পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विविध अवक-नारधामभन “ঈশ্বরাসিদ্ধেঃ।” শব্ধ। এই কথার উপর নিভাির করিলে, সাংখ্যকারকে প্রথম শ্রেণীর নাস্তিক বলা যাইত। কিন্তু তিনি অন্যান্য প্রমাণের দ্বারা প্ৰতিপন্ন করিতে যত্ন করিয়াছেন যে, ঈশ্বর নাই। সে প্রমাণ কোথাও দাই একটি সত্রের মধ্যে নাই। অনেকগালি সত্ৰ একত্র করিয়া, সাংখ্যপ্রবচনে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব সম্পবন্ধে যাহা কিছ পাওয়া যায়, তাহার মৰ্ম্মম সবিস্তারে বঝাইতেছি। তিনি বলেন যে, ঈশ্বর অসিদ্ধ (১, ৯২), প্রমাণ নাই বলিয়া অসিদ্ধ (প্রমাণাভাবাৎ ন তৎসিদ্ধিঃ। ৫, ১০)। সাংখ্যমতে প্রমাণ তিন প্রকার-প্রত্যক্ষ, অনামান, শব্দ। প্রত্যক্ষের ত কথাই নাই। কোন বস্তুর সঙ্গে যদি অন্য বস্তু নিত্য সম্পবিন্ধ থাকে, তবে একটিকে দেখিলে আর একটিকে অনামান করা যায়। কিন্তু কোন বস্তুর সঙ্গে ঈশ্বরের কোন নিত্য সম্প্ৰবন্ধ দেখা যায় নাই; অতএব অনামানের দ্বারা ঈশ্বরের সিদ্ধি হয় না। (সম্বন্ধাভাবান্নান মানম।। ৫, ১১)। যদি এই সত্ৰ পাঠক না বঝিয়া থাকেন, তবে আর একটি বাঝাই। পৰ্ব্ববর্ততে ধর্ম দেখিয়া তুমি সিদ্ধ করা যে, তথায় অগ্নি আছে। কেন এ সিদ্ধান্ত করা ? তুমি যেখানে যেখানে ধর্ম দুখিয়াছ, সেইখানে অগ্নি দেখিয়াছ বলিয়া। অর্থাৎ অগ্নির সহিত ধমের নিত্য সম্প্ৰবন্ধ আছে বালিয়া । যদি তোমায় জিজ্ঞাসা করি, তোমার প্রপিতামহের প্রপিতামহের কয়টি হাত ছিল, তুমি বলিবে দাইটি। তুমি তাঁহাকে কখন দেখা নাই—তবে কি প্রকারে জানিলে তাঁহার দাইটি হাত ছিল ? বলিবে, মানষমাত্রেরই দই হাত, এই জন্য। অর্থাৎ মানষত্বের সহিত দ্বিভূজতার নিত্য সমন্বন্ধ আছে, এই জন্য। এই নিত্য সম্পবিন্ধ বা ব্যাপ্তই অনমানের একমাত্র কারণ। যেখানে এ সম্পবিন্ধ নাই, সেখানে পদাৰ্থান্তর অনমিত হইতে পারে না। এক্ষণে, জগতে কিসের সঙ্গে ঈশ্বরের নিত্য সম্প্ৰবন্ধ আছে যে, তাহা হইতে ঈশ্বরানামান করা যাইতে পারে ? সাংখ্যকার বলেন, কিছরই সঙ্গে না। তৃতীয় প্রমাণ—শব্দ। আপ্তবাক্য শব্দ। বেদেই আপ্তোপদেশ। সাংখ্যকার বলেন, বেদে ঈশ্বরের কোন প্রসঙ্গ নাই, বরং বেদে ইহাই আছে যে, সন্টি প্রকৃতিরই ক্রিয়া, ঈশ্বরকৃত নহে (শ্রতিরপি প্রধান-কাৰ্য্যত্বস্য। ৫, ১২); কিন্তু যিনি বেদ পাঠ করিবেন, তিনি দেখিবেন, এ অতি অসঙ্গত কথা। এই আশঙ্কায় সাংখ্যকার বলেন যে, বেদে ঈশ্বরের যে উল্লেখ আছে, তাহা তয় মক্তাত্মার প্রশংসা, নয় প্রামাণ্য দেবতার (সিদ্ধস্য) উপাসনা (মত্তাত্মনঃ প্রশংসা উপাসা निश्कना बा। S. S&) । ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ নাই, এইরপে দেখাইয়াছেন। ঈশ্বরের অনস্তিত্ব সম্পবন্ধে যে প্রমাণ দেখাইয়াছেন, নিম্পেন্ন তাহার সম্প্রসারণ করা গেল । ঈশ্বর কাহাকে বল ? যিনি সন্টিকৰ্ত্তা এবং পাপপণ্যের ফলবিধাতা। যিনি সন্টিকত্তা, তিনি মক্ত না বদ্ধ ? যদি মক্ত হয়েন, তবে তাঁহার সািজনের প্রবত্তি হইবে কেন ? আর যিনি মক্ত নহেন-বদ্ধ, তাঁহার পক্ষে অনন্ত জ্ঞান ও শক্তি সম্ভবে না। অতএব একজন সন্টিকত্তা আছেন, ইহা অসম্ভব। মক্তবদ্ধয়োরন্যতরাভাবান্ন তৎসিদ্ধিঃ (১, ৯৩); উভয়থাপ্যসৎকরত্নম (S, S8) সন্টিকৰ্ত্তত্ব সম্পবন্ধে এই। পাপপণ্যের দন্ডবিধাতৃত্ব সম্পবন্ধে মীমাংসা করেন যে, যদি ঈশ্বর কৰ্ম্মফলের বিধাতা হয়েন, তবে তিনি অবশ্য কমােন যায়ী ফলনিস্পত্তি করিবেন, পণ্যের শাভ ফল, পাপের অশােভ ফল অবশ্য প্রদান করবেন। যদি তিনি তাহা না করেন, স্বেচ্ছামত ফলনিজপত্তি করেন, তবে কি প্রকারে ফলবিধান করিতে পারেন ? যদি সবিচার করিয়া ফল বিধান না করেন, তবে আত্মোপকারের জন্য করাই সম্ভব । তাহা হইলে তিনি সামান্য লৌকিক রাজার ন্যায় আত্মোপকারী, এবং সািখ দঃখের অধীন। যদি তাহা না হইয়া কম্পমানযায়ীই ফলনিস্পত্তি করেন, তবে কেন কম্পমাকেই ফলবিধাতা বল না ? ফলনিভপত্তির জন্য আবার কম্পেমর উপর ঈশ্বরানমানের প্রয়োজন কি ? অতএব সাংখ্যকার দ্বিতীয় শ্রেণীর ঘোরতর নাস্তিক। অথচ তিনি বেদ মানেন। ঈশ্বর না মানিয়াও কেন বেদ মানেন, তাহা আমরা পরপরিচ্ছেদে দেখাইব। সাংখ্যের এই নিরীশ্বরতা বৌদ্ধধৰ্ম্মেমরি পক্ষ্যেবসচনা বলিয়া বোধ হয়। ঈশ্বরতত্ত্ব সম্পবন্ধে সাংখ্যদর্শনের একটি কথা বাকি রহিল। পর্বেই বলিয়াছি, অনেকে বলেন, কপিল দশন নিরীশ্বর নহে। এ কথা বলিবার কিছ একটা কারণ আছে। তু, অ, ৫৭ 决夫为