পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

सla পত্রিকার মান ঠিক রাখিয়া সকল সময় লেখা প্রকাশ করা সকঠিন ব্যাপার। বিশেষতঃ বঙ্কিমযাগে, যখন বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষায় বলিতে গেলে উচ্চশিক্ষিত মহোদয়গণ বাংলা ভাষাকে কৃপা মিশ্রিত অবজ্ঞার চক্ষে দেখিতেন, সেই যাগে উৎকৃষ্ট রচনাদ্ধারা ‘বঙ্গদর্শনের মত প্রথম শ্রেণীর মাসিকের পদ্ঠাপােরণ যে কতদর কষ্টসাধ্য ছিল তাহা সহজেই অননুমেয়। আবার পত্রিকাখনিকে সাধারণাগ্রাহ্য করিয়া তুলিতে হইলে ব্যঙ্গ-কৌতুকপণে লঘ-রচনাও কিছ, কিছ: পরিবেশন করা আবশ্যক। বঙ্কিমচন্দ্ৰ সব্যসাচীর ন্যায় লঘ-গর, উভয় প্রকার রচনা দ্বারাই “বঙ্গদর্শন’-এর পন্ঠা পরিণা করিতে লাগিলেন। আর ইহারই প্রত্যক্ষ ফলস্বরােপ আমরা এক চমৎকার সাহিত্য লাভ করিয়াছি। এই অংশের তিনখানি পস্তক-লোেকরহস্য, কমলাকান্ত ও মচিরাম গড়ের জীবনচরিত লঘ, অথচ শিক্ষাপ্রদ সাহিত্যের প্রকৃষ্ট নিদশন। লোক রহস্য : এই নামে “বঙ্গদশন’ হইতে সংকলিত বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম ব্যঙ্গ-কৌতুকপােশ রচনা-পান্তক বাহির হয় ১৮৭৪ খ্রীস্টাব্দে। ইহার প্রথম সংস্করণের আখ্যাপত্রে ‘কৌতুক ও রহস্য এইরােপ উল্লেখ ছিল। তখন ইহাতে আটটি মাত্র কৌতুক রচনা সন্নিবেশিত হয়। এ কাটি প্রকাশিত হয় “বঙ্গদশন’ প্রথম সংখ্যা বৈশাখ ১২৭৯ হইতে চৈত্র ১২৮o বঙ্গাব্দের মধ্যে। প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় বঙ্কিমচন্দ্র লেখেন : বিজ্ঞাপন “এই গ্রন্থে বঙ্গদর্শনের প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড হইতে কয়েকটি প্রবন্ধ উদ্ধত হইয়া পনিমাদ্রিত হইল। এতৎ সম্পবন্ধে একটি মাত্ৰ কথা বলা আবশ্যক। বঙ্গদেশের সাধারণ পাঠকের এইরূপ সংস্কার আছে যে, রহস্য মাত্র গালি; গালি ভিন্ন রহস্য নাই। সতরাং তাঁহারা বিবেচনা করেন যে, এই সকল প্রবন্ধে যে কিছ. ব্যঙ্গ আছে, তাহা ব্যক্তিবিশেষকে গালি দেওয়া মাত্র। এই শ্রেণীর পাঠকদিগের নিকট নিবেদন যে তাঁহাদের জন্য এ গ্রন্থ লিখিত হয় নাই-তাঁহারা অনগ্ৰহ করিয়া পাঠ না করিলেই আমি কৃতাৰ্থ হইব। “সামাজিক যে সকল দোষ, তাহাতে রহস্য লেখকের অধিকার সম্পর্ণে। ব্যক্তিবিশেষের যে দোষ, তাহাতে রহস্য লেখকের কোন অধিকার নাই-কদাচিৎ অবস্থাবিশেষে অধিকার জন্মে; যথা, ভ্রান্ত রাজপরিষের ভ্রান্তিজনক কায্যের প্রতি, অথবা মািখ গ্রন্থকত্তার গ্রন্থের প্রতি, রহস্য প্রযজ্য। এ গ্রন্থের ধ্ৰু মৃদু উদ্দেশ্য নহে। এ গ্রন্থে শ্রেণী বিশেষ বা সাধারণ মনুষ্য ব্যতীত ব্যক্তিবিশেষের প্রতি কােন शैक्रिाऊ नाशै ।” ‘লোেকরহস্যের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮৮৮ সনে। ইহাতে বঙ্কিমচন্দ্র ও পরে তদনীয় অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র সম্পাদিত ‘বঙ্গদশন’ হইতে চারিটি এবং প্রধানতঃ বঙ্কিমচন্দ্রের অধ্যক্ষতায় পরিচালিত ‘প্রচার’ হইতে চারিটি একুনে আটটি অতিরিক্ত কৌতুক নিবন্ধ সংযোজিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রও পাস্তকখানির ‘দ্বিতীয় বারের বিজ্ঞাপন’-এ। এ বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন। “রামায়ণের সমালোচনা” পরাতন হইলেও এ সংস্করণে প্রায় নন্তন করিয়া লিখিয়াছিলেন। এখানেই তাঁহার জীবিতকালের শেষ সংস্করণ। লোক রহস্য’ সম্পবন্ধে এ যাবৎ সন্ধীজনেরা তেমন আলোচনা করেন নাই। তবে অধ্যাপক ডক্টর সবোধচন্দ্র সেনগােপ্ত প্রমািখ কয়েকজন সাহিত্য-সমালোচক এদিকে কিছ কিছর আলোকপাত করিতে প্ৰয়াস পাইয়াছেন। ‘লোকরহস্যে' আলোচিত বিষয়বস্তু সম্পবন্ধে অধ্যাপক শ্ৰীশচন্দ্ৰ দাসের উক্তি এখানে উদ্ধত করিতেছি : “সামাজিক প্রবন্ধের মধ্যে লোকরহস্যই বঙ্কিমচন্দ্রের অক্ষয় কীত্তি। ইহার অধিকাংশ প্রবন্ধে মানব-চরিত্র সম্পবন্ধে লঘা-কৌতুকের মধ্য দিয়া যে বিদ্রপ-বাণ নিক্ষিপ্ত হইয়াজছ, উহা অনেক স্থলে Swift এর তিক্ত-মধর ব্যঙ্গের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। ‘ব্যাম্রাচাৰ্য্য বহল্লাঙ্গলের রস-উচ্ছলতা সবার্থীন্ধ মানব-পশার চরিত্রের উপর নিন্মািম কষাঘাত; ‘গব্দভের’ ব্যঙ্গোক্তিতে তাহাই আরও নিৰ্ম্মম। ‘দাম্পিত্য দন্ডবিধি আইনে?” তিনি যে লঘ, কলপনার ইন্দ্ৰজাল বনিয়াছেন, তাহাই "বসন্ত ও বিরহেরু ও বিবিধ প্রবন্ধের প্রাচীনা ও নবীনায় কৌতুক-স্নিগ্ধ রূপে ধারণ করিয়াছে। শেষোক্ত প্রবন্ধে সন্ত্রীপরিষের পারস্পরিক সম্পবিন্ধটি বিতকের মধ্য দিয়া অমীমাংসিত পরিণতির রসচেতনার মধ্যে পরিসমাপ্তি লাভ করিয়াছে। রামায়ণের সমালোচনের বিদ্রুপ অতিশক্তি সঞ্জাত-এইখানে অযোগ্যের আস্ফালন অন্যথা সম্পমান ভারে লাঞ্ছিত হইয়াছে। “বাবা প্ৰবন্ধটি ‘লোকরহস্যে” একটি বিশিস্ট স্থান অধিকার করিয়া থাকিবে। জনমেজয়-বৈশম্পায়ন প্রভৃতি মহাভারতোক্ত চরিত্রের মাখে প্রবন্ধটির বিস্ততি সাধন করিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ ইহাকে একটি সংগম্ভীর প্রাচীনত্বের কাঠামে বধিয়া রাখিয়াছেন। মানব-চরিত্র-ব্যাখ্যাত বৈশম্পায়ন তথা বাঁ u DDD Duiuu uBDS DBB BDDBDBDBD DBDBD DDD iu ByDS