পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী DDD DBBD DDDBLBLBDS DD DBBB BBBDBBD BDBD DDDB uBS BDBBBDDBD DD বঝিলে তাঁহার সম্যক জ্ঞান জন্মিবে না; কেন না, হিন্দসমাজের পবিকালীয় গতি অনেক দর সাংখ্যপ্ৰদৰ্শিত পথে হইয়াছিল। যিনি বৰ্ত্তমান হিন্দসমাজের চরিত্র বঝিতে চাহেন, তিনি সাংখ্য অধ্যয়ন করুন। সেই চরিত্রের মািল সাংখ্যে অনেক দেখিতে পাইবেন। সংসার যে দঃখময়, দঃখ নিবারণমাত্র আমাদিগের পরিষার্থ, এ কথা যেমন হিন্দজাতির হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করিয়াছে, এমন বোধ হয়, পথিবীর আর কোন জাতির মধ্যে হয় নাই। তাহার বীজ সাংখ্যদর্শনে। তিন্নিবন্ধন ভারতবর্ষে যে পরিমাণে বৈরাগ্য বহনকাল হইতে প্রবল, তেমন আর কোন দেশেই নহে। সেই বৈরাগ্য প্রাবল্যের ফল। বৰ্ত্তমান হিন্দচরিত্র। যে কাৰ্য্যুপরতন্ত্রতার অভাব আমাদিগের প্রধান লক্ষণ বলিয়া বিদেশীয়েরা নির্দেশ করেন, তাহা সেই বৈরাগ্যের সাধারণত মাত্র। যে অদন্টবাদিত্ব আমাদিগের দ্বিতীয় প্রধান লক্ষণ, তাহা সাংখ্যজাত বৈরাগ্যের ভিন্ন মাত্তি মাত্র। এই বৈরাগ্যসাধারণত এবং আদালন্টবাদিত্বের কৃপাতেই ভারতবষীয়দিগের অসীম বাহবিল সত্ত্বেও আৰ্যভূমি মাসলমান পদানত হইয়াছিল। সেই জন্য অদ্যাপি ভারতবর্ষ পরাধীন। সেই জন্যই বহকাল হইতে এ দেশে সমাজোন্নতি মন্দ হইয়া শেষে অবরুদ্ধ হইয়াছিল। আবার সাংখ্যের প্রকৃতি পােরষি লইয়া তন্ত্রের সস্টি। সেই তান্ত্রিককান্ডে দেশ ব্যাপ্ত হইয়াছে। সেই তন্ত্রের কৃপায় বিক্রমপরে বসিয়া নিষ্ঠ ব্ৰাহ্মণ ঠাকুর অপরিমিত মদিরা উদারস্থ করিয়া, ধৰ্ম্মাচরণ করিলাম বলিয়া পরম পরিতোষ লাভ করিতেছেন। সেই তন্ত্রের প্রভাবে প্রায় শত যোজন দারে, ভারতবষের পশ্চিমাংশে কাণফোঁড়া যোগী উলঙ্গ হইয়া কদৰ্য্য উৎসব করিতেছে। সেই তন্ত্রের প্রসাদে আমরা দাগোৎসব করিয়া এই বাঙ্গালা দেশের ছয় কোটি লোক জীবন সাৰ্থক করিতেছি। যখন গ্রামে গ্রামে, নগরে মাঠে জঙ্গলে শিবালয়, কালীর মন্দির দেখি, আমাদের সাংখ্য মনে পড়ে; যখন দ গা কালী জগদ্ধাত্রী পাজার বাদ্য শনি, আমাদের সাংখ্যদশন মনে পড়ে। সহস্ৰ বৎসর কাল বৌদ্ধধৰ্ম্মম ভারতবর্ষের প্রধান ধৰ্ম্মম ছিল। ভারতবষের পরাবত্ত মধ্যে যে সময়টি সব্বাপেক্ষা বিচিত্র এবং সৌন্ঠব-লক্ষণযক্তি, সেই সময়টিতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মম এই ভারতভূমির প্রধান ধৰ্ম্মম ছিল। ভারতবর্ষ হইতে দারীকৃত হইয়া সিংহলে, নেপালে, তিব্বতে, চীনে, ব্ৰহ্মে, শ্যামে এই ধৰ্ম্ম অদ্যাপি ব্যাপিয়া রহিয়াছে। সেই বৌদ্ধধর্মের আদি এই সাংখ্যদর্শনে। বেদে অবজ্ঞা, নিন্দবাণ, এবং নিরীশ্বরতা, বৌদ্ধধক্ষেম এই তিনটি নিতেন; এই তিনটিই ঐ ধৰ্ম্মেমরি কলেবর। উপস্থিত লেখক কর্তৃক ১০৬ সংখ্যক কলিকাতা রিবিউতে, “বৌদ্ধধৰ্ম্ম এবং সাংখ্যদশন” ইতি প্রবন্ধে প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে যে, এই তিনটিরই মল সাংখ্যদর্শনে। নিৰবাণ, সাংখ্যের মাক্তির পরিমাণ মাত্র। বেদের অবজ্ঞা সাংখ্যে প্রকাশ্যে কোথাও নাই, বরং বৈদিকতার আড়ম্বর অনেক। কিন্তু সাংখ্যপ্রবচনকার বেদের দোহাই দিয়া শেষে বেদের মলোচ্ছেদ कaिझाCछन् ।* কথিত হইয়াছে যে, যত লোক বৌদ্ধধৰ্ম্মমাবলম্বী, তত সংখ্যক কোন ধৰ্ম্মাবলম্পবী লোক পথিবীতে নাই। সংখ্যা সম্পবন্ধে শ্ৰীস্টধৰ্ম্মাবলম্বীরা তৎপরবত্তী। সতরাং যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে, পথিবীতে অবতীর্ণ মনষ্যেমধ্যে কে সব্বাপেক্ষা অধিক লোকের জীবনের উপর প্রভুত্ব করিয়াছেন, তখন আমরা প্রথমে শাক্যসিংহের, তৎপরে শ্ৰীস্টের নাম করিব। কিন্তু শাক্যসিংহের সঙ্গে সঙ্গে কপিলেরও নাম করিতে হইবে। অতএব সম্পন্টাক্ষরে বলা যাইতে পারে যে, পথিবীতে যে সকল দর্শনশাস্ত্র অবতীর্ণ হইয়াছে, সাংখ্যের ন্যায় কেহ বহা, ফলোৎপাদক হয় নাই। সাংখ্যের প্রথমোৎপত্তি কোন কালে হইয়াছিল, তাহা স্থির করা অতি কঠিন। সম্ভবতঃ উহা বৌদ্ধধর্মের পতব্বে প্রচারিত হইয়াছিল। কিম্বদন্তী আছে যে, কপিল উহার প্রণেতা। এ কিম্বদন্তীর প্রতি অবিশ্বাস করিবার কোন কারণ নাই। কিন্তু তিনি কে, কোন সালে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা জানিবার কোন উপায় নাই। কেবল ইহাই বলা যাইতে পারে যে, তােদশ বদ্ধিশালী ব্যক্তি পথিবীতে অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। পাঠক স্মরণ রাখিবেন যে, আমরা

  • বৌদ্ধধৰ্ম্ম যে সাংখ্যমলেক, তাহার প্রমাণ সবিস্তারে দিবার স্থান এ নহে।

२३२