গণনা দ্বারা সিদ্ধ। কিন্তু যদিও এই বেগে উৎক্ষিপ্ত হইলে, ক্ষিপ্ত বস্তু লক্ষ ক্রোশ উঠিতে পারবে, তাহা যে ঐ লক্ষ ক্রোশের শেষাদ্ধ লঙ্ঘনকালে প্রতি সেকেন্ডে ১৬৬ মাইল ছটিবে, এমত নহে। শেষাদ্ধ বেগ গড়ে ৬৫ মাইল মাত্র হইবে। প্রক্টর সাহেব গর্ডওয়ার্ডসে লিখিয়াছেন যে, যদি বিবেচনা করা যায় যে, সৰ্য্যেলোকে বায়বীয় প্রতিবন্ধকতা নাই, তাহা হইলে এই উৎক্ষিপ্ত পদাৰ্থ সৰ্য্যেমধ্য হইতে যে বেগে নিগতি হইয়াছিল, তাহা প্রতি সেকেন্ডে ২৫৫ মাইল । কৰ্ণ হিলের একজন লেখক বিবেচনা করেন যে, এই পদাৰ্থ প্রতি সেকেন্ডে ৫ool মাইলের অধিক বেগে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। কিন্তু সৰ্য্যেলোকে যে বায়বীয় পদাৰ্থ নাই, এমত কথা বিবেচনা করিতে পারা যায় না। সােয্য যে গাঢ় বাষ্পপম"ডল-পরিবর্ত, তাহা নিশ্চিত হইয়াছে। প্রক্টর সাহেব সকল বিষয় বিবেচনা করিয়া স্থির করিয়াছেন যে, পথিবীতে বায়বীয় প্রতিবন্ধকতার যেরপ বল, সৌর বায়র প্রতিবন্ধকতার যদি সেইরূপ বলা হয়, তাহা হইলে এই পদাৰ্থ যখন সায্য হইতে নিগঠিত হয়, তখন তাহার বেগ প্রতি সেকেন্ডে আন মানিক সহস্র মাইল ছিল। এই বেগ মনের অচিন্ত্য। এরপ বেগে নিক্ষিপ্ত পদার্থ এক সেকেন্ডে ভারতবর্ষ পার হইতে পারে-পাঁচ সেকেন্ডে কলিকাতা হইতে বিলাত পাহছিতে পারে, এবং ২৪ সেকেন্ডে অর্থাৎ অদ্ধ মিনিটের কমে, পথিবী বেস্টন করিয়া আসিতে পারে। আর এক বিচিত্ৰ কথা আছে, আমরা যদি কোন মৎপিন্ড উদ্ধের্ব নিক্ষেপ করি, তাহা আবার ফিরিয়া আসিয়া পথিবীতে পড়ে। তাহার কারণ এই যে, পথিবীর মাধ্যাকর্ষণী শক্তির বলে, এবং বায়বীয় প্রতিবন্ধকতায়, ক্ষেপণীর বেগ গ্রুমে বিনষ্ট হইয়া, যখন ক্ষেপণী একেবারে বেগহীন হয়, তখন মাধ্যাকর্ষণের বলে পানন্দবার তাহা ভূপতিত হয়। সৰ্য্যেলোকেও অবশ্য তাঁহাই হওয়া সম্ভব। কিন্তু মাধ্যাকৰ্ষণী শক্তি বা বায়বীয় প্রতিবন্ধকতার শক্তি কখন অসীম নহে। উভয়েরই সীমা আছে। অবশ্য এমত কোন বেগবতী গতি আছে যে, তন্দ্বারা উভয় শক্তিই পরাভূত হইতে পারে। এই সীমা কোথায়, তাহাও গণনা দ্বারা সিদ্ধ হইয়াছে। যে বস্তু নিগমকালে প্রতি ○○も