পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iwaq.. g aquqri কৃত ঐ রামবিলাপের সঙ্গে ডেসডিমোনা বধের পর ওথেলোর বিলাপের বিশেষ করিয়া তুলনা করিলেও এ কথা বঝা যাইবে । সেক্ষপীয়র এমত কোন কথাই তৎকালে ওথেলোর মাখে ব্যক্তি করেন নাই, যাহা তৎকালীন কাৰ্য্যাৰ্থ বা অন্যের কথার উত্তরে ব্যক্ত করা প্রয়োজন হইতেছে না। ব্যক্তিব্যের অতিরেকে তিনি এক রেখাও যান নাই। তিনি ভবভূতির ন্যায় নায়কের হৃদয়ানসন্ধান করিয়া ভিতর হইতে এক একটি ভাব টানিয়া আনিয়া, একে একে গণনা করিয়া, সারি দিয়া সাজান নাই। অথচ কে না বলিবে যে, রামের মাখে। যে দঃখ ভবভূতি ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহার সহস্র গণ দঃখ, সেক্ষপীয়র ওথেলোর মাখে ব্যক্ত করাইয়াছেন। সহজেই অন মেয় যে, যাহা ব্যক্তিব্য, তাহ পর সম্পবিন্ধীয় বা কোন কায্যোন্দিজট, যাহা অব্যক্তব্য, তাহা আত্মচিত্ত সম্প্ৰবন্ধীয়; উক্তি মাত্র তাহার উদ্দেশ্য। এরপ কথা যে নাটকে একেবারে সন্নিবেশিত হইতে পারে না, এমত নহে, বরং অনেক সময়ে হওয়া আবশ্যক। কিন্তু ইহা কখন নাটকের উদ্দেশ্য হইতে পারে না, নাটকের যাহা উদ্দেশ্য, তাহার আনষঙ্গিকতাবশতঃ थCशाख्म भऊ कना5ि९ नषि6वभिऊ श्व। প্রকৃত এবং অতিপ্রকৃত কাব্যরসের সামগ্ৰী মনষ্যের হৃদয়। যাহা মনীষািহদায়ের অংশ, অথবা যাহা তাহার সঞ্চালক, তদ্ব্যতীত আর কিছই কাব্যোপযোগী নহে। কিন্তু কখনও কখনও মহাকবিরা, যাহা অতিমানষ, তাহারও বৰ্ণনায় প্রবত্ত হইয়াছেন। তন্মধ্যে অধিকাংশই মনষ্যেচরিত্রচিত্রের আনষঙ্গিক মাত্র। মহাভারত, ইলিয়দ প্রভৃতি প্রাচীন কাব্যসকল, এই প্রকার পার্থিব নায়ক নায়িকার চিত্ৰানিষঙ্গিক দেবচরিত্র বর্ণনায় পরিপািণ । দেবচরিত্র বণনায় রসহানির বিশেষ কারণ এই যে, যাহা মনষ্যেচরিত্রানকারী নহে, তাহার সঙ্গে মনষ্য লেখক বা মনষ্যে পাঠকের সহৃদয়তা জন্মিতে পারে না। যদি আমরা কোথাও পড়ি যে, কোন মনষ্য যমনার এক বহজলবিশিষ্ট হ্রদমধ্যে নিমগ্ন হইয়া অজগর সপ কৰ্ত্তক জলমধ্যে আক্রান্ত হইয়াছে, তবে আমাদিগের মনে ভয়সম্প্রচার হয়; আমাদিগের জানা আছে যে, এমন বিপদাপন্ন মনষ্যের মাতুরই সম্ভাবনা; অতএব তাহার মাতুর আশঙ্কায় আমরা ভীত ও দঃখিত হই; কবির অভিপ্রেত রস অবতারিত হয়, তাঁহার যত্নের সফলতা হয়। কিন্তু যদি আমরা পািকব হইতে জানিয়া থাকি যে, নিমগ্ন মনষ্যে বস্তুতঃ মনষ্যে নহে, দেবপ্রকৃত, জল বা সপৌর শক্তির অধীন নহে, ইচ্ছাময় এবং সব্বশক্তিমান, তখন আর আমাদের ভয় বা কুত হল থাকে না; কেন না, আমরা আগেই জানি যে, এই অজেয়, অবিনশ্বর পরিষ এখনই কালিয় দমন করিয়া জল হইতে পােনর খান করিবেন। এমত অবস্থাতেও যে পািব্ব কবিগণ দৈব বা অতিমানষ চরিত্র সন্ট করিয়া লোকরঞ্জনে সক্ষম হইয়াছেন, তাহার একটি বিশেষ কারণ আছে। তাঁহারা দেবচরিত্রকে মনষ্যেচরিত্রানিকৃত করিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন; সতরাং সে সকলের সঙ্গে পাঠক বা শ্রোতার সহৃদয়তার অভাব হয় না। মনকেষ্যগণ যে সকল রাগদ্বেষাদির বশীভূত; মনষ্যে যে সকল সখের অভিলাষী, দঃখের অপ্রিয় : মনকেষ্য যে সকল আশায় লব্ধ, সৌন্দয্যে মন্ধে, অন্যতাপে তপ্ত, এই মনষ্যেপ্রকৃত দেবতারাও তাই। শ্ৰীকৃষ্ণ, জগদীশ্বরের আংশিক বা সম্পণে অবতারস্বরপ কলিপিত হইলেও মনষ্যের ন্যায় মানবধর্মাবলম্বী। মানবচরিত্রগত এমন একটি উৎকৃষ্ট মনোবাত্তি নাই যে, তাহা ভাগবতকারকৃত শ্ৰীকৃষ্ণচরিত্রে অঙ্কিত হয় নাই। এই মানষিক চরিত্রের উপর অতিমানষ বল এবং বদ্ধির সংযোগে চিত্রের কেবল মনোহারিত্বে বদ্ধি হইয়াছে; কেন না, কবি মানষিক বলবদ্ধিসৌন্দষ্যের চরমোৎকৰ্ষ সজন করিয়াছেন। কাব্যে অতিপ্রকৃতের সংস্থানের উদ্দেশ্য এবং উপকার এই এবং তাহার নিয়ম এই যে, যাহা প্রকৃত, তাহা যে সকল নিয়মের অধীন, কবির সন্ট অতিপ্রকৃতও সেই সকল নিয়মের অধীন হওয়া উচিত। সংস্কৃতে এমন একখানি এবং ইংরাজিতে একখানি মহাকাব্য আছে যে, দৈব এবং চরিত্র তাহার আনষঙ্গিক বিষয় নহে, মল বিষয়। আমরা কুমারসম্ভব এবং Paradise Lost নামক কাব্যের কথা বলিতেছি। মিলটনের নায়ক দেবপ্রকৃত ঈশ্বর বিদ্রোহী সয়ন্তান, এবং তাঁহার অনচরবগাঁ। তুমিত্রশস্ত্রর সহিত তাহাদিগের বিবাদ, জগদীশ্বর এবং তাঁহার অনাচারের সহিত তাহাদিগের যন্ধ...মিলটন কোন পক্ষকেই সম্যক প্রকারে মানবপ্রকৃতিবিশিষ্ট করেন নাই। Sy.