পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুপ্তির অনিশ্চিত লক্ষ্য-লেই বাবকে সিদিনের জন্য ফলাকাঞ্চিত কািরয়াছে। আমিয়া যখন ‘বিষ্ণর ন্যায় তাহাদিগের দশ অবতার-কেরাণী অবতারে বধ্য অসদর দপ্তরী; মাস্টার অবতারে বধ্য ছাত্র; স্টেশ্যন মাস্টার অবতারে বধ্য টিকেটহীন পথিক; ব্ৰাহ্মণাবতারে বধ্য চালকলা-প্রত্যাশী পরোহিত; মাৎসন্দী অবতারে বধ্য বণিক ইংরাজ; ডাক্তার অবতারে বধ্য রোগী; উকিল অবতারে বধ্য মোয়াক্কল; হাকিম অবতারে বধ্য বিচারাথী ; জমিদার অবতারে বধ্য প্রজা; সম্পাদক অবতারে বধ্য ভদ্রলোক এবং নিম্পকম্পমােবতারে বধ্য পদ্ধকরিণীর মৎস্য।” --অমনি চমকিত হইয়া উঠি, পরস্পরের দিকে তাকাই। দেখি, বঙ্কিমচন্দ্ৰ আমাদের সকলের, এমন কি, তাঁহার নিজের দকবলতার উপরও আঘাত করিয়াছেন। তখন, বিদ্যুপের মদ, আঘাতকেও আমরা সকৃতজ্ঞ হাস্য দ্বারা অভ্যর্থনা করি।” (“বঙ্কিম-সন্মতি” : বঙ্কিমচন্দ্রের প্রবন্ধ-সাহিত্য, প, ১৩২-৩) ১৮৯৬ খ্রীস্টাব্দে মিরিয়ম এস নাইট সবৰ্ণ গোলকের অন্যবাদ “The Globe of Gold” alte argsg. “The Indian Magazine and Review'-a sis“ sirea zisferă করেন। 1 . جب ፫ቅኝ কমলাকান্ত : এই পান্তকখানির তিনটি অংশ-কমলাকান্তের দপ্তর, কমলাকান্তের পত্র এবং কমলাকান্তের জোবানবন্দী। কমলাকান্তের সমাদয় রচনা “বঙ্গদশ্যনে” প্রকাশিত হয়। ইহার প্রথম অংশ অর্থাৎ কমলাকান্তের দপ্তর সর্বতন্ত্র পন্তকাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৭৫ খ্রীস্টাব্দে, পন্ঠা সংখ্যা ১৬২ ৷৷ ১২৮০-৮২ বঙ্গাব্দের মধ্যে “বঙ্গদশ্যনে” প্রকাশিত কমলাকান্ত সন্দভৗগলি, একুনে এগারটি, ইহাতে সন্নিবেশিত হইয়াছিল। ইহার আখ্যাপত্রে ‘প্রথম ভাগ” এইব্রােপ উল্লেখিত ছিল। বঙ্কিমচন্দ্ৰ ‘প্রথম বারের বিজ্ঞাপনে” লিখিয়াছেন যে, দপ্তরের মোট চৌদ্দটি সন্দভের মধ্যে ‘চন্দ্রালোকে’, ‘মশক এবং ‘স্ত্রীলোকের রােপ তাঁহার প্রণীত নহে বলিয়া পান্তকে এই তিনটি পনেমাদ্রিত করেন নাই। কমলাকান্তের দপ্তরের উৎসগপত্রে আছে : “উৎসগা/পশ্চিডতগ্রগণ্য/ শ্ৰীযক্ত বাব, রামদাস সেন মহাশয়কে/এই গ্ৰন্থ/প্রণয়োপহার স্বরপ/আপিত/হইল।” এই পান্তকখানি পরিবদ্ধিত আকারে প্রকাশিত হয় ১২৯২ বঙ্গাব্দে (১৮৮৫ ?) । তখন ইহার নাতন নামকরণ হয় “কমলাকান্ত”। কারণ বঙ্কিমচন্দ্র ‘‘কমলাকাস্তের দপ্তর’ ব্যতীত, ‘কমলাকান্তের পত্র’ এবং ‘কমলাকান্তের জোবানবন্দী” ইহাতে সংযোজিত করেন। এই সংস্করণে পাৰোবাকার পরিত্যক্ত চন্দ্রালোকে” এবং ‘স্ত্রীলোকের রংপ’ সন্নিবিদ্ট হইল। এই দাইটির লেখক যথাক্রমে অক্ষয়চন্দ্র সরকার এবং রাজকৃষ্ণ মখোপাধ্যায়। ‘মশক” রচনাটিও অক্ষয়চন্দ্র সরকারের। এটি তাঁহার “মোতিকুমারীতে প্রকাশিত হওয়ায় ‘কমলাকান্তে” পরিত্যক্ত হইয়া থাকিবে। ‘কমলাকাস্তের পত্র’ ও ‘কমলাকান্তের জোবানবন্দী” শীৰ্ষক সংষোজনীর বিষয় বঙ্কিমচন্দ্ৰ লিখিত “বিজ্ঞাপনে” দ্রষ্টব্য। ‘কমলাকান্তের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৮৮৯) ঢেকি’ নামক প্রবন্ধটি নতন 2अरg २झ । ‘কমলাকান্ত দর্শন’ ও ‘কমলাকান্তি ঢং লইয়া এযাবৎ কিছু কিছু আলোচনা হইয়াছে। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ সংস্করণের সম্পাদকদ্বয় ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্ৰীসজনীকান্ত দাসও এ বিষয়ে একটি মনোজ্ঞ ভূমিকা লিখিয়াছেন ‘কমলাকান্তে’। ‘কমলাকান্ত-জন্মের ইতিহাস’ বলিয়া ইহার যে উদ্ভব কাহিনী তাঁহারা বিবত করিয়াছেন তাহা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তাঁহাদের মতে বঙ্কিমচন্দ্রের “স্বভাবতঃ রহস্যপ্রিয় মন প্রথমটা লোক রহস্যোর সহজ পথে একটা মাক্তির উপায় আবিস্কার করিয়া কতক সাম্পাদনা লাভ করিয়াছিল। কিন্তু মাসের পর মাস নিছক রহস্য সম্মিট করিয়া তৃপ্ত থাকিবার মত পল্লবগ্রাহী মন বঙ্কিমচন্দুের ছিল না। প্রবহমান সংসারস্রোতের উপরিভাগে আপাত মনোহর তরঙ্গভঙ্গে, ভাসিতে ভাসিতে তীক্ষাধী বঙ্কিমচন্দ্র কখনও গভীর রহস্য-গহনে তলাইয়া যাইতেন, এবং মরণশীল মানবের, এবং বিশেষ করিয়া যে সকল হতভাগ্য জীব তাঁহার আশেপাশে চিন্তাহীন নিঃশক্ষকতায় ভাসমান, তাহাদের ভয়াবহ পরিণতির কথা আপন অন্তরে অন্যভব করিয়া হালকা হাসির বদ্বদ-বিলাসে তাঁহার মন সায় দিত না। অন্ধোন্মাদ নেশাখের কমলাকাস্তের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া তখন তাঁহার উপায় ছিল না। সোজাসাজি সজ্ঞানে যে সকল কথা বলিতে তিনি সঙ্কোচ বোধ করিতেন, কমলাকাস্তের মখ দিয়া সেই সকল কথা তিনি অসমেকাচে বলিতে পারিতেন, এবং এই রহস্যময় পাগলকে কেন্দ্ৰ করিয়া মাসের পর মাস পাঠক ভুলাইতে তাঁহাকে বেগ পাইতে হইত না। এক আধারে ব্যঙ্গের শক রামণ্ডিত কাব্য, পলিটিক্স, সমাজ-বিজ্ঞান এবং দর্শন পরিবেশনের উপায় সন্টি করিয়া সম্পাদক এবং প্রচারক। বঙ্কিমচন্দ্ৰ নিজের DYSDBB BBBDB S DBDSDBBBDS BDBDD DBB BBBS SBBBBEESSYBDDBBBDeSTguDuuuS সাহিত্য-পরিষৎ-সংস্করণ, ভূমিকা \div) • • • • • • А к ས་གནས་སང་