পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिथ अबक-८छौंलाौं কিছই করিলেন না; অন্যান্য সন্ত্রীলোকের ন্যায় একবারও অনবধান এবং বিলম্বকারী সর্বামিগণের উদ্দেশ্যে ভৎসনা করিলেন না; কেবল কুলপরোহিত ধৌম্যের চরণে প্ৰণিপাতপািবক জয়দ্রথের রথে আরোহণ করিলেন। পরে যখন জয়দ্ৰথ দশ্যমান পাশডবদিগের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন, তখন তিনি জয়দ্রথের রথস্থা হইয়াও যেরূপ গব্বিত বচনে ও নিঃশঙ্কচিত্তে অবলীলাক্রমে স্বামীদিগের পরিচয় দিতে লাগিলেন, তাহা পািনঃ পািনঃ পাঠের যোগ্য। (five, ers) দশ বৎসর হইল, বঙ্গদর্শনে আমি দ্ৰৌপদী-চরিত্র সমালোচনা করিয়াছিলাম। অন্যান্য আযােনারী-চরিত্র হইতে দ্ৰৌপদীর চরিত্রের যে গারতের প্রভেদ, তাহা যথাসাধ্য দেখান গিয়াছিল। কিন্তু দ্ৰৌপদীর চরিত্রের মধ্যগ্রন্থি যে তত্ত্ব, তাহার কোন কথা সে সময় বলা হয় নাই। বলিবার সময় তখন উপস্থিত হয় নাই। এখন বোধ হয়, সে কথাটা বলা যাইতে পারে। সে তত্ত্বটার বহিবিকাশ বড় দীপ্তিমান—এক নারীর পঞ্চ স্বামী অথচ তাঁহাকে বুলি বিবেচনা করিবারর কোন উপায় দেখা যায় না। এমন অসামঞ্জস্যের সামঞ্জস্য কোথা व् ? বধবর জাতি-তাহাদিগের মধ্যে সত্ৰীলোকের বহবিবাহ পদ্ধতি পািব্বকালে প্রচলিত ছিল, সেই কারণে পঞ্চ পাণডবের একই পত্নী। ইউরোপীয় আচাৰ্য্যবগের আর কোন সাধ্য থাকুক। আর না থাকুক, এ দেশ সম্পবন্ধে সোজা কথাগালো বলিতে বড় মজবন্ত। ইউরোপীয়েরা এদেশীয় প্রাচীন গ্রন্থসকল কিরােপ বাঝেন, তদ্বিষয়ে আমাকে সম্প্রতি কিছ অন্যাসন্ধান করিতে হইয়াছিল। আমার এই বিশ্বাস হইয়াছে যে, সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ে তাঁহারা যাহা লিখিয়াছেন, তাঁহাদের কৃত বেদ সমিতি দশন পরাণ ইতিহাস কাব্য প্রভৃতির অন্যবাদ, টীকা, সমালোচন পাঠ করার অপেক্ষা গরতের মহাপাতক সাহিত্যজগতে আর কিছ হইতে পারে না; আর মােখাতা উপস্থিত করিবার এমন সহজ উপায়ও আর কিছই নাই। এখনও অনেক বাঙ্গালি তাহা পাঠ করেন, তাঁহাদিগকে সতকা করিবার জন্য এ কথাটা কতক অপ্রাসঙ্গিক হইলেও আমি লিখিতে বাধ্য হইলাম। সংস্কৃত গ্রন্থের সংখ্যা নাই বলিলেও হয়। যত অন্যসন্ধান হইতেছে, তত নতেন নািতন গ্রন্থ আবিস্কৃত হইতেছে। সংস্কৃত গ্রন্থগলির তুলনায়, অন্ততঃ আকারে, ইউরোপীয় গ্রন্থগালিকে গ্রন্থ বলিতে ইচ্ছা করে না। যেমন হস্তীর তুলনায় টেরিয়র, যেমন বটব্যুক্ষের তুলনায় উইলো, কি সাইপ্রেস, যেমন গঙ্গা সিন্ধ গোদাবরীর তুলনায় গ্রীক কবিদিগের প্রিয় পাবতী নিঝরিণী, মহাভারত বা রামায়ণের তুলনায় একখানি ইউরোপীয় কাব্য সেইরােপ গ্রন্থ। বেদের সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, গহ্যসত্ৰ, শ্রোতসত্ৰ, ধৰ্ম্মম সত্ৰ, দর্শন, এই সকলের ভাষ্য, তার টীকা, তার ভাষ্য, পরাণ, ইতিহাস, সমিতি, কাব্য, অলঙ্কার, ব্যাকরণ, গণিত, জ্যোতিষ, অভিধান, ইত্যাদি নানাবিধ সংস্কৃত গ্রন্থে আজিও ভারতবর্ষ সমাচ্ছন্ন রহিয়াছে। এই লিপিবদ্ধ অনাত্তরণীয় প্রাচীন তত্ত্বসমদ্র মধ্যে কোথাও ঘণাক্ষরে এমন কথা নাই যে, প্রাচীন আযাদিগের মধ্যে স্ত্রীলোকের বহবিবাহ ছিল। তথাপি পাশ্চাত্ত্য পশ্চিডতেরা একা দ্ৰৌপদীর পশ্চা সবামীর কথা শনিয়া সিদ্ধান্ত করিলেন যে, প্রাচীন ভারতবষীয়দিগের মধ্যে সত্ৰীলোকদিগের বহবিবাহ প্রচলিত ছিল। এই জাতীয় একজন পন্ডিত (Fergusson সাহেব) ভগ্ন আটালিকার প্রাচীরে গোটাকত বিবস্ত্রা সন্ত্রীমত্তি দেখিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, প্রাচীন ভারতবর্ষে সন্ত্রীলোকেরা কাপড় পরিত না-সীতা, সাবিত্রী, দ্ৰৌপদী, দময়ন্তী প্রভৃতি শ্বশর ভাসরের সম্পমাখে নগ্নাবস্থায় বিচরণ করিত! তাই বলিতেছিলাম—এই সকল পণ্ডিতদিগের রচনা পাঠ করার অপেক্ষা মহাপাতক সাহিত্যসংসারে দলভ। দ্ৰৌপদীর পঞ্চ স্বামী হইবার স্থলে তাৎপৰ্য্য কি, এ কথার মীমাংসা করিবার আগে বিচার করিতে হয় যে, এ কথাটা আদৌ ঐতিহাসিক, না কেবল কবিকলপনা মাত্র ? সত্য সত্যই দ্ৰৌপদীর SNyc