পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী লোকসংখ্যাবন্ধি বিষয়ে মালথাসের মত, ইহার একটি প্রমাণ। এক্ষণে সবিবেচকেরা সকলেই স্বীকার করেন যে, মনীষ্য সাধারণতঃ নৈসগিক নিয়মানসারে আপনি আপনি সর্বভাবের পরিতোষ করিলেই লোকসংখ্যা বদ্ধি হইয়া মহৎ অনিস্ট ঘটিয়া থাকে। অতএব সংসার কেবল দঃখময়, ইহা বলিবার যথেষ্ট কারণ আছে। সাংখ্যকারও তাঁহাই বলেন। সেই কথাই সাংখ্যদর্শন ও বৌদ্ধধর্মের মল। কিন্তু পথিবীতে যে কিছ সখি আছে, তাহাও অস্বীকাৰ্য্য নহে। সাংখ্যকার বলেন যে, সখি অলপ। কদাচি কেহ সখী (৬ অধ্যায়, ৭ সত্ৰ), এবং সখি, দঃখের সহিত। এরপ মিশ্রিত যে, বিবেচকেরা তাহা দঃখপক্ষে নিক্ষেপ করেন (ঐ, ৮)। দঃখ হইতে তাদশ সখাকাঙক্ষা জন্মে না (ঐ, ৬) । অতএব দঃখেরই প্রাধান্য। সতরাং মনষ্যেজীবনের প্রধান উদ্দেশ্য দঃখমোচন। এই জন্য সাংখ্যপ্রবচনের প্রথম সত্ৰ “অন্থ ত্ৰিবিধদঃখাত্যন্তনিবত্তিরত্যন্তপরিষার্থঃ।” এই পরিষার্থ কি প্রকারে সিদ্ধ হয়, তাহারই পয্যালোচনা সাংখ্যদর্শনের উদ্দেশ্য। দঃখে পড়িলেই লোকে তাহার একটা নিবারণের উপায় করে। ক্ষধায় কষ্ট পাইতেছ, আহার করা। পত্ৰশোক পাইয়াছ, অন্য বিষয়ে চিত্ত নিবিষ্ট কর। কিন্তু সাংখ্যকর বলেন, এ সকল উপায়ে দঃখনিবত্তি নাই; কেন না, আবার সেই সকল দঃখের অনবত্তি আছে। তুমি আহার করিলে, তাহাতে তোমার আজিকার ক্ষধা নিবত্ত হইল, কিন্তু আবার কালি ক্ষধা পাইবে। বিষয়ান্তরে চিত্ত রাত করিয়া, তুমি এবার পত্ৰশোক নিবারণ করিলে, কিন্তু আবার অন্য পত্রের জন্য তোমাকে হয় ত সেইরূপ শোক পাইতে হইবে। পরন্তু এরপ উপায় সব্বত্র সম্ভবে না। তোমার হস্ত পদ ছিন্ন হইলে আর লগ্ন হইবে না। যেখানে সম্ভবে, সেখানেও তাহা সদ্যপায় বলিয়া গণ্য হইতে পারে না। অন্য বিষয়ে নিরত হইলেই পত্ৰিশোক বিস্মত হওয়া যায় না (১ অধ্যায়, ৪ সন্ত্র)। তবে এ সকল দঃখ নিবারণের উপায় নহে। আধনিক বিজ্ঞানবিৎ কোমতের শিষ্য বলিবেন, তবে আর দঃখ নিবারণের কি উপায় আছে ? আমরা জানি যে, জলসেক করিলেই অগ্নি নিন্দবাণ হয়, কিন্তু শীতল ইন্ধন পািনজৰালিত হইতে পারে বলিয়া যদি তুমি জলকে অগ্নিনাশক না বল, তবে কথা ফরাইল। তাহা হইলে দেহধবংস ভিন্ন আর জীবের দঃখনিবত্তি নাই। সাংখ্যকার তাহাও মানেন না। তিনি জন্মান্তর মানেন, এবং লোকান্তরে জন্ম পৌনঃপন্য আছে ভাবিয়া, এবং জরােমরণাদিজ দঃখ সমান ভাবিয়া তাহাও দঃখ নিবারণের উপায় বলিয়া গণ্য করেন না (৩ অধ্যায়, ৫২-৫৩ সন্ত্রে)। আত্মা বিশ্বকারণে বিলীন হইলেও তদাবস্থাকে দঃখনিবত্তি বলেন না; কেন না, যে জলমগ্ন, তাহার। আবার উখান আছে (ঐ, ৫৪)। তবে দঃখ নিবারণ কাহাকে বলি ? অপবগাই দঃখনিবত্তি। অপবগাই বা কি ? “দ্বয়োরেকতরস্য বৌদাসীন্যমপবগ।” (তৃতীয় অধ্যায়, ৬৫ সত্ৰ)। সেই অপবগ কি, এবং কি প্রকারে তাহা প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহা পরপরিচ্ছদে সবিশেষ বলিব। “অপবগ” ইত্যাদি প্রাচীন কথা শনিয়া পাঠক ঘণা করিবেন না। যাহা প্রাচীন, তাহাই যে উপধৰ্ম্মম কলঙ্কিত বা সব্বজনপরিজ্ঞাত, এমন মনে করবেন না। বিবেচক দেখিবেন, সাংখ্যদশনে একটি সারও আছে। অসার বক্ষে এমন স্থায়ী ফল ফলিবে কেন ? দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ-ৰিবেক যত দঃখ ভোগ করি।-কিন্তু আমি কে ? বাহ্যপ্রকৃতি ভিন্ন আর কিছই আমাদের DuBLBBB BBBB BBD S DD DDBBDS DDD DDD DBBD BBBDSSiDD DD uBSS DDD ভিন্ন “তুমি” বলিব, এমন কোন সামগ্রী দেখিতে পাই না। তোমার দেহ এবং সুজিতািন্ধ, ইহাই কেবল আমার জনগােচর। তবে কি তােমার দেহেরই এই সখ-দঃখ তোমার মাতুত্যু হইলে, তোমার সেই দেহ পড়িয়া থাকিবে; কিন্তু তৎকালে তাহার সখ দঃখ ভোগের কোন লক্ষণ দেখা যাইবে না। আবার মনে কর, কেহ তোমাকে অপমান করিয়াছে; তাহাতে দেহের কোন বিকার নাই, তথাপি তুমি দঃখী। তবে তোমার দেহ দিল্লখভোগ করে না। যে দঃখ ভোগ করে, সে সর্বতন্ত্র। সেই তুমি। তোমার দেহ তুমি নহে। Obtos RR8