পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिबक्ष প্ৰবন্ধ-উত্তরচরিত হইতে রামকে রক্ষা করিবার জন্য এক সন্বসন্তাপসংহারিণী ছায়াকে জনস্থানে পাঠাইলেন। সেই ছায়ার স্নিগ্ধতায় অদ্যাপি ভারতবর্ষ মািন্ধ রহিয়াছে। সেই ছায়া হইতে কবি এই তৃতীয়াঙ্কের DDB DBDBDBB DBBBDDD DBBDD DBD S সীতা লবকুশকে প্রসব করিলে পর, ভাগিরথী এবং পথিবী বালক দাইটিকে বাল্মীকির আশ্রমে রাখিয়া সীতাকে পাতালে লইয়া গিয়া রাখিয়াছিলেন। অদ্য কুশলবের জন্মতিথিসীতাকে স্বহস্তোবচিত কুসমাঞ্জলি দিয়া পতিকুলাদিপােরষি সৰ্য্যেদেবের পজা করিতে ভাগীরথী এই জনস্থানে পাঠাইলেন। এবং আপন দৈবশক্তিপ্রভাবে রঘকুলবধকে আদর্শনীয়া করিলেন। ছায়ারপিণী সীতা সকলকে দেখিতে পাইতেছিলেন। সীতাকে কেহ দেখিতে পাইতেছিল না। সীতা তখন জানেন না যে, রাম জনস্থানে আসিয়াছেন। সীতাও আসিয়া জনস্থানে প্রবেশ করিলেন। তখন তাঁহার আকৃতি কিরােপ ? তাঁহার মািখ “পরিপাড়ুদািব্বল কপোলসন্দর"- কবরী বিলোল—শারদাতপসন্তাপ্ত কেতকীকুসমান্তগত পত্রের ন্যায়, বন্ধনবিচুত কিসলয়ের মত সীতা সেই অরণ্যে প্রবেশ করিলেন। জনস্থানে তাঁহার গভীর প্ৰেম! পাকবসখের স্থান দেখিয়া বিসমিতি জন্মিল—আবার সেই দিন মনে পড়িল। যখন সীতা রামসহবাসে এই বনে থাকিতেন, তখন জনস্থানবনদেবতা বাসন্তীর সহিত তাঁহার সখিত্ব হইয়াছিল। তখন সীতা একটি করিশাবককে স্বহস্তে শল্পকীর পল্লবাগ্রভাগ ভোজন করাইয়া পত্রের ন্যায় প্রতিপালন করিয়াছিলেন। এখন সেই করিশাবকও ছিল। এইমাত্র সে বধ সঙ্গে জলপানে গিয়াছে। এক মত্ত যথপতি আসিয়া অকস্মাৎ তৎপ্রতি আক্রমণ করিল। সীতা তাহা দেখেন নাই। কিন্তু অন্যত্রস্থিতা বাসন্তী দেখিতে পাইয়াছিলেন। বাসন্তী তখন উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে লাগিলেন, “সব্বনাশ হইল, সীতার পালিত কীরিকারভকে মারিয়া ফেলিল!” রব সীতার কণে গেল। সেই জনস্থান, সেই পঞ্চবটী! সেই বাসন্তী! সেই কারিকরভ! সীতার ভ্ৰান্তি জন্মিল। পত্রিীকৃত হস্তিশাবকের বিপদে বিহবলচিত্ত হইয়া তিনি ডাকিলেন, “আৰ্য্যপত্র! আমার পত্রিকে বাঁচাও!” কি ভ্ৰম! আৰ্য্যপত্ৰ! কোথায় আৰ্য্যপত্র ? আজি বার বৎসর সে নাম নাই! আমনি সীতা মচ্ছিতা হইয়া পড়িলেন। তমসা তাঁহাকে আশ্বস্তা করিতে লাগিলেন। এ দিকে রামচন্দ্র লোপামাদ্রার আহবানানসারে অগস্ত্যাশ্রমে যাইতেছিলেন। পঞ্চবটী বিচরণ করিবার মানসে সেইখানে বিমান রাখিতে বলিলেন। রামের কন্ঠস্বর মচ্ছিতা সীতার কাণে গেল। আমনি সীতার মােচ্ছ ভঙ্গ হইল—সীতা ভয়ে, আহাদে, উঠিয়া বসিলেন। বলিলেন, “একি এ ? জলভরা মেঘের স্তনিতগম্ভীর মহাশব্দের মত কে কথা কহিল? আমার কণ বিবর যে ভরিয়া গেল!! আজি কে আমা হেন মন্দভাগিনীকে সহসা আহমাদিত করিল ?” দেখিয়া তমসার চক্ষ জলে ভরিয়া গেল। তমসা বলিলেন, “কেন বাছা, একটা অপরিস্ফাট শব্দ শনিয়া মেঘের ডাকে ময়ারীর মত চমকিয়া উঠিলি ?” সীতা বলিলেন, “কি বলিলে ভগবাতি ? অপরিস্ফাট ? আমি যে সবরেই চিনেছি, আমার সেই আৰ্য্যপত্র কথা কহিতেছেন।” তমসা তখন দেখিলেন, আর লকান ব্যথা-বলিলেন, “শনিয়াছি, মহারাজ রামচন্দ্ৰ কোন শব্দ্র তাপসের দন্ড জন্য এই अनशन आनिबाश्ना” भनशा তা কি বলিলেন ? বার বৎসরের পর সবামী নিকটে, নয়নের পত্তলীর অধিক প্রিয়, হৃদয়ের শোণিতের অধিক প্রিয়, সেই সবামী আজি বার বৎসরের পর নিকটে, শনিয়া সীতা কি বলিলেন ? শনিয়া সীতা কিছই আহাদ প্রকাশ করিলেন না“কই সবামী-কোথায় সে প্ৰাণাধিক ?” বলিয়া দেখিবার জন্য তমসাকে উৎপীড়িতা করিলেন না, কেবল বলিলেন “দিঠঠিআ অপরিহীনারা অধক্ষেমা কখ, সো রাআ’-“সৌভাগ্যক্রমে সে রাজার রাজধৰ্ম্ম পালনে ত্রটি হইতেছে না।” যে কোন ভাষায় যে কোন নাটকে যাহা কিছ আছে, এতদংশ সৌন্দৰ্য্যে তাহার তুল্য, সন্দেহ নাই। “দিঠঠিআ অপরিহীনারা অধৰ্ম্মেমা কখ, সো রাআ৷” এইরপ বাক্য কেবল সেক্ষপীয়রেই পাওয়া যায়। রাম আসিয়াছেন শনিয়া সীতা আহাদের কথা কিছই বলিলেন না, কেবল বললেন, “সৌভাগ্যক্রমে সে রাজার রাজধৰ্ম্মম পালনে ত্রটি হইতেছে না।” কিন্তু দরে হইতে রামের সেই বিরহ ক্লিন্ট প্রভাতচন্দ্রমন্ডলবৎ আকার দেখিয়া “সখি, আমায় ধর” বলিয়া তমসাকে ধরিয়া বসিয়া পড়িলেন। এ দিকে রাম পঞ্চবটী দেখিতে দেখিতে, সীতাবিরহপ্রদীপ্তানলে পড়িতে ՏԳ Տ