পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Nos. সমাজ আমাদের শিক্ষাদাতা, দশডপ্রণেতা, ভরণপোষণ এবং রক্ষাকত্তা। সমাজই রাজা সমাজই শিক্ষক। ভক্তিভাবে সমাজের উপকারে যত্নবান হইবে। এই তত্ত্বের সম্প্রসারণ করিয়া ওগ্যুস্ত কোমাৎ “মানবদেবীর’ পাজার বিধান করিয়াছেন। সতরাং এ বিষয়ে আর বেশী বলিবার প্রয়োজন নাই।” ১৮৮৮ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ধৰ্ম্মমতত্ত্ব প্রথম ভাগ অনশীলন'-এ (১১শ অধ্যায়-ঈশ্বরে ভক্তি) বঙ্কিমচন্দ্র এই উক্তি করিয়াছেন। ইহার অন্ততঃ পািনর বৎসর পক্ব হইতেই কোঁতের মতবাদ তাঁহার রচনায় প্রকাটিত হইতে থাকে। ‘কমলাকান্তের দপ্তর-প্রথম সংখ্যায় (“বঙ্গদর্শন’, ভাদ্র ১২৮ o) বঙ্কিমচন্দ্র লেখেন : “প্রীতি সংসারে সব্বব্যাপিনী-ঈশ্বরই প্রীতি। প্রীতিই আমার কণে এখনকার সংসারসঙ্গীত। অনন্ত কাল সেই মহাসঙ্গীত সহিত মনষ্যে-হৃদয়তন্ত্রী বাজিতে থাকুক। মনষ্যেজাতির উপর যদি আমার প্রীতি থাকে, তবে আমি অন্য সখি চাই না।” বঙ্কিমচন্দ্ৰ হিতবাদের’ সমর্থক বটে, কিন্তু কেতি-প্রদশিত ধ্রুববাদের মধ্যেই ইহা সমাহিত বলিয়া—শধ অধিক সংখ্যক লোকের অধিক পরিমাণ হিতসাধন নহে, সমগ্র মানব-সমাজেরই কল্যাণসাধন ইহার আদশ বলিয়া—বঙ্কিমচন্দ্র ধ্রুববাদকে অতীব শ্রদ্ধার সঙ্গে মনেপ্ৰাণে প্রথম হইতেই গ্রহণ করিয়াছেন। ‘দেবী চৌধরাণীতে (প্রকাশ কাল ১৮৮৪) অন্যতম ‘মটো” রাপে GKÍVD “Catochism of Positive Religion” šGVO5 gš TSRS fi îVDsf FANGS FRV5 53AS 33rican-"The General Law of Man's Progress whatever the point of view chosen, consists in this that Man becomes more and more religious' ১২৯২ ফালগন সংখ্যা ‘প্রচারে” প্রকাশিত চিত্তশদ্ধি’ শীৰ্ষক প্রবন্ধেও বঙ্কিমচন্দ্ৰ লেখেন : “চিত্তশদ্ধি থাকিলে সকল মতই শব্দ্ধ, চিত্তশদ্ধির অভাবে সকল মতই অশদ্ধ। যাহার চিত্তশদ্ধি নাই, তাহার কোন ধৰ্ম্মমই নাই। চিত্তশদ্ধি কেবল হিন্দধমেরই সার, এমত নহে, ইহা সকল ধন্মের সার। ইহা হিন্দধন্মের সার, খিষ্টধর্মের সার, বৌদ্ধধর্মের সার, ইসলামধন্মের সার, নিরীশ্বর কোমং ধমেরও সার। যাহার চিত্তশদ্ধি আছে, তিনি শ্রেষ্ঠ হিন্দ, শ্রেষ্ঠ খিন্টিয়ান, শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ, শ্রেষ্ঠ মাসলমান, শ্রেষ্ঠ পজিটিভিস্ট।” (বিবিধ প্রবন্ধ।--দ্বিতীয় ভাগ, “চিত্তশদ্ধি” দ্রষ্টব্য)। ‘ধৰ্ম্মমতত্ত্বের বহন স্থলে কোঁতের মতবাদের সমর্থনসচক উল্লেখ আছে। এখানে আরও য়কটি উদ্ধতি দিতেছি। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবন-দশন যে ক্রমশঃ অন্তমখী হইয়া হিন্দীশাস্ত্রের উপর ভিত্তি গাড়িয়াছিল। তাহার যথেস্ট পরিচয় পাই এই সকল উক্তির কোন কোনটির মধ্যে। শিষ্য যখন বলেন, “শিক্ষা যে ধৰ্ম্মেমর অংশ। ইহা কোমতের মত, তখন তাহার উত্তরে বঙ্কিমচন্দ্র গােরর মািখ দিয়া বলাইয়াছেন, “হইতে পারে। এখন, হিন্দধমের কোন অংশের সঙ্গে যদি কোমাৎ মতের কোথাও কোন সাব্দশ্য ঘটিয়া থাকে, তবে যবনস্পশ দোষ ঘটিয়াছে বলিয়া হিন্দ ধমের সেটকু ফেলিয়া দিতে হইবে কি ? খিল্টধৰ্ম্মে ঈশ্বরোপাসনা আছে বলিয়া, হিন্দাদিগকে ঈশ্বরোপাসনা পরিত্যাগ করিতে হইবে কি ?” (ধৰ্ম্মমতত্ত্ব ঃ ৫ম অধ্যায়-অনশীলন), ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার ‘সব্বতত্ত্বদশী” হিন্দধম্মেম নারীর স্থান সম্পকে বলিতে গিয়াও বঙ্কিমচন্দ্র কোঁতের বিষয় এইরপ উল্লেখ করিয়াছেন : “হিন্দধৰ্ম্মম ইহাও বলে যে স্ত্রীরও স্বামীর ভক্তিপাত্রে হওয়া উচিত, কেন না, হিন্দধৰ্ম্মম বলে যে স্ত্রীকে লক্ষীরপা মনে করিবে। কিন্তু এখানে হিন্দুধর্মের অপেক্ষা কোমাৎ ধর্মের উক্তি কিছু সম্পলেট এবং শ্রদ্ধার যোগ্য। যেখানে সত্ৰী স্নেহে, ধৰ্ম্মেম বা পবিত্রতায় শ্রোিঠ সেখানে তাঁহারাও স্বামীর ভক্তির পাত্র হওয়া উচিত বটে। গহধমে ইহারা ভক্তির পাত্র; যাঁহারা ইহাদের স্থানীয় তাঁহারাও সেইরােপ ভক্তির পাত্র।” (ঐ ৪ ১০ম অধ্যায়-মনষ্যে ভক্তি) আজ বিশ্বপ্রীতি, বিশ্বমানবতা, 'One World” বা ‘এক জগৎ' কথাগালি বড় চল। কিন্তু এই কথার মািল ভােব মোটেই নতেন নহে। “পথিবী আমার নহে, আমি পথিবী ভালবাসিব কেন ? ঐ প্রশেনর এই উত্তর দিয়াছেন। গর প্রমােখাং বঙ্কিমচন্দ্ৰ : tecsiICP favots 'greatest good of the greatest number' GRRCSS Humanity পজা, সব্বোপরি খিন্টের জাগতিক প্রীতিবাদ, মনষ্যে মনষ্যে সকলেই এক ঈশ্বরের সন্তান, সতরাং সকলেই ভাই ভাই, এই সকল উত্তর আছে।” (ঐ, ২১শ অধ্যায়-প্রীতি)