পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बच्या ब्रष्न्बी তাহার পণখান পািখ সন্ধান জানিতেন, তাহার অনন্য করণীয় চিত্ৰসকল রাখিয়া গিয়াছেন। এক্ষণকার কবিগণ জ্ঞানী-বৈজ্ঞানিক, ইতিহাসবেত্তা, আধ্যাত্মিকতত্ত্ববিৎ। নানা দেশ, নানা কাল, নানা বন্ধু তাঁহাদিগের চিত্তমধ্যে স্থান পাইয়াছে। তাঁহাদিগের বদ্ধি বহুবিষয়িণী বলিয়া DBDDDB DDBD BDBDDDBB BDBDBSS BDDBDDB BD BBuBDDB DDBD তাঁহাদিগের কবিতাও দরস বন্ধপ্রকাশিকা হইয়াছে। কিন্তু এই বিস্তৃতিগণ হেতু প্রগাঢ়তাগণের লাঘব হইয়াছে। বিদ্যাপতি প্রভৃতির কবিতার বিষয় সঙ্কীর্ণ, কিন্তু কবিত্ব প্রগাঢ় ; মধ্যসদন বা হেমচন্দ্রের কবিতার বিষয় বিস্তৃত, কিন্তু কবিত্ব তােদশ প্রগাঢ় নহে। জ্ঞানবিদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কবিত্বশক্তির হ্রাস হয় বলিয়া যে প্রবাদ আছে, ইহা তাহার একটি কারণ। যে জল সঙ্কীণ কুপে গভীর, তাহা তাড়াগে ছড়াইলে আর গভীর থাকে না। কাব্যে অন্তঃপ্রকৃতি ও বহিঃপ্রকৃতির মধ্যে যথার্থ সম্পবিন্ধ এই যে, উভয়ে উভয়ের প্রতিবিম্ব নিপতিত হয়। অর্থাৎ বহিঃপ্রকৃতির গণে হৃদয়ের ভাবান্তর ঘটে, এবং মনের অবস্থাবিশেষে বাহ্য দশ্য সংখ্যকর বা দঃখকর বোধ হয়—উভয়ে উভয়ের ছায়া পড়ে। যখন বহিঃপ্রকৃতি বৰ্ণনীয়, তখন অন্তঃপ্রকৃতির। সেই ছায়া সহিত চিত্রিত করাই কাব্যের উদ্দেশ্য। যখন অন্তঃপ্রকৃতি বৰ্ণনীয়, তখন বহিঃপ্রকৃতির ছায়াসমেত বৰ্ণনা তাহার উদ্দেশ্য। যিনি ইহা পারেন, তিনিই সৰ্বকবি ইহার ব্যতিক্রমে এক দিকে ইন্দ্রিয়পরতা, অপর দিকে আধ্যাত্মিকতা দোষ জন্মে। এ স্থলে ইন্দ্রিয়পরতা বলিতেছি। ইন্দ্রিয়পরতা দোষের উদাহরণ, জয়দেব । আধ্যাত্মিকতার উদাহরণ, Wordsworth. आबछािङिब्र नया भिन्न* একদল মনষ্য বলেন যে, এ সংসারে সখি নাই, বনে চল, ভোগাভোগ সমাপ্ত করিয়া মাক্তি বা নিন্মবাণ লাভ কর। আর একদল বলেন, সংসার সখময়, বর্ণগুকের বঞ্চনা অগ্রাহ্য করিয়া, খাও, দাও, ঘামাও। বাঁহারা সাখাভিলাষী, তাঁহাদিগের মধ্যে নানা মত। কেহ বলেন ধনে সখি, কেহ বলেন মনে সখি ; কেহ বলেন ধৰ্ম্মে, কেহ বলেন অধৰ্ম্মেম; কাহার। সখি কায্যে, কাহারও সখ জ্ঞানে। কিন্তু প্ৰায় এমন মনষ্যে দেখা যায় না, যে সৌন্দয্যে সখী নহে। সন্দরী সন্ত্রীর কামনা কর; সন্দেরী কন্যার মািখ দেখিয়া প্রীত হও; সন্দর শিশর প্রতি চাহিয়া বিমােন্ধ হও; সন্দরী পত্রিবধর জন্য দেশ মাথায় করা। সন্দের ফলগলি বাছিয়া শয্যায় রাখ, ঘন্মাক্ত ললাটে যে অর্থ উপাত্তজন করিয়াছ, সন্দর গহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া, সন্দর উপকরণে সাজাইতে, তাহা ব্যয়িত করিয়া ঋণী হও; আপনি সন্দের সাজিবে বলিয়া, সব্বস্ব পণ করিয়া, সন্দর সঙ্জা খাজিয়া বেড়াও—ঘটী বাটী পিত্তল কাঁসাও যাহাতে সন্দর হয়, তাহার যত্ন করা। সন্দের দেখিয়া পাখী পোষ, সন্দর বক্ষে সন্দর উদ্যান রচনা কর, সন্দের মখে সন্দর হাসি দেখিবার জন্য, সন্দর কাঞ্চন রত্নে সন্দরীকে সাজাও। সকলেই অহরহ সৌন্দৰ্য্যতৃষায় পীড়িত, কিন্তু কেহ কখন এ কথা মনে করে না বলিয়াই এত বিস্তারে বলিতেছি। এই সৌন্দৰ্য্যতৃষা যেরপ বলবতী, সেইরূপ প্রশংসনীয়া এবং পরিপোষণীয়া। মনষ্যের যত প্রকার সখ আছে, তন্মধ্যে এই সখি সব্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট; কেন না, প্রথমতঃ ইহা পবিত্র, নিশ্চমলৈ, পাপসংসপেশীশান্য; সৌন্দষ্যের উপভোগ কেবল মানসিক সখি, ইন্দ্ৰিয়ের সঙ্গে ইহার সংস্পৰ্শ নাই। সত্য বটে, সন্দর বস্তু অনেক সময়ে ইন্দ্ৰিয়তৃপ্তির সহিত সম্প্ৰবন্ধবিশিষ্ট; কিন্তু সৌন্দৰ্য্যজনিত সখা ইন্দ্ৰিয়তৃপ্তি হইতে ভিন্ন। রত্নখচিত সবৰ্ণ জলপাত্রে জলপানে তোমার ষেরােপ তৃষা নিবারণ হইবে, কুগঠন মৎপাত্রেও তৃষা নিবারণ সেইরূপ হইবে; সবৰ্ণপাত্রে জলপান করায় যেটকু অতিরিক্ত সখি, তাহা সৌন্দৰ্য্যজনিত মানসিক সখি। আপনার প্রবণপাত্রে জল খাইলে অহঙ্কারজনিত সখি তাহার সঙ্গে মিশে বটে, কিন্তু পরের সবৰ্ণপাত্রে জলপান করিয়া তুষা নিবারণাতিরিক্ত যে সখি, তাহা সৌন্দৰ্য্যজনিত মাত্র বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। দ্বিতীয়তঃ,

  • সক্ষম শিল্পের উৎপত্তি ও আৰ্যজাতির শিল্পচাতুরী, শ্ৰীশ্যামাচরণ শ্ৰীমানি প্রণীত। কলিকাতা।

SSR