পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भ्कञ ब्रघ्नाबव्वौ Jdobr এই হইতেছে যে, প্রত্যহ পথিবীর ন্যায় বহৎ দাই শত বাতীর গোলক পোড়াইলে যে তাপ সম্ভতে হয়, সন্যদেব একদিনে তত তাপ খরচ করেন। তাঁহার তাপ যেরপ খরচ হয়, সেইরােপ নিত্য নিত্য উৎপন্ন হইয়া জমা হইয়া থাকে। তাহা না হইলে এই মহাতপক্ষয়ে সৰ্য্যেও অলপকালে অবশ্য তাপশান্য হইতেন। কথিত হইয়াছে যে, সৰ্য্যে দাহ্যমান পদাৰ্থ হইলে এই তাপ ব্যয় করিতে দশ বৎসরে আপনি দগ্ধ হইয়া যাইতেন। মসরে পাইলা গণনা করিয়াছেন যে, সতের মাইল উচ্চ কয়লার খনি পোড়াইলে যে তাপ জন্মে, এক বৎসরে সােয্য তত তাপ ব্যয় করেন। যদি সায্যের তাপবাহিতা জলের ন্যায় হয়, তবে বৎসরে ২- ৬ ডিগ্রী সংয্যের তাপ কমিবে। কুণ্ডন-ক্রিয়াতে তাপ সন্টি হয়। সায্যের ব্যাস তাহার দশ সহস্রাংশের একাংশ কমিলেই, দাই সহস্ৰ বৎসরে ব্যয়িত তাপ সৰ্য্যে পািনঃ প্রাপ্ত হইবে। সায্যের তাপশালিতার যে ভয়ানক পরিমাণ লিখিত হইল, স্থির নক্ষত্রমধ্যে অনেকগলি তদপেক্ষা তাপশালী বোধ হয়। সে সকলের তাপ পরিমিত হইবার উপায় নাই; কেন না, তাহার রৌদ্র পথিবীতে আসে না, কিন্তু তাহার আলোক পরিমিত হইতে পারে। কোন কোন নক্ষত্রের প্রভাশালিতা পরিমিত হইয়াছে। আলফা সেপ্টরাই নামক নক্ষত্রের প্রভাশালিতা সয্যের ২, ৩২ গণ। বেগা নক্ষত্র ষোড়শ সংয্যের প্রভাবিশিস্ট এবং নক্ষত্রেরাজ সিরিয়াস দাই শত পঞ্চবিংশতি সায্যের প্রভাবিশিস্ট। এই নক্ষত্র আমাদিগের সৌর জগতের মধ্যবত্তীর্ণ হইলে পথিব্যাদি গ্ৰহসকল অলপকালমধ্যে বাল্প হইয়া কোথায় উড়িয়া যাইত। এই সকল নক্ষত্রের সংখ্যা অতি ভয়ানক। সারা উইলিয়ম হশেল গণনা করিয়া স্থির করিয়াছেন যে, কেবল ছায়াপথে ১৮,oooooo নক্ষত্ৰ আছে। সত্ৰীব বলেন, আকাশে দই কোটি নক্ষত্র আছে। মসরে শাকণােক বলেন, নক্ষত্রসংখ্যা সাত কোটি সত্তর লক্ষ। এ সকল সংখ্যার মধ্যে নীহারিকাভ্যন্তরবত্তী নক্ষত্ৰসকল গণিত হয় নাই। যেমন সমদ্রতীরে বালকা, নীহারিকা সেইরাপ নক্ষত্র। এখানে অঙ্ক হারি মানে । যদি অতি প্রকাশন্ড জগৎসকলের সংখ্যা এইরপ অনন মেয়, তবে ক্ষদ্র পদার্থের কথা কি বলিব ? ইহেণবগ বলেন যে, এক ঘন ইঞ্চি বিলিন শ্লেট প্রস্তরে চল্লিশ হাজার Gallionella নামক আণবিীক্ষণিক শম্পবাক আছে- তবে এই প্রস্তরের একটি পৰ্ব্বতশ্রেণীতে কত আছে, কে মনে ধারণা করিতে পারে ? ডাক্তার টমাস টমসন পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, সীসা, এক ঘন ইণ্ডির ৮৮৮,৪৯২,ooooooooo ভাগের এক ভাগ পরিমিত হইয়া বিভক্ত হইতে পারে। উহাই সীসার পরমােণর পরিমাণ। তিনিই পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, গন্ধকের পরমাণ ওজনে এক গ্রেণের ২,ooo,oloo,oo o ভাগের এক ভাগ। (সমদ্রের গভীরতার পরিমাণ) লোকের বিশ্বাস আছে যে, সমদ্ৰ কত গভীর, তাহার পরিমাণ নাই। অনেকের বিশ্বাস, সমদ্র। “অতল।” অনেক স্থানে সমদ্রের গভীরতা পরিমিত হইয়াছে। আলেকজান্দ্রানিবাসী প্রাচীন গণিতব্যবসায়িগণ অননুমান করিতেন যে, নিকটস্থ পৰ্ব্ববতসকল যত উচ্চ, সমদ্রও তত গভীর। ভূমধ্যস্থ (Mediterranean) সমদ্রের অনেক স্থানে ইহার পোষক প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। তথায় এ ১৫,ooo ফিটের অধিক জল পরিমিত হয় নাই-আলিপস পৰ্ব্বব্যািত-শ্রেণীর উচ্চতাও প। মিসর ও সাইপ্রাস দ্বীপের মধ্যে ছয় সহস্র ফিট, আলেকজান্দ্রা ও রোডশের মধ্যে নয় সহস্ৰ নয় শত, এবং মালটায় পর্বে ১৫,০০০ ফিট জল পাওয়া গিয়াছে। কিন্তু তদপেক্ষা অন্যান্য সমন্দ্রে অধিকতর গভীরতা পাওয়া গিয়াছে। হস্ৰেবালাটের কসমস গ্রন্থে লিখিত আছে যে, এক স্থানে ২৬,০০০ ফিট রশি নামাইয়া দিয়াও তল পাওয়া যায় নাই-ইহা চারি মাইলের অধিক। ডাক্তার সেকারেসবি লিখেন যে, সাত মাইল রশি ছাড়িয়া দিয়াও তল পাওয়া যায় নাই। পথিবীর সব্বোচ্চতম পৰ্ব্বত-শােঙ্গ পাঁচ মাইল মাত্র উচ্চ। কিন্তু গড়ে, সমদ্র কত গভীর, তাহা না মাপিয়াও গণিতবিলে জানা যাইতে পারে। জলোচ্ছবাসের কারণ-সমাদের জলের উপর সােয্য চন্দ্রের আকর্ষণ। অতএব জলোচ্ছবাসের S68