পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রঞ্জ, নৰল । শকুন্তলা দশমন্তকে ছাড়িয়া যাইতে গেলে গাছে তাঁহার বল্কল বাঁধিয়া যায়, পদে কুশাঙ্কুর বিধে। কিন্তু মিরালদার সে সকলের প্রয়োজন নাই-মিরান্দা সে সকল জানে না; প্রথম সন্দশনকালে মিরান্দা অসঙ্কুচিত চিত্তে পিতৃসমক্ষে আপন প্রণয় ব্যক্ত করিলেন, This Is the third man that e'er I saw, the first That e'er I sigh'd for: এবং পিতাকে ফাঁদ নন্দের পীড়নে উদ্যত দেখিয়া, ফন্দিনন্দকে আপনার প্রিয়জন বলিয়া, পিতার দয়ার উদ্রেকের যত্ন করলেন। প্রথম অবসরেই ফাঁদ নন্দকে আত্মসমপণ করিলেন। দলমন্তের সঙ্গে শকুন্তলার প্রথম প্রণয়সম্ভাষণ এক প্রকার লকোচুরি খেলা। “সখি, রাজাকে ধরিয়া রাখিস কেন ?”-“তবে, আমি উঠিয়া যাই”-“আমি এই গাছের আড়ালে লকোই”— শকুন্তলার এ সকল “বাহানা” আছে; মিরান্দার সে সকল নাই। এ সকল লতাজাশীলা কুলবালার বিহিত, কিন্তু মিরান্দা লঙ্জাশীলা কুলবালা নহে-মিরান্দা বনের পাখী-প্রভাতারণোদয়ে গাইয়া উঠিতে তাহার লজা করে না; বক্ষের ফল-সন্ধ্যার বাতাস পাইলে মািখ ফটাইয়া ফাটিয়া উঠিতে লজ্জাজা করে না; নায়ককে পাইয়াই, মিরান্দার বলিতে লাভজা করে না যে But my modesty, The Jewel in my dower, I would not wish Any companion in the world but you; Nor can imagination form a shape, Besides yourself, to like of. Hence, bashful cunning And prompt me, plain and holy innocence I am your wife, if you will marry me; If not, I'll die your maid: to be your fellow You may deny me; but I'll be your servant, Whether you will or no. আমাদিগের ইচ্ছা ছিল যে, মিরান্দা ফদিনন্দের এই প্রথম প্রণয়ালাপ, সমদায় উদ্ধত করি, কিন্তু নিম্প্রয়োজন। সকলেরই ঘরে সেক্ষপীয়রা আছে, সকলেই মল গ্রন্থ খলিয়া পড়িতে পরিবেন। দেখিবেন, উদ্যানমধ্যে রোমিও জলিয়েটের যে প্রণয়সম্ভাষণ জগতে বিখ্যাত, এবং পািব্বতন কলেজের ছাত্রমাত্রের কন্ঠস্থ, ইহা কোন অংশে তদপেক্ষা ন্যূনকলপ নহে। যে ভাবে জলিয়েট বলিয়াছিলেন যে, “আমার দান সাগরতুল্য অসীম, আমার ভালবাসা সেই সাগরতুল্য গভীর”, মিরান্দাও এই স্থলে সেই মহান চিত্তভাবে পরিপ্লত। ইহার অন্যরােপ অবস্থায়, লতামন্ডপতলে, দালমন্ত শকুন্তলায় যে আলাপ—যে আলাপে শকুন্তলা চিরবদ্ধ হৃদয়কোরক প্রথম অভিমত সৰ্য্যেসমীপে ফটাইয়া হাসিল-সে আলাপে তত গৌরব নাই—মানবচরিত্রের কলপ্রান্তপৰ্যন্তপ্রঘাতী সেরাপ টল টল চঞ্চল বীচিমালা তাহার হৃদয়মধ্যে লক্ষিত হয় না। যাহা বলিয়াছি, তাই--কেবল ছি ছি, কেবল যাই যাই, কেবল ল্যকাচুরি-একটা একটা চাতুরী আছে —যথা “অদ্ধাপধে সামরিঅ এদসম BBBD DDDDBDB BDB BBDD D DD S একটা অগ্ৰগামিনীত্ব আছে, যথা দশমন্তের মাখে “নন কমলাস্য মধ্যকারঃ সন্তুষ্যতি গন্ধমাত্রেণ।” এই কথা শনিয়া শকুন্তলার জিজ্ঞাসা, “অসন্তোসে উণ কিং করেদি ?”-এই সকল ছাড়া আর বড় কিছই নাই। ইহা কবির দোষ নহে —বরং কবির গণ্য। দশমন্তের চরিত্ৰ-গৌরবে ক্ষমাদ্রা শকুন্তলা এখানে ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে। ফাঁদ নন্দ বা রোমিও ক্ষমাদ্র ব্যক্তি, নায়িকার প্রায় সমবয়স্ক, প্রায় সমযোগ্য অকৃতকীৰ্ত্তিঅপ্রথিতযশাঃ, কিন্তু সসাগরা পথিবীপতি মহেন্দুসখ৷ দমন্তের কাছে শকুন্তলা কে? দশমন্ত মহাবক্ষের বহচ্ছায়া এখানে শকুন্তলা-কলিকাকে ঢাকিয়া ফেলিয়াছে—সে ভাল করিয়া মািখ লিয়া ফাটিতে পারিতেছে না। এ প্রণয়সম্ভাষণ নহে-রাজত্রীড়া, পথিবীপতি কুঞ্জবনে বসিয়া ROV